ভালোবাসার বন্ধন
কৈশোরের প্রেম কি আমাদের পক্ষে থামানো সম্ভব??
মনের মাঝে জমা হওয়া আবেগের মেঘমালা কি বিনা বৃষ্টিতেই কেটে যাবে?
প্রেমে পড়া অপরাধ নয়। এটা কৈশোরের এক প্রকার অধিকারও বটে।
অপরাধ হলো মহান রবের নিয়ম করে দেয়া বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ না হয়ে প্রেমে জড়ানো।আল্লাহর অবাধ্য হয়ে সমস্ত ভালোবাসাই অপবিত্র, হারাম। আর বিয়ের পর সকল ভালোবাসাই পবিত্র, ইবাদত- এক জান্নাতী শিহরন।
কারো প্রেমের অধিকার নষ্ট হোক তা আমরা চাই না। তাই পুরো বইটি জুড়ে যে ম্যাসেজগুলো আমরা অভিভাবক মহলে পৌছাতে চাই তা হলো-
-ছেলে মেয়ে বয়ঃসন্ধিকালে পদার্পনের পর পারস্পারিক আকর্ষন জম্মাবে। কাউকে ভালোবাসতে চাইবে। এটা বাস্তব।এটাকে অস্বীকার করার উপায় নাই।বরং এটাই সৃষ্টিকর্তারই এক বিশেষ নেয়ামত মানবসমাজে প্রতি। তাই সন্তান বয়ঃসন্ধিকালে পদার্পনের পরই ইসলাম বিয়ে দিতে বলেছে –
আমরা যেমন বইটিতে কৈশোরের এই প্রেম ভালোবাসার বাস্তবতা তুলে ধরেছি তেমনি অভিভাবকদের নিকট এই বাস্তবতা স্বীকার করে সন্তানের বিয়ে করিয়ে দেয়ার আবেদন জানিয়েছি।
কিন্তু আমাদের বাবা মায়েরা বিভিন্ন শর্ত দেয়- বিয়ে করে বউ খাওয়াবি কি? সহজসরল যুক্তি দিয়ে সেসব অভিযোগ গুলোরও খন্ডন করা হয়েছে।যুক্তি ও দলিলের আলোকে এটা প্রমান করে দিয়েছি যে দারিদ্রতা বিয়ের জন্য কোনো বাধা নয় বরং বিয়েই স্বাবলম্বী হওয়ার অন্যতম এক মাধ্যম।
কিন্তু এরপরও অনেক বাবা মায়ের কাছে সন্তানের চারিত্রিক পবিত্রতার কোনো গুরুত্ব হয়তো থাকবে না। আবার অনেকে বিয়ে করা ব্যতিত হারাম প্রেমও ছাড়তে পারছেন না।দ্বীন পালনে সতর্ক সেসব প্রেমিক-প্রেমিকাদের সমাধানের একমাত্র পথ বিয়ে। খুব সহজে কিভাবে বিয়ে করে সম্পর্কটাকে পবিত্র করা যায় – তা খুব সহজসরল বোধগম্য ভাষায় বলে দেয়া হয়েছে ‘ভালোবাসার বন্ধন ’ বই এর মাঝে।
অনেক দ্বীনদার ছেলেও মেয়েও প্রেম নামক হারাম সম্পর্কের মাঝে আছে। ইনশাআল্লাহ হয়তো তারা তাদের সম্পর্কটাকে হালাল করে নেয়ার সুযোগ পাবে।অন্ততপক্ষে মহান রবের আজাব ও চারিত্রিক অপবিত্রতা থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারবে।
প্রেম আমাদের কাছে শুধু আল্লাহর অবাধ্য হয়ে হারাম সম্পর্ক নয়। হারাম প্রেম শুধু সমাজ কিংবা পারিবারিক প্রথার ধ্বংসের মুল অস্ত্রই নয়- হারাম প্রেম পুরো মানবতার জন্য ক্ষতিকর।একটা পশু সন্তান জম্ম দিলে তার সন্তানের অধিকার রক্ষা করে।কিন্তু হারাম প্রেমের কারনে নষ্ট হচ্ছে শতশত মানবসন্তান।নিজ হাতে নবজাতককে হত্যা করে কিংবা ডাস্টবিন বা ময়লার স্তুপে ফেলে এসে মা তার মানবতার কবর রচনা করেছেন।নিজেদের পশুদের থেকেও নিম্মপর্যায়ের প্রানীর অন্তর্ভুক্ত করেছেন।
কিন্তু এটাও বাস্তব- প্রেম – শারিরিক সম্পর্ক মানুষের মৌলিক চাহিদার অংশ।আমরা যখন সন্তানের বিয়ের ব্যবস্থা না করবো। সময় হওয়ার পরও কেউ বিয়ে করতে চাইলে বাধা দিবো- তখন হারাম সম্পর্ক বন্ধ করা সম্ভব হবে না।
আমাদের কাছে হারাম প্রেমকে নেশার মতো মনে হয়। যেভাবে মাদকের নেশা মানুষকে ধ্বংস করে দিচ্ছে তেমনি হাজারও প্রান নষ্ট হয়ে যাচ্ছে এই প্রেমের নেশায়।প্রেম অন্তরে পচন ধরায়।
হারাম প্রেমের এই মহামারি থেকে বাচাতে দরকার হলো বিয়ে – বিয়ের গুরুত্ব মুসলমান যুবক যুবতির কাছে রয়েছে অনেক।
এক হাদিসে আছে : যে ব্যক্তি আল্লাহর সামনে পুত ও পবিত্র অবস্থায় উপস্থিত হতে চায় সে যেনো বিয়ে করে। একটি পবিত্র ও ভালোবাসাময় জীবনের জন্য বিয়ে মুসলিম যুবকযুবতির জন্য খুবই দরকার। আমাদের জীবনে বিয়ের গুরুত্ব উপলদ্ধি করার জন্য হলেও বইটি একবার পড়ুন। প্রিয় মানুষগুলোকে উপহার দিন…
আমরা একটি পবিত্র ভালোবাসার বন্ধনের সমাজ দেখতে চাই। হারাম প্রেম ও নিষিদ্ধ ভালোবাসার মাঝে আমরা বাচতে চাই না..
আমরা চাই প্রিয়তমার পানে যখন প্রেমিক গভীর দৃষ্টিতে তাকিয়ে যে নিঃশ্বাসটুকু ছাড়বে তার স্পর্শটুকু পবিত্র হোক… প্রেমিকার মায়াবী চেহারার দিকে তাকানোর সময় চোখের দৃষ্টিতে থাকুক এক জান্নাতী জীবনের স্বাদ.. যা দেখে মহান রব খুশি হবেন.. আর ফেরেশতারাও নেকি লিখতে থাকবেন…
বি:দ্র: ভালোবাসার বন্ধন বইটি free pdf download করিতে চাহিয়া লেখকদের নিরুৎসাহিত করিবেন না
সামিউল আলম –
যুবকদের জন্য বিশেষ করে যারা হারাম সম্পর্কের সাথে জরিয়ে আছে তাদের খুবই উপকারীএকটাবই
RA Akash –
please teake care your book