ঈমানের দুর্বলতা এর লক্ষণ কার
ঈমানের দুর্বলতা এর লক্ষণ
১। পাপে নিমজ্জিত হওয়া, হারাম কাজ করা।
২। অন্তকরণে কাঠিন্য অনুভব, উপদেশ বা জানাজা দ্বারা প্রভাবিত না হওয়া।
৩। ইবাদাতে একাগ্রতার অভাব এবং উদাসীনতা।
৪। ইবাদাত ও আনুগত্যে শিথিলতা ও অলসতা প্রদর্শন।
৫। মেজাজের ভারসাম্যহীনতা ও বক্ষের অপ্রশস্ততা।
৬। কুরআনের আয়াত দ্বারা প্রভাবিত না হওয়া।
৭। আল্লাহর জিকির ও দুয়ার ব্যাপারে গাফিল হওয়া।
৮। হারাম কাজ হতে দেখলেও ক্রোধের সঞ্চার না হওয়া।
৯। নিজেকে প্রকাশ করতে ভালোবাসা।
১০। কৃপণতা।
১১। কথা ও কাজে অমিল।
১২। মুসলিম ভাইয়ের বিপদে খুশি হওয়া।
১৩। কোন কাজ গুনাহের কিনা তা না দেখে নিজের অপছন্দের কিনা তা দেখা।
১৪। ভাল কাজকে তুচ্ছজ্ঞান করা ও নেকীর কাজকে গুরুত্ব না দেয়া।
১৫। মুসলিমদের সমস্যার ব্যাপারে গুরুত্ব না দেয়া।
১৬। ভ্রাতৃত্বের বন্ধন ছিন্ন করা।
১৭। দ্বীনের কাজে দায়িত্বানুভূতি না থাকা।
১৮। বিপদাপদে ভীত সন্ত্রস্ত হওয়া।
১৯। দুনিয়ার প্রতি আকর্ষণ ও এর প্রতি ঝুঁকে যাওয়া।
২০। অনর্থক ঝগড়া বিবাদ বা তর্কে লিপ্ত হওয়া।
২১। জনশ্রুতিকে বর্ণনার জন্য গ্রহণ করা।
২২। নিজেকে নিয়ে বেশি ব্যস্ত থাকা।
ঈমানের দুর্বলতা এর কারণ-
১। ঈমানী পরিবেশ থেকে দীর্ঘদিন দূরে থাকা।
২। সৎ ও অনুকরণযোগ্য ব্যক্তি হতে দূরে থাকা।
৩। শরীয়তী জ্ঞান ও ঈমানী বই হতে দূরে থাকা।
৪। গুনাহগারদের মাঝে অবস্থান করা।
৫। দুনিয়ার মোহে মগ্ন হওয়া।
৬। ধন-সম্পদ ও পরিবার নিয়েই মেতে থাকা।
৭। উচ্চাকাঙ্ক্ষা বা বিলাসী আকাঙ্ক্ষা।
৮। বেশী খাওয়া, বেশী ঘুম, বেশী কথা, অধিক রাত্রিজাগরণ, কাঠিন্যতা।
ঈমানের দুর্বলতা এর চিকিৎসা-
১। কুরআন নিয়ে চিন্তা গবেষণা করা।
২। মহাপরাক্রমশালী আল্লাহর বড়ত্ব অনুভব এবং তাঁর নাম ও গুণাবলীর চিন্তা করা।
৩। শরীয়াতের জ্ঞানার্জন।
৪। নিয়মিত ইসলামী আলোচনায় উপস্থিত হওয়া।
৫। বেশী বেশী নেক আমল করা ও নেক কাজে প্রতিযোগিতা করা।
৬। বিভিন্ন ধরণের ইবাদাতে (শারীরিক, আর্থিক) আত্মনিয়োগ করা।
৭। খারাপ পরিণতির আশঙ্কা করা ও শেষ পরিণতির ব্যাপারে সর্বদা সতর্কতা অবলম্বন করা।
৮। বেশী বেশী মৃত্যুর স্মরণ করা, জানাজা, দাফন ও জিয়ারতে অংশ নেয়া।
