জাহান্নাম দুঃখের কারাগার
জাহান্নাম। একটি ভয়ংকর জায়গা। একটি দুঃখের কারাগার। কষ্টের অতল দরিয়া। জাহান্নামের আযাব এবং শাস্তির কথা বলে শেষ করা যাবে না। যে দুঃখ-কষ্টের কোনো শেষ নেই। মানুষ কীভাবে এ জাহান্নামকে চিত্রায়িত করবে। কীভাবে কল্পনা কিংবা বর্ণনা করবে জাহান্নামের ইতিবৃত্ত কিংবা আদি-অন্ত।
বি:দ্র: জাহান্নাম দুঃখের কারাগার বইটি free pdf download করিতে চাহিয়া লেখকদের নিরুৎসাহিত করিবেন না
Shoaib Akter (verified owner) –
আমরা করোনাকে কেন এতো ভয় পাচ্ছি? কারণ আমরা জানি এই করোনায় আক্রান্ত হলে পরিনতি খুব খারাপ হয়। “জাহান্নাম” এই সম্পর্কে আমরা সকলেই জানি টুকটাক কিন্তু তবুও কেন তাকে ভয় করছিনা? কেন গোনাহ্ করার সময় এর ভয়াবহতা সম্পর্কে চিন্তা করছি না? কারণ, আমরা জাহান্নাম সম্পর্কে বিস্তারিত জানিনা। আমরা মনে করি সামান্য কিছু আগুনের শাস্তি এ আর তেমন কি; কিন্তু জাহান্নামে তো এর থেকেও বীভৎস শাস্তি আছে, আছে বিষ দ্বারা স্বাগতম, আছে গলিত পূঁজের দূর্গন্ধযুক্ত পানীয়। যতো বেশি জাহান্নাম সম্পর্কে আমরা জানবো ততো বেশি এর থেকে বেঁচে চলতে পারবো।
এই বইতে ইমাম আবিদ (রহঃ) খুব সুন্দর করে জাহান্নামকে তুলে ধরেছেন, তাই জীবনে আল্লাহভীরু মানুষের জন্য এই বই একবার হলেও পড়ে দেখা জরুরী।
বই থেকে কিছু কথা :
“জাহান্নামীরা ক্ষুধার্ত হয়ে সাহায্য চাইবে, যাক্কুম বৃক্ষের ফল দিয়ে তাদের চাওয়া পূর্ণ করা হবে; তারা যখন সে ফল থেকে ভক্ষণ করবে, তা তাদের চেহারাসমূহের চামড়াগুলো খসিয়ে নিবে। অতঃপর তৃষ্ণা তাদের উপর চাপিয়ে দেয়া হবে, তারা পানীয় প্রার্থনা করবে, পুঁজের ন্যায় গলিত তামা-সদৃশ পানীয় দিয়ে তাদের চাওয়া পূর্ণ করা হবে; যার তীব্র প্রখরতা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। যখন সে পানীয় তারা তাদের মুখের নিকট নিবে, তা তাদের মুখ ঝলসে দিবে। আর যখন সে তা প্রচন্ড তৃষ্ণায় পান করবে, তখন তা তার নাড়িভুড়িকে ছিন্নভিন্ন করে মলদ্বার দিয়ে বের করে দিবে।”