জিন ও শয়তানের জগৎ
│মদ—শয়তানের শক্তিশালী অস্ত্র│
ইবনু কাসির তাঁর তাফসীর গ্রন্থে উসমান ইবনু আফফান (রাঃ)-এর উক্তি উল্লেখ করেন, “মদ থেকে দূরে থাকো। এটি সকল পাপের জননী। অতীতের এক ব্যক্তির কথা শোনো। সে আল্লাহ্র ইবাদাত করার জন্য নির্জনবাসে গেল। এক লোভী নারী তার পেছনে লেগেছিল। সে তার এক দাসীকে পাঠিয়ে বলল লোকটিকে যেন এসে কোন এক ব্যাপারে সাক্ষী হয়। লোকটি আসার পর সে একটি কক্ষে প্রবেশ করছিল, আর তার পেছনের দরজা বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছিল। অবশেষে সে এমন এক কক্ষে এসে পৌঁছল, যেখানে সেই নারী এক বালক ও মদের পাত্র সহ বসে ছিল। নারীটি বলল, ‘আমি আপনাকে কোনো সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য ডাকিনি। এজন্য ডেকেছি যে, আপনাকে তিনটি কাজের যেকোনো একটি অবশ্যই করতে হবে। হয় আমার সাথে সহবাস করবেন, নয়ত মদপান করবেন, নয়ত এই বালকটিকে হত্যা করবেন। লোকটি (সবচেয়ে কম খারাপ কাজ ভেবে) মদ পান করল। তারপর বলল, ‘আরো দাও।’ এভাবে মাতাল হয়ে সে নারীটির সাথে সহবাসও করল, বালকটিকে হত্যাও করল। নিশ্চয় মদ আর ঈমান কখনও এক হয় না। কারো মাঝে এ দুটি এক হলে যেকোনো একটি অবশ্যই তাকে ছেড়ে যাবে।” (আল-বাইহাকি থেকে বর্ণিত, ইবনু কাসিরের মতে এর ইসনাদ সহিহ)
মুসলিম এবং সুনান গ্রন্থকারগণ বর্ণনা করেছেন, কয়েকজন সাহাবার জন্য একজন আনসার কিছু খাবার প্রস্তুত করলেন। তখনও মদ হারাম হওয়ার বিধান নাযিল হয়নি। তিনি কিছু মদ পরিবেশন করলেন। মাতাল হওয়ার পর তাঁরা অহংকারমূলক কথা বলতে লাগলেন। তারপর তাঁরা মারপিটে লিপ্ত হলেন। সাদ ইবনু আবি ওয়াক্কাস (রাঃ) মারপিটে আহত হন। তাঁকে উটের চোয়ালের হাড় দিয়ে আঘাত করা হয় এবং আমৃত্যু এ ক্ষতের দাগ থেকে যায়। আরেক সাহাবি মদ হারাম হওয়ার আগে মদ পান করার পর মাতলামি কাটার আগেই সালাতের ইমামতি করতে দাঁড়ান। সূরাহ আল-কাফিরূন তিলাওয়াত করতে গিয়ে ভুল করে তিলাওয়াত করে ফেলেন, “হে কাফিরকূল! তোমরা যার ইবাদাত করো, আমিও তার ইবাদাত করি।” আল্লাহ্ আয়াত নাযিল করলেন,
“হে মুমিনগণ, নেশাগ্রস্ত অবস্থায় তোমরা সালাতের নিকটবর্তী হয়ো না, যতক্ষণ না তোমরা বুঝতে পারো যা তোমরা বলছ।…” (সূরাহ আন-নিসা ৪:৪৩)
পূর্ণ বয়স্ক সম্মানিত মানুষ মদ খেয়ে এরকম হয়ে যান যে, আবালবৃদ্ধ সবাই তাঁর ওই অবস্থার আচরণ দেখে হাসতে বাধ্য হয়।
বি:দ্র: জিন ও শয়তানের জগৎ বইটি free pdf download করিতে চাহিয়া লেখকদের নিরুৎসাহিত করিবেন না
Reviews
There are no reviews yet.