৯। পরকালের মাঞ্জিল যেমন- কিয়ামত, পুলসিরাত, জান্নাত, জাহান্নাম নিয়ে চিন্তা করা।
১০। প্রাকৃতিক কোনো ঘটনা দেখলে পরকালের চিন্তা করা। যেমন- মেঘ, সূর্য, চন্দ্র, এদের গ্রহণ।
১১। সর্বদাই আল্লাহর স্মরণ বা জিকির এর হালতে থাকা।
১২। মোনাজাত বা একাগ্রভাবে আল্লাহকে ডাকা।
১৩। কামনা বাসনা কম করা।
১৪। দুনিয়াকে নগন্য মনে করা।
১৫। আল্লাহর নির্দেশসমূহের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা প্রদর্শন।
১৬। মুমিনদের সাথে সম্পর্ক গড়া ও কাফেরদের সাথে সম্পর্কচ্ছেদ করা।
১৭। বিনয়ী হওয়া, দুনিয়ার চাকচিক্য পরিহার করা।
১৮। অন্তরে আল্লাহকে ভালোবাসা, ভয় করা, তাঁর প্রতি সুধারণা ও ভরসা পোষণ করা, তাঁর ফয়সালায় সন্তুষ্ট থাকা ও তাঁর নিকট তাওবা করা।
১৯। আত্নসমালোচনা করা।
২০। আল্লাহর নিকট মজবুত ঈমানের জন্য দুয়া করা।
বি:দ্র: ঈমানের দুর্বলতা বইটি free pdf download করিতে চাহিয়া লেখকদের নিরুৎসাহিত করিবেন না

প্রশ্নোত্তরে সিরাতে খাতামুল আম্বিয়া
শাতিমে রাসূলের শাস্তি
আশরাফুল আদাব
আর রাহিকুল মাখতুম
আদর্শ উস্তাদ
সীরাতে রাসূলে আযম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
রাসূলের জন্য ভালোবাসা
সালাতে খুশু খুজুর উপায়
হযরত আলী রা: জীবন ও খিলাফত
দৈনন্দিন জীবনে প্রিয় নবী স. এর প্রিয় সুন্নাত
ঈসা (আ:) এর জীবন কাহিনী
ছোটদের নবি-রাসূল সিরিজ (৬ খণ্ড)
বিশ্বনবী(সা.) এর দয়া ও ভালোবাসা
শেষ জীবনে মহানবী (স.) ও চার খলীফা (রাযি.)
রহমাতুল্লিল আলামীন
প্রশ্নোত্তরে সীরাতে খাতামুল আম্বিয়া
নবীজির স্বপ্নমাখা গল্প
রাসুল আমার ভালোবাসা [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম]
কোরআন হাদীসের আলোকে নামাজ
কোঁচড় ভরা মান্না
সীরাতুন নবি সা: (অখন্ড)
বড় যদি হতে চাও
আপনি কি জব খুঁজছেন?
আপনিই হতে পারেন সৌভাগ্যবতী নারী
দ্য প্রফেট বিখ্যাত ব্যক্তি জীবনী গ্রন্থ
নবীজির সাক্ষাৎকার
যেমন ছিলেন নবীজী
নবীজির শাফায়াত
বীমা-তাকাফুল প্রচলিত পদ্ধতি ও শরয়ী রূপরেখা
মাআ রসুলিল্লাহ সাঃ (مع رسول الله ﷺ)
প্রিয় নবী (সা.)
সর্বশেষ নবী হযরত মুহাম্মদ সা.
শিশুদের নবী
প্রশ্নোত্তরে তাহরীকে দারুল উলুম দেওবন্দ
বিনিদ্র রজনীর সাধক যারা 
Reviews
There are no reviews yet.