তাকফীরের মূলনীতি
তাকফীরের মূলনীতি শরীয়তে কাউকে কাফের বলাটা সাধারণ পর্যায়ের কোনো অন্যায় নয়; বরং এটা ভয়াবহ রকমের অপরাধ। তাছাড়া এটা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ও স্পর্শকাতর বিষয়ও বটে। অনন্য বিচক্ষণতা, পূর্ণ ইলমী যোগ্যতা ও নিখুঁতভাবে যাচাই-বাছাই ছাড়া কারো জন্য কোনো মুসলিম ভাইকে কাফের বলে আখ্যায়িত করার অনুমতি নেই।
এ তিনটি গুণ যার মধ্যে অনুপস্থিত সে যতো বড় ব্যক্তিই হোক না কেনো তার জন্য কাউকে কাফের বলার অধিকার নেই। অন্যথায় সে নিজেও বিভ্রান্ত হবে এবং সাথে জাতিকেও বিভ্রান্ত করবে। এজন্যই দেখা যায়, অনেক সময় বড় মাপের আলেম হওয়া সত্ত্বেও বিচক্ষণতা ও পূর্ণ যাচাই-বাছাই না থাকায় মারাত্মক ধরনের ভুল করে বসে। এ থেকে আমাদের সবারই অত্যন্ত সতর্ক হওয়া উচিত।
আমাদের এ বই রচনার উদ্দেশ্য এ নয় যে, এটা পড়ে আমরা নিজেরাই তাকফীর শুরু করে দিবো। বরং এর উদ্দেশ্য হলো, তাকফীরের ব্যাপারে আমাদের অজ্ঞতাগুলো চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়া এবং এ ব্যাপারে আমাদের সমাজে যে প্রান্তিকতার খেলা চলছে, তার অসারতা অনুধাবন করতে সাহায্য করা, পাশাপাশি এ ব্যাপারে শরীয়তে যে ধমকি আসছে- তা প্রসার করে এ থেকে নিবৃত্ত থাকার আহবান জানানো। তাকফীর করা তো বিজ্ঞ আলেমদের কাজ, তা নিয়ে আমাদের মাথা ঘামানোর না কোনো প্রয়োজন আছে আর না কোনো অবকাশ আছে।
তাই এ বই পড়ে আমরা কোনো ফতোয়াবাজি করতে যাবো না; বরং আমরা এ থেকে নিজেরাও বিরত থাকবো এবং যারা না জেনে এতে ব্যাপকভাবে অভ্যস্ত তাদেরকেও এ থেকে নিবৃত্ত থাকতে বলবো। অন্যকে কাফের বলতে গিয়ে যদি আমার নিজের ঈমানই বিনষ্ট হয়ে যায়, তাহলে তা করে আমাদের লাভটা কী? আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে বোঝার তাওফীক দান করুন এবং যারা এ ব্যাপারে সীমালঙ্ঘন করছে, তাদেরকে আল্লাহ হিদায়াত দান করুন। আমীন!
বি:দ্র: তাকফীরের মূলনীতি বইটি free pdf download করিতে চাহিয়া লেখকদের নিরুৎসাহিত করিবেন না

আহকামুন নিসা
জান্নাতের অফুরন্ত নেয়ামতের বর্ণনা
আল্লাহ তা’আলার সাথে প্রতিদিন
শত গল্পে ওমর
দাড়ি
সুদ: পরিষ্কার বিদ্রোহ
নবীজী (সা.)-এর দেহ মোবারক
ইসলামের পঞ্চ বুনিয়াদ
সুলতান কাহিনি
বিশুদ্ধ পদ্ধতিতে ওযূ-গোসল
বিশ্বনবী (সা.)-এর জীবন ও আদর্শ
পরকাল-Life After Life
মরণের পরে কী হবে 
Mosarraf Hossain –
মাশাআল্লাহ খুব সুন্দর একটি বই। আমি বইটি ক্রয় করেছি যখন বের হয়েছে। বইটি পড়ে অনেক উপকার পেয়েছি। আল্লাহ তায়ালা শাইখকে উত্তম বিনিময় দান করুন