লাভ ক্যান্ডি – Love Candy
ডা. রাকিব আরও বললেন, ‘এখানে আর একটি কথা না বললেই নয়, বিভিন্ন পদ্ধতিতে অ্যাবর্সনের নামে আজকাল যে মানুষ খুন করা হচ্ছে এটাকে কেউ আমরা পাত্তাই দিচ্ছি না। কারো চাহিদার বিপরীতে গর্ভে ছেলে বা মেয়ে আসলে সেটাকে খুন করে ফেলছে।
কেউ ভরণপোষণের ভয়ে খুন করছে৷ কেউ-বা অবৈধ সম্পর্কের কথা ধামাচাপা দিতে খুন করছে। এককথায় এরা সকলেই খুনি। খুনের সাহায্যকারীও খুনি৷ ইহকালে যার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড, আর পরকালে- একবাক্যে জাহান্নাম।
আচ্ছা বলুন তো! ছেলে কিংবা মেয়ে এটা নির্ধারণ করার মালিক কি মানুষ? যদি না হয়, তাহলে আপনার চাহিদা ম্যাচ না করায় নিষ্পাপ একটা বাচ্চাকে কেন খুন করছেন? আল্লাহর সিদ্ধান্তের সাথে কেন বিদ্রোহ করছেন? অথবা কারো রিযিকের মালিক কি মানুষ? যদি না হয়, তাহলে কী খাওয়াবেন কী পরাবেন এই ভয়ে কেন নিজেরা খুনের আসামী হচ্ছেন?
আবার মানসম্মান বাঁচাতে অবৈধ সন্তানকে খুন করে কেনই-বা জাহান্নাম কিনে নিচ্ছেন? এতই যখন মানসম্মানের ভয় তাহলে কেনই-বা এমন অশ্লীলতায় গা ভাসিয়ে দিলেন? সরি এটা আপনাদেরকে বলছি না। যারা করে তাদেরকে উদ্দেশ্য করে বলছি।
জানি, এসব প্রশ্নের কোনো উত্তর নেই। এক দলা ঘৃণা এসকল মানুষের জন্য। মি. আদিব ও মি. হাসান আপনারা হয়তো আমার কথা শুনে কষ্ট পেতে পারেন, কিন্তু আমি স্ট্রেট যা বলার বলে দিলাম। সেজন্য সরি। জানেন! এই সেদিনও এক দম্পতি এসেছিল এবর্সনের ব্যাপারে পরামর্শ নিতে। তাদের ২টি সন্তান। এখন আর নিতে চাচ্ছে না। আমি তাদেরকে প্রশ্ন করলাম, আল্লাহ যখন দিয়েছেনই, তাহলে নিয়ে নিন না! বাচ্চাটাকে হত্যা করা ঠিক হবে না। তখন তারা নানান অপরাগতা প্রকাশ করতে লাগল। তাদের আর্থিক সমস্যা এই-সেই ইত্যাদি। আমি তখন বললাম, ওর রিযিক নিয়েই ও পৃথিবীতে আসবে। আপনারা একটু ধৈর্য ধরুন। আল্লাহ মানুষকে পৃথিবীতে পাঠানোর আগেই তার রিযিক নির্ধারণ করে দেন। ভয়ের কিছু নেই৷
তারা অনড়। অবশেষে আমি বললাম, তাহলে একটা কাজ করুন। গর্ভের এটা যেমন আপনার সন্তান, আর বাকি দুইটাও আপনারই সন্তান। তো আপনার বড় সন্তানটি তো কিছুদিন পৃথিবীর আলো-বাতাস পেয়েছে। এবার তাহলে ওকে খুন করে ফেলুন৷ আর এই গর্ভের বাচ্চাটিকে কিছুদিনের জন্য পৃথিবীর আলো-বাতাসে শ্বাস নেয়ার সুযোগ করে দিন। সন্তান হিসেবে প্রত্যেকের অধিকারই তো সমান তাই না?
