সত্যকথন সত্যের পথে আলো ছড়ানোর একটি পরশপাথর।
মুক্তমনা, বিজ্ঞানমনস্কতা আর মানবতার স্বঘোষিত পতাকাবাহীদের কথা তো অনেক শুনলেন। শুনলেন ইসলাম নিয়ে তোলা তাদের নানা অভিযোগ আর অপবাদ। তাদের বুলি-সর্বস্ব বায়বীয় চেতনা আর জোড়াতালি দেয়া আদর্শের শ্রেষ্ঠত্বের ব্যাপারে ভাসা ভাসা অনেক কথাও শুনলেন। এবার তাহলে অন্য পক্ষের কথা শোনা যাক, কি বলেন?
সবাই যখন ব্যস্ত অন্ধকারের মিছিলে যোগ দিতে তখন আসুন পা বাড়ানো যাক আলোর দিকে। মুছে ফেলা যাক পাথর হয়ে যাওয়া হৃদয়গুলোর উপর জমে থাকা মিথ্যের শ্যাওলাগুলো। পরীক্ষা করা যাক নীতিবাক্য আওড়ানো নৈতিকতার ঠিকাদারদের কথাগুলোর সত্যতা। বিজ্ঞান আর মানবতার চাদর পরিয়ে যে অদ্ভুত ফিলোসফি তারা প্রচার করে, ফাঁপা দেয়ালের বদ্ধ ঘরে আটকে থাকা সেই অন্ধকারের আসল চেহারাটার দিকেও উঁকি দেয়া যাক…
আপনার কি ইচ্ছে আছে সত্যকে জানার? নিঃসঙ্গ পদক্ষেপে হলেও সত্যের খোঁজে পথচলার? তাহলে আজই সংগ্রহ করুন সত্যকথন
সত্যকথন সীরাত পাবলিকেশন এর ইসলামি বই টি পেতে ইসলামিক বইঘর ডট কম এ অনলাইন অর্ডার করুন এখনই।
বি:দ্র: সত্যকথন বইটি free pdf download করিতে চাহিয়া লেখকদের নিরুৎসাহিত করিবেন না
Asadullah Al Galib –
সত্যকথন
সত্য সব সময়ের জন্যই সত্য। সত্য কখনোই মিথ্যে হয়ে যায় না। মাঝেমধ্যে মিথ্যার আড়াল হয়ে যায় শুধু। মিথ্যার কালো পর্দাটা টানলেই দেখা যায় সত্যের আলো উঁকি দিচ্ছে। আর মিথ্যার এই কালো পর্দাটা টেনে সত্যের আলোটা সামনে নিয়ে আসার চেষ্টাটাই হয়তো করতে চেয়েছেন সত্যকথন পরিবার। বইয়ের প্রচ্ছদ এমন কিছুরই আভাস দেয়।
চারদিকে মিথ্যার ছড়াছড়ি। মিথ্যার প্রতিষ্ঠাকেই যেন সবাই এজেন্ডা বানিয়ে নিয়েছে। আর সেটা বাস্তবায়নের জন্য অস্বীকার করছে সত্যকে। সত্য লুকাচ্ছে মিথ্যার আড়ালে। সর্বশেষ আঘাত হানছে সত্য দ্বীন ইসলামের উপর। মিথ্যা প্রতিষ্ঠার একমাত্র অন্তরায় যে দ্বীন ইসলাম। বেছে নিয়েছে মনস্তাত্ত্বিক লড়াইকে। আঘাত হানছে মুমিনদের ঈমানে। সংশয়ের বীজ বুনে দিচ্ছে সরলমনা মুমিনদের হৃদয়ে। সংশয় থেকে ঈমানহারা। সবশেষে মুরতাদ! আহা!! অজ্ঞতার ফলাফল যা হয় আরকি।
