সাইয়্যেদা ফাতিমা (রাযি)
সাইয়্যেদা ফাতেমা তিনি লালিত-পালিত হয়েছেন নবীগৃহে। শিক্ষাগ্রহণ করেছেন নিজ পিতা নবীসম্রাটের আলয়ে। শিক্ষা নিয়েছেন সরাসরি রিসালাতের চেরাগদান থেকে। সুধা পান করেছেন আপন পতি ইমাম আলী (রা.) এর ইলম ও ফিকহ এবং জ্ঞান ও প্রজ্ঞা থেকে।
অর্জন করেছেন উচ্চতর স্তর ও মহানতর প্রশংসা। ইতিহাস লিপিবদ্ধ করেছে তার অনুপম অবস্থা। ধারণ করেছে তার নিজ প্রভু ও পিতা এবং স্বামী সমাজের সঙ্গে মহত্তর চিত্র। কে আছে তার মর্যাদা স্পর্শ করবে? দুনিয়ার কোনো নারী আছে যে তার সমকক্ষ হবে?
সেই মহীয়সীর জীবনকথা নিয়ে রচিত বই,
বি:দ্র: সাইয়্যেদা ফাতিমা (রাযি) বইটি free pdf download করিতে চাহিয়া লেখকদের নিরুৎসাহিত করিবেন না
Abdur Rahman Iqbal –
বই: সাইয়্যেদা ফাতিমা (রাদ্বিআল্লাহু আনহা) – The Golden Stories Of Sayyida Fatimah.
(১)
তাকে বলা হয় “বিশ্ব নারীকুলের নেত্রী)
তাকে ” জান্নাতী রমনীদের নেত্রী”ও বলা হয়।
রাসুলকন্যা এবং আলী রা. এর প্রিয়তমা স্ত্রী এবং হাসান হুসাইনের রা. এর জননী তিনি।
তিনি মহিয়সী নারী সাইয়্যