তিতিন
আমরা যে সময়ের অভিযাত্রী, সময়টা বড়ো নাযুক। আমাদের সামনে যেন আত্মপরিচয়হীন এক প্রজন্ম, যেন ‘ভবিষ্যৎহীন’ এক ভবিষ্যত। প্রজন্ম যখন আত্মপরিচয় ভুলে যায়, তখন নেমে আসে জীবনের প্রতি হতাশা, হীনম্মন্যতা। শুরু হয় ভুলের পথে যাত্রা আর ভীড় বাড়ে পথহারা পথিকের মিছিলে। তাই বলে কি আমরা এ প্রজন্মকে সে পথেই ছেড়ে দেবো? অবুঝ প্রাণগুলোকে কাণ্ডারীহীন নৌকায় ভাসিয়ে দেবো? না, যারা নিরাশার কথা বলে আমরা তাদের দলে নই, যারা সম্ভাবনার কথা বলে আমরা তাদের সারথী। আমরা চাই বদলাতে, পথহারা জাতিকে আলোর নতুন দিগন্ত দেখাতে। আমরা চাই তাদের কাঁধে স্নেহের হাত রাখতে এবং ভালোবাসামাখা মিনতি জানাতে।
তারই এক প্রচেষ্টা লেখিকার এই ‘তিতিন’। এ এমনই একটি চরিত্র—অন্ধকার সমাজের কালো ছায়ায় যে নিজেকে হারিয়ে ফেলেনি, বরং সে আঁধারকে আলোতে রূপান্তরের সংগ্রামে নেমেছে। বড় আকুলতা নিয়ে বলছে—বন্ধু ফিরে এসো! আলো এ পথে! বিজয় তোমার অপেক্ষায়! যেন বলছে—
প্রিয় ভাই! জীবনের প্রতি হতাশ? ভাবছ, তোমাকে দিয়ে কিচ্ছু হবে না? বিতৃষ্ণ হয়ে তাই নিজের জীবনটাকেই হারিয়ে ফেলতে চাইছ বুঝি? প্রিয় বোন! কারো বিমাতাসুলভ আচরণে কিংবা মানসিক অশান্তিতে মনটা দুমড়ে মুচড়ে যাচ্ছে বুঝি? তাই ভাবছ, মূল্যহীন এ জীবন রেখে কী লাভ?
ভাই! বোন! বন্ধু! এদিকে এসো! এসো না! নাহ, আমি তোমাদের কোনো নীতিকথা শোনাবো না। এক সাথে শুধু একটু পথ চলব আর তিতিন-তাওফীকার জীবন গল্প শুনব। চলতে চলতে হয়তো পেয়ে যাব নতুন কোনো দিগন্ত! যেখানে সূর্য উঠবে, নতুন সূর্য! সে সূর্যের আভায় আলোকিত হব, রক্তিম লাল হয়ে জ্বলে উঠব, আমি-তুমি-আমরা-আমরা সবাই
বি:দ্র: তিতিন বইটি free pdf download করিতে চাহিয়া লেখকদের নিরুৎসাহিত করিবেন না
Reviews
There are no reviews yet.