ঢাল নিয়ে ময়দানে আসলো এক যুবক। আরিফ আজাদ। শত্রু শিবিরে করলো পাল্টা আক্রমণ। এরপর তাঁর সাথে যোগ দিলো আরোও জনা কয়েক যুবক। ফেসবুকে গড়ে তুললো তাঁদের প্লাটফর্ম। সত্য কথন। লিখনীর আঘাতে জর্জরিত করছিল নাস্তিকদের অবান্তর সব প্রশ্নকে। এরপর সত্যকথন চলে এলো কাগজের পাতায়।
ইসলাম হচ্ছে পরশ পাথর। এ পাথরের ছোঁয়ায় মানুষের জীবন হয় আলোকোজ্জ্বল। বিপরীতে নাস্তিকতা হচ্ছে একটি অপ্রমাণিত, অনৈতিক ধর্ম। এ ধর্মের অনুসারীদেরও পাথেয় হিসেবে রয়েছে কিছু বিশ্বাস। কিন্তু তাদের এসব বিশ্বাসের না আছে কোন প্রমাণ। না আছে কোন বাস্তবতা। অহংকার, অনৈতিকতা আর মিথ্যার উপর ভিত্তি করেই গড়ে উঠেছে তাদের এসব বিশ্বাস। আর এই বিশ্বাসকে তারা ব্যাখ্যা করতে চায় বিজ্ঞান দিয়ে। তাদের কাছে বিজ্ঞান মানেই যেন নাস্তিকতা। আর তাদের নাস্তিকতা ধর্মের সবচেয়ে বড় বাঁধা হচ্ছে ইসলাম। ইসলামের কারণেই তারা একচেটিয়া রাজত্ব করতে পারছে না। সংগত কারণেই ইসলাম হয়ে যায় তাদের একমাত্র শত্রু। শুরু হয় আক্রমণ। ইসলাম বর্বর ধর্ম, আল্লাহ্ বলতে কিচ্ছু নেই, ইসলামের নবী ভন্ড [নাউযুবিল্লাহ] ইত্যাদি ইত্যাদি। এমন সব অবান্তর প্রশ্নের জবাব ও বিস্তারিত আলোচনা রয়েছে সত্যকথন বইটিতে। সহজ-সরল, প্রাঞ্জল ভাষায় খন্ডন করা হয়েছে নাস্তিকদের কিছু কঠিন(!) প্রশ্নের।
সত্যকথনে এমন কিছু ঘটনা আলোচনা করা হয়েছে যা আমি আগে কখনো শুনিনি। নাস্তিকদের ব্যাপারে। ইসলামের ব্যাপারেও। লেখক ভাইয়েরা যথেষ্ট তথ্যবহুল এবং যৌক্তিক আলোচনা করেছেন। তথ্যের বাহার দেখে অনেক বেশি অবাক হয়েছে। কিছু টপিকস পড়ে হয়েছি বিনোদিত। আবার কিছু পড়ে হয়েছি রোমাঞ্চিত।
বইয়ের বানানশৈলী চমৎকার। পেইজগুলোও চমৎকার। তবে বইয়ের কাভারটা আমার কাছে ভালো লাগেনি। লেখনী, প্রিন্টিং, পেইজের তুলনায় কাভারটা একটু সস্তাই হয়ে গেছে। কাভারটা মোটেই আকর্ষণীয় হয়নি।
সব মিলিয়ে সত্যকথন নিঃসন্দেহে একটি চমৎকার বই। পড়লেই বুঝতে পারবেন। চমৎকার কিছু উক্তিও আছে বইটিতে। যেমন ধরুন নিলয় ভাইয়ের উক্তিটি-
‘প্রগতিশীলতা’র তাসের ঘর ফুঁ দিলেই পড়ে যায়। চটকদার শব্দশৈলীতে ঘাবড়ে না গিয়ে ফুঁ-টা দিতে হয়। শয়তানের চক্রান্ত অতিশয় দুর্বল।