সন্তান গড়ার কৌশল
বাগানে ফুল ফুটুক, পাখি ডাকুক, এটা সকল মালীই চায়। কেন চাইবে না বলুন? বাগান গড়ে তোলার জন্যে কি তাকে কম কষ্ট করতে হয়? বীজ বোনা থেকে নিয়ে পরিচর্যা—কত কত কষ্ট সহ্য করতে হয় একজন মালীকে। তার কষ্ট তখনই সফল হয়, যখন সাধের বাগানখানি ফুলে ফুলে ভরে ওঠে। ঠিক তেমনিভাবে প্রতিটি বাবা-মা’কেও অনেক কষ্ট পোহাতে হয় আদুরে সন্তানের জন্যে। সন্তানকে মানুষ করার জন্যে জন্মের পর থেকেই দিনরাত খাটাখাটনি করতে হয়। মা-বাবার এত এত কষ্ট তখনই আনন্দের অশ্রু হয়ে ঝরে, যখন সন্তান মানুষের মতো মানুষ হয়।
আসলে আলোকিত সন্তান সবাই চায়। কিন্তু সন্তানকে আলোকিত করতে হলে কী কী পদক্ষেপ নিতে হবে, সে সম্পর্কে অনেকেই বেখবর। অনেকের ইচ্ছে থাকে সন্তান গড়ার কলাকৌশল জানার। কিন্তু সঠিক নির্দেশনার অভাবে তারাও অনেকসময় ভুল পদক্ষেপ নিয়ে ফেলেন। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে সন্তানের ওপর। এমন সমস্যায় যেন আর কাউকেই পড়তে না হয়, সে জন্যেই আমাদের এই গাইডলাইন। এই বইয়ের প্রতিটি পৃষ্ঠা বাবা-মা’কে শিখিয়ে দেবে কীভাবে আলোকিত মানুষ হিসেবে সন্তানকে গড়ে তুলতে হয়।
বি:দ্র: সন্তান গড়ার কৌশল বইটি free pdf download করিতে চাহিয়া লেখকদের নিরুৎসাহিত করিবেন না
Rafsan –
বই : সন্তান গড়ার কৌশল
মূল : জামিলা হো
অনুবাদ : নিশাত তামমিম ও মেহজাবীন ইসলাম মীম
সম্পাদনা : ডা. শামসুল আরেফীন
সন্তান ,প্রত্যেক মুসলিমের জন্য আল্লাহ প্রদত্ত এক রাহমাতের নাম। কেননা,মানব সন্তানই বাড়াবে উম্মাতে মুহাম্মাদিনের সংখ্যা আর আল্লাহর অগণিত গোলাম। কিন্তু সেই মানব সন্তান যদি সুশিক্ষা ,সঠিক পরিচর্যা এবং ইসলামের বিধানানুযায়ী বেড়ে না ওঠে তবে তা মা-বাবা,পরিবার এবং সমাজের জন্য গ্লানিকর বৈ আর কিছুই হয় না।
🌿যদিও সন্তান লালন পালনের বেসিক কিছু উপয়াদি সকল মা- বাবারই জানা থাকে;তবুও কিছু জিনিস বোঝার অভাবে মাঝে মধ্যেই তাদেরকে হতবুদ্ধি হয়ে পড়তে হয়। গবেষণায় দেখা গেছে ,সন্তান যখন বেড়ে উঠতে শুরু করে তখন তারা মা বাবার শিক্ষা,নীতি- নৈতিকতা এবং মূল্যবোধ নিয়ে বেড়ে ওঠে। প্যারেন্টিং বিহেভিয়ারের মাধ্যমে শিশু প্রতিনিয়ত মারাত্মকভাবে প্রভাবিত হতে থাকে। তাই সন্তানের ফিতরাত বা প্রকৃতি বুঝে তাদের সাথে সেই মোতাবেক আচরণ করতে হবে। মা বাবার একটুখানি পজিটিভ বডি ল্যাঙ্গুয়েজ এবং এক্সপ্রেশান সন্তানের অনুভূতিকে ব্যাপকভাবে নাড়া দেয়। প্রত্যেক মা বাবারই উচিত সন্তানের সাথে কোয়ালিটি টাইম স্পেন্ড করা,তাদের অনুভূতিগুলো প্রকাশের সুযোগ করে দেয়া এবং মনোযোগ দিয়ে তাদের কথাগুলো শোনা। এই জিনিসগুলো তাদের মধ্যে আস্থা জাগায়।সন্তানরা যে কোন বিষয় নিয়ে অকপটে আলোচনা করার মত জায়গাটুকু যেন মা বাবার কাছে পায় সেটা নিশ্চিত করতে হবে।