আসল বাড়ির খোঁজে ইসলামিয়া কুতুবখানা প্রকাশনীর ইসলামি বই টি পেতে ইসলামিক বইঘর ডট কম এ অনলাইন অর্ডার করুন এখনই।
১। আসল বাড়ির খোঁজে বইটি আপনি ফোন বা অনলাইন এর মাধ্যমে অর্ডার করার পর ইসলামিক বইঘর ডট কম আপনার সাথে যোগাযোগ করবে এবং আপনার বিলি ঠিকানা নিশ্চিত করবে ।
৩। ইসলামিক বইঘর এখন ঢাকা ও এর আশেপাশে ক্যাশ অন ডেলিভারী ও কুরিয়ার সার্ভিস এর মাধ্যমে বই পাঠাচ্ছে । এবং ঢাকার বাইরে কুরিয়ার সার্ভিস এর মাধ্যমে বই পাঠাচ্ছে ।
যে কোন ইসলামী বই পেতে ইসলামিক বইঘর.কম এর সাথেই থাকুন
বি:দ্র: আসল বাড়ির খোঁজে বইটি free pdf download করিতে চাহিয়া লেখকদের নিরুৎসাহিত করিবেন না
Alamgir Hossain Manik –
আসল বাড়ির খোঁজে
সবচেয়ে আকর্ষণীয় ব্যাপার হলো বইয়ের লেখক সাইয়েদ আবুল হাসান আলী নদবি (রাহিমাহুল্লাহ) হলেন সাইয়েদ, তার বাবা-মা উভয়েই রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রিয় নাতি হযরত হাসান রাযিয়াল্লাহু আনহুর বংশধর।
আলী মিয়ার সফর শুরু হয়েছিল সিরিয়ার দামেস্ক থেকে এবং সমাপ্ত হয়েছে এ সিরিয়ার আলেপ্পোতে।শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পুরো সফরে সময় লেগেছে তেরো দিন।
১৯৫৬ সালে তিনি তুরস্কে সফরে যান স্রি দেশের পারিপার্শ্বিক সবকিছু নিজের চোখে দেখার জন্য।ভাবতেই আপনার অবাক লাগে ১৯২৪ সালের আগ পর্যন্ত এই তুরস্কের উসমানী খেলাফত ছিল মুসলিম বিশ্বের প্রান।মজলুম মুসলিমদের যেকোন সহায়তায় সবার আগে আগে ঘোড়ার পিঠে ছুটে যেত উসমানী খেলাফতের শাসকেরা।ইস্তাম্বুল ছিল খেলাফতের রাজধানী।
এইতো মনে হচ্ছে অল্প কিছু বছর আগের কথা।ইস্তাম্বুলে কেউ কখনো ভাবতে পারেনি এই শহরে কখনো কোন বেহায়াপনা কাজ হতেও পারে।অথচ ইতিহাসের পাতা ঘুরতে ঘুরতে দৃশ্যপটটাই পুরো পাল্টে গেল।ইস্তাম্বুলের রাস্তায় রাস্তায় নগ্নতা,বেহায়াপনতা।নিজ চোখে দেখতে পেয়ে এই লেখকের মনের ভেতরের চাপা আর্তনাদ ফুটিয়ে তুলেছেন এই বইতে।কামাল পাশার হাত ধরে ১৯২৪ এর পর আধুনিক তুরস্ক শুধুমাত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি পুরো মুসলিম বিশ্ব এক অভিভাবক হারিয়েছে।
যেখানে এই তুরস্কে সবাই চলাফেরা করতো রাসূলের সুন্নত মোতাবেক সেখানে এখনকার তুরস্কে হাজার হাজার মাইল হাটলেও রাসূলের সুন্নতি পোশাকে কোন মুসলিমকে খুজে পাওয়া যায়না।টুপি তো পড়েই না বরং সকলের মাথায় থাকে ইংলিশ হ্যাট।
সুলতান মুহাম্মদ আল ফাতিহ (রহ.) যখন কনস্টান্টিনোপল (ইস্তাম্বুল) জয় করেন তখন সেখানকার ‘আয়াসুফিয়া’ ছিল একটা খ্রীষ্টান গির্জা।পরবর্তীকালে তিনি সেটা মসজিদে রুপান্তর করেন।কিন্তু আধুনিক তুরস্কের জনক নরাধম মোস্তফা কামাল পাশা সেই পবিত্র মসজিদকে জাদুঘরে রুপান্তরিত করে।এখনও পর্যন্ত এটা জাদুঘর হিসেবেই বিদ্যমান আছে।শত কষ্টের স্মৃতি নিয়ে ঘেরা এই তুরস্ক।
তবে এখনো সেখানে ইসলামের পুনর্জাগরনের অনেক সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।যুবসমাজ আবার ইসলামী শরীয়ত প্রতিষ্ঠা করার কাজে আপ্রান চেষ্টা করে যাচ্ছে।ইনশাআল্লাহ আবার হয়তো তুরস্ক সেই পুরোনো দিন ফিরে পেতে পারে।সুলতান সুলায়মান (রহ.) এর মত আবার কেউ একজন হয়তো তুরস্কের বুকে ইসলামের দাপট নিয়ে আবার গর্জে উঠে দাঁড়াবে।