রাসূলের চোখে দুনিয়া (কিতাবুয যুহদ)
দুনিয়া এক রহস্যঘেরা জায়গা। এখানে মানুষ আসে। শৈশব, কৈশোর আর তারুণ্যের সিড়ি বেয়ে বার্ধক্যে পৌঁছে। তারপর হঠাৎ একদিন চলে যায়। এই স্বল্পতম সময়ে দুনিয়াবি সফলতার সিঁড়ি বেয়ে উপারে উঠার জন্য মানুষের কি নিরন্তর চেষ্টা। অথচ সে জানে না উপরে উঠতে গিয়ে সে কতটা নিচে নেমে যাচ্ছে।দুনিয়ার সাথে আমাদের সত্যিকার সম্পর্ক কী? দুনিয়ার ব্যাপারে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি কেমন হওয়া উচিত? প্রকৃত সফলতা কিসে? নবী রাসূলদের জীবন ও বক্তব্য থেকে এসব প্রশ্নের উত্তর জানতে পড়ুন ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (রহঃ) রচিত এক কালজয়ী গ্রন্থ ‘কিতাব যুহুদের’ অনুবাদ এই ‘ রাসূলের চোখে দুনিয়া ’
আবু হুরায়রা রাযি. থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন “দুনিয়া মুমিনের জন্য জেলখানা আর কাফিরের জন্য জান্নাতস্বরুপ।” [রাসুলের চোখে দুনিয়া, হাদিস নং-১৪৬]
বইয়ে যা আছে :
বইটি কয়েকজন বিখ্যাত নবী-রাসূলের দুনিয়ার প্রতি অনাসক্তি এবং আখিরাতের প্রতি আসক্তি অর্থাৎ যুহদ বিষয়ক হাদিসের এক উজ্জ্বল ভান্ডার। এতে রাসূল (আ.)-দের যুহদ নিয়ে হাদিসভিত্তিক আলোচনা করা হয়েছে। বইটিতে ১১ জন বিখ্যাত রাসূলের যুহদ সম্পর্কিত হাদিস তুলে ধরা হয়েছে।
বইটিতে যে রাসূলদের যুহদ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে , তারা হলেন :
১) হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
২) হযরত আদম আলাইহিস সালাম
৩) হযরত নূহ আলাইহিস সালাম
৪) হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম
৫) হযরত ইউসূফ আলাইহিস সালাম
৬) হযরত আইয়ূব আলাইহিস সালাম
৭) হযরত ইউনুস আলাইহিস সালাম
৮) হযরত মুসা আলাইহিস সালাম
৯) হযরত দাঊদ আলাইহিস সালাম
১০) হযরত সুলাইমান আলাইহিস সালাম
১১) হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম
বইটি রাসূলদের যুহদ সম্পর্কে জানার এবং রাসূলদের আদর্শ জীবনে বাস্তবায়ন করার এক অনন্য মাধ্যম।
[ রাসূলের চোখে দুনিয়া বইটি পেতে এখনই অর্ডার করুন ইসলামিক বইঘর ডট কম এ ]বি:দ্র: রাসূলের চোখে দুনিয়া বইটি free pdf download করিতে চাহিয়া লেখকদের নিরুৎসাহিত করিবেন না
Sultan Bin Arif –
রাসূলের চোখে দুনিয়া (কিতাবুয যুহদ)
এই বইটিতে বুখারি, মুসলিম, আবু দাউদ, তিরমিযি, নাসাঈ ও ইবনু মাজাহ সহ পরিচিত হাদিস গ্রন্থের উদ্ধৃতি না থাকায় অনেকে অবাক হতে পারেন। কিন্তু বাস্তবতা হলো- উল্লেখিত সকল হাদিস গ্রন্থগুলো রচিত হয়েছে এই কিতাবের পর। এদের মধ্যে ইমাম বুখারি, ইমাম মুসলিম, ও ইমাম আবু দাউদ ছিলেন তার ছাত্র। কিতাবুয যুহুদ বইটি রচিত হয়েছে প্রায় সাড়ে এগারো শত বছর পূর্বে।
আপনার মাথার ভিতরে কি শুধু টাকা ঘুরে আর টাকার ভিতরে মাথা?? টাকার চিন্তায় পুড়িয়ে যাচ্ছেন তামাক বৃক্ষের পাতা??
