ফিরলো নারী আপন নীড়ে
আপন চাচা পুড়িয়ে মারল ভাতিজিকে আমার বড় ভাইয়ের দুই ছেলে এবং দুই মেয়ে ছিল। বড় মেয়েটির নাম ছিল হিরা। সে বড় অদ্ভুত পাগল ছিল। যার সাথে তার ভাব হতো,সে তার অন্তরঙ্গ হয়ে যেত। যাকে সে ঘৃণা করত,চূড়ান্ত পর্যায়ে ঘৃণা করত। হিরা অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলে পড়ালেখা করেছে। সে বড় হয়ে গিয়েছিল বিধায় ঘরোয়া কাজকর্মে লাগিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু তার মাঝে আরও পড়াশোনা করার আগ্রহ ছিল। সে হাইস্কুলে ভর্তির আবেদন করে,অন্যের খেতে আটদিন পর্যন্ত বদলা খেটে ভর্তির ফি যোগাড় করে এবং বইখাতা কেনে। পড়া বুঝে না এলে হিরা এক ব্রাহ্মণের মেয়ের কাছে চলে যেত। ব্রাহ্মণের বখাটে ও সন্ত্রাসী এক ছেলেও ছিল। সে আমার ভাতিজিকে পটিয়ে নিয়ে এক রাতে পালিয়ে এক জঙ্গলে চলে গেল। জঙ্গলে অন্য সন্ত্রাসীদের আস্তানা ছিল। সেখানে যাওয়ার পর হিরা অনুভব করল,এখন তো মা-বাবার ইজ্জতও যাবে,নিজেরও দুর্নাম হবে। কেন সে এমন কাজ করতে গেল-এই ভেবে সকলের আড়ালে কাঁদছিল। ইদরিসপুরের এক মুসলিম ছেলেও সেই আস্তানায় থাকত। সেই ছেলেটি হিরার কান্না দেখে ফেলে। কান্নার কারণ জানতে চাইলে হিরা বলল,কম বয়স ও কম বুঝের কারণে আমি তার সঙ্গে চলে এসেছি। এখন নিজের ইজ্জতের আশঙ্কা করছি। হয়তো মা-বাবা আমার জন্য অনেক পেরেশান হচ্ছেন। হিরার কথা শুনে ছেলেটির অনেক মায়া হলো। সে বলল,আমি মুসলমান। মুসলমান অঙ্গীকার পূর্ণ করে। আমি তোমাকে আমার বোন বানাচ্ছি। আমি তোমার ইজ্জতের হেফাযত করব,এই জঙ্গল থেকে নিরাপদে তোমাকে বাড়ি পৌঁছে দিতে চেষ্টা করব।
ফিরলো নারী আপন নীড়ে
বি:দ্র: ফিরলো নারী আপন নীড়ে বইটি free pdf download করিতে চাহিয়া লেখকদের নিরুৎসাহিত করিবেন না
Reviews
There are no reviews yet.