উনি আমার কথা শুনে উদ্ভ্রান্তের মতো কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে বললেন, ডা. রাকিব এসব কী বলছেন আপনি? আমি সাবলীলভাবে আবারও বললাম, হ্যাঁ, আপনার বড় সন্তানটিকেই বরং খুন করে ফেলুন।
পাশ থেকে তার স্ত্রী এমনসময় বলে উঠল, ডাক্তার সাহেব, আমাদের কথা আপনি একটু বুঝার চেষ্টা করুন প্লিজ! তার স্ত্রীর এই কথা শুনে আমি বুঝতে পারলাম, আর কাজ হবে না। শেষমেশ পকেট থেকে বেশকিছু টাকা বের করে বললাম, আচ্ছা এই টাকাটা রাখুন। এটা দিয়ে ভালো ও পুষ্টিকর খাবার কিনে খাবেন। এতে গর্ভের সন্তানটা হৃষ্টপুষ্ট হবে। এরপর যখন ও পৃথিবীতে আসবে তখন ওকে আমাকে দিয়ে দেবেন। আমিই ওকে নিজ সন্তানের পরিচয়ে বড় করব। আমিই ওর বাবা হব। আমার স্ত্রী ওর মা হবে। তো এই সন্তানটা যেহুতু আমি নিয়ে নিলাম, সেহেতু ওর ভরণপোষণের দায়িত্বটাও আমার৷ আর তাই এই টাকাটা দিলাম। রাখুন এটা।
একথা বলার পর লোকটির স্ত্রীর চোখে পানি দেখলাম। লোকটিও একদম বোকা বনে গেল। মনে হচ্ছিল এক আকাশ লজ্জা তার আপাদমস্তক ঢেকে নিয়েছে। হঠাৎ সে আমার দু’হাতে ধরে কান্না জুড়ে দিল। অনুতপ্ত হয়ে ক্ষমা চাইল। আমি বললাম, ক্ষমা আমার কাছে না, আল্লাহর কাছে চান। তিনি যেন আপনাদের ওপর গোস্বা হয়ে না যান।
তার স্ত্রী সেই মুহূর্তে অঝোরে কাঁদছিল। তাকে সান্ত্বনা দিয়ে বললাম, আসলে এভাবে করে বলার জন্য আমি সরি বলছি। কিন্তু আপনাদের এবর্সনের কথা শোনামাত্রই একটা নিষ্পাপ চেহারা আমার চোখের সামনে সকরুণভাবে বলছিল, আঙ্কেল আমাকে বাঁচান! আমি বাঁচতে চাই। আমি সেই শিশুর আকুতি ফেলতে না পেরে অনেকটা বাধ্য হয়ে আপনাদেরকে কষ্ট দিলাম। আমি আবারও সরি।
‘আমাদেরকে আর লজ্জা দেবেন না প্লিজ। সহ্য করতে কষ্ট হচ্ছে খুব। আমাদের ভুলটা এভাবে ধরিয়ে দেয়ার জন্য আপনার প্রতি আজীবন কৃতজ্ঞ থাকব স্যার।’ এই কথা বলে তারা বিদায় নিতে চাইলেন। অমনি তার স্ত্রী বলে উঠল, স্যার, আমাদের এই সন্তানের নামটা যদি আমরা আপনার নামেই রাখি, আপনার এতে কোনো আপত্তি থাকবে না তো?
তার স্ত্রীর একথা শুনে আমার চোখদুটো আর সহ্য করতে পারল না। কেঁদে ফেললাম। এরপর অনেক দু’আ করলাম সেই বাচ্চাটির জন্য। তাদের স্বামী-স্ত্রীর জন্য। এরপর তারা চলে গেলেন।
ডা. রাকিব থামলেন।
আদিব ও হাসানের চোখ ছলছল করছে। এমনকরে কোনোদিন কোনো ডাক্তার কাউকে বলেছে বলে শোনেনি কখনও। হয়তো কল্পনাও করেনি। উভয়ে ডা. রাকিবের জন্য কল্যাণের দু’আ করলেন।
ক্ষানিক পর আদিব অস্ফুটে বলল, ‘স্যার, আরও একটি বিষয়ে আপনাকে একটু কষ্ট দেব।’
‘না না সমস্যা নেই। বলুন।’
প্রত্যেক অবিবাহিত যুবক-যুবতী ও বিবাহিত নারী-পুরুষের জন্য অত্যন্ত জরুরি একটি বই ‘লাভ ক্যান্ডি’। বইয়ের একটি গল্প থেকে কিছু অংশ।
Order “Love Candy” Islamic Book Now!
বি:দ্র: লাভ ক্যান্ডি বইটি free pdf download করিতে চাহিয়া লেখকদের নিরুৎসাহিত করিবেন না
হাবিবুর রহমান –
Love candy boita darun lagche. Islamic Boighor ke dhonnobad
Fatehatul –
এখনো পড়িনি পুরোটা, কিন্তু একটু পরেই বুঝে গেছি, এই বই আমার লাগবেই।😇😍😍😍😍😍😍😍।।অনেক সুন্দর একটা বই।
Tanjila Akter –
এক কথায় অসাধারণ এক টা বই।
robiul –
Mashallah sera akta boi🥰🥰
alaminislam3311 –
অসাধারণ