আপনার কি মনে হয় টাকা থাকলে হ্যান করেংগা ত্যান করেংগা, টাকা না থাকলে ঘোড়ার ডিম?!!!?
এ দুনিয়া টাকার খেলা, টাকা না থাকলে অকূলে ভাসবে আপনার জীবনের ভেলা!!
এই যদি হয় আপনার চিন্তার ধরন তাহলে এই বই আপনার জন্য একদম পারফেক্ট!
এই বই পড়ার পর আপনি ইনশাল্লাহ বুঝে যাবেন টাকা পয়সা তো কোন ব্যাপার না ই বরং পুরো দুনিয়াটাই একখান তুচ্ছ বিষয়!! এই অসাধারণ সংগ্রহে ডুব দিয়ে উঠে আপনার মাঝে হালকা পাতলা বৈরাগ্য ভর করতে পারে (আজকের দুনিয়ার মানুষের চোখে)। এইটা নিয়ে খুব চিন্তা করার কিছু নাই!!
আমাদের বেশিরভাগের ই মুখে তাওয়াক্কুল থাকে আল্লাহর উপরে আর মনে মনে খালি টাকা টাকা করে!! এই tendency থেকে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করবে এই বই!!
দুনিয়ার সাথে আমাদের সত্যিকার সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিত?দুনিয়ায় কি পরিমান ভোগ বিলাস করা উচিত? আমাদের প্রিয় নাবি কারীম (সল্লাল্লাহু আলািইহি ওয়া সাল্লাম) এই দুনিয়াকে কিভাবে দেখেছেন? এমন সব বিষয়কে সামনে রেখে ইমাম আহমদের (রঃ) অসাধারণ এবং অন্তরে আলোড়ন ফেলা সব হাদীস সংকলন এই বই,প্রতিদিন চোখ বুলানোর মত একটি অনবদ্য সংগ্রহ!
আরশ এর মালিক এর উপর ভরসা আরো মজবুত করতে আপনাকে ব্যাপকভাবে প্রেরণা দিবে এটি!!
বিশাল এক প্রেরণার ভান্ডার এর পাশাপাশি সহিহ হাদিসে উল্লেখিত নবী রাসুলদের( স:) কাহিনী পাবেন বোনাস হিসেবে!
অন্তরে যদি একটুখানিও ঈমান থাকে তাহলে আপনার আধুনিক বস্তুবাদী চিন্তার জগতে মারাত্মক ধাক্কা দিবে এই বই!
রাসূলের চোখে দুনিয়া (কিতাবুয যুহদ) বইখান পড়ার পরে আমার মনে হয়েছে আজকের দিনে সহজ সরল জীবন যাপন এর পাশাপাশি আমরা যারা বাইতুল্লাহ থেকে অনেক দূরে আছি তাদের উচিত টাকা জমিয়ে বিলাসিতার চেষ্টা না করে আল্লাহর ঘরে গিয়ে সালাত আদায় করে আসা!
এর পাশাপাশি একটা ইচ্ছা প্রবল হয়ে উঠেছে এই বই পড়ার পর, আল্লাহ যেনো আমাদেরকে আমাদের প্রথম কিবলা মুক্ত করে সেখানে অন্তত দুই রাকাত সালাত আদায় করার তাউফিক দান করেন!!
আমাদের অনেকেরই ইসলাম থেকে কিছু শিখতে চাওয়ায় ব্যাপক অনিহা দেখা যায়!! এখানে সেখানে অনেক মোটিভেশন সেশনে যাওয়া যায় বা বই পড়া যায় কিন্তু ইসলামিক কোন সোর্স থেকে মোটিভেশন নিতে আমাদের ভীষন reluctancy !!
ক্যান রে ভাই??
বলা হয়ে থাকে যে দুনিয়ার তাবৎ লেখক সাহিত্যিক বের হয়ে এসেছে দস্তয়ভস্কির আর টলস্টয় এর কোটের পকেট থেকে!!রাশিয়ান লেখক দস্তয়ভস্কি থেকে ৭ বছরের ছোট ছিলেন টলস্টয়। বয়সে ছোট হলেও টলস্টয় সম্পর্কে দস্তয়ভস্কির মূল্যায়নটা ছিল অকৃপণ ও অসাধারণ : ‘পৃথিবী যদি লিখতে পারত তাহলে টলস্টয়ের মতো করে লিখতো।’
সেই টলস্টয়ের মরদেহ যখন রেলস্টেশনের প্লাটফর্মে পরে ছিল তখন তার কোটের এক পকেটে ছিল দস্তয়ভস্কির একটি উপন্যাসের কপি ও অন্য পকেটে ছিল আমাদের মহানবী হযরত মুহাম্মদ সা: এর বানী সন্মেলিত একটি বই। টলস্টয়ের কাছে যথাযথ মনে হলেও আমাদের অনেক আধুনিক মুসলিম এর কাছে এই অনাড়ম্বরতা সেকেলে মনে হয়( যা আমরা নিজেদের কাজের মাধ্যমে প্রকাশ করে থাকি ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায়)
এই বই পড়ার পরেও যাদের কাছে টাকা/ ধন-সম্পদ বিশাল কিছু তারা পরোক্ষভাবে হলেও নিজেদের কে আল্লাহ আর তার রাসূল (স:) এর থেকে বেশি বুঝদার মনে করে বসে আছেন ( নাউজুবিল্লাহ)
সবশেষে এই বই একটা কথাই আপনাকে বার বার মনে করিয়ে দিবে ‘ Be simple!!, be humble!!’
Alamgir Hossain Manik –
রাসূলের চোখে দুনিয়া।
নবি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন,
“এ দুনিয়ার সাথে আমার কি সম্পর্ক? এ দুনিয়ার সাথে আমার দৃষ্টান্ত হলো এমন এক অশ্বারোহীর ন্যায় যে গ্রীষ্মের একদিন এক বৃক্ষ-ছায়ায় ঈষৎ নিদ্রা গেল, তারপর কিছুক্ষন বিশ্রাম নিয়ে সেখান থেকে চলে গেল”।
[ভাগাড়ে পড়ে থাকা একটা মৃত ভেড়া দেখিয়ে ] রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
“ফেলে দেওয়ার সময় মালিকের নিকট এ ভেড়াটি যতো তুচ্ছ মনে হয়েছে, আল্লাহ তা’আলার নিকট দুনিয়া তার চেয়েও অধিক তুচ্ছ”।
ইমাম আহমাদ ইবনু হাম্বল (রাহিমাহুল্লাহ) এর ‘কিতাবুয যুহুদ’ এর প্রথম ধারাবাহিক অনুবাদ ‘রাসূলের চোখে দুনিয়া’।বইটা পড়তে পড়তে আবেগের সাথে ১৪০০ বছর আগের দুনিয়ায় পৌছে গিয়েছিলাম।নবীজীর চোখে কিভাবে দুনিয়া উপস্থাপন হয়েছিল, কিভাবে তিনি দুনিয়া গ্রহন করেছিলেন, কিভাবে তিনি দুনিয়াকে এড়িয়ে চলেছিলেন তার বিস্তারিত বর্ননা এই কিতাবে পাওয়া যাবে।
নবীজীর টানা কয়েকদিন না খেয়ে থাকা, খন্দকের ময়দানে ক্ষুধার তাড়নায় পেটে পাথর বাধা, উম্মুল মুমিনীনদের ঘরে কয়েক দিন পর্যন্ত টানা চুলা না জ্বলা এসব ঘটনা সত্যি আপনাকে ভীষন কাঁদাবে।অথচ রাসূলের (সা) মুখ মোবারক থেকে বর্নিত হয়েছে তিনি যদি আল্লাহ পাকের কাছে চাইতেন তাহলে উহুদ পাহাড়কে আল্লাহ পাক স্বর্নে রুপান্তরিত করে দিতেন।
নবী করীম (সা) ইন্তেকালের আগ মুহুর্ত পর্যন্ত দুনিয়াকে এড়িয়ে চলেছেন।
এরপর আছে আমাদের আদিপিতা আদম (আ) এর চোখে দুনিয়ার বর্ননা। যথাক্রমে নুহ, ইবরাহীম, ইউসুফ, আইয়ুব, ইউনুস, মূসা, দাউদ, সুলায়মান ও ঈসা (আলাইহিস সালামের) কিছু বর্ননা। এক নজরে সমস্ত রাসূল আলাইহিস সালামের চোখের দৃষ্টিতে দুনিয়াকে দেখে নিতে পারেন এই কিতাবের মাধ্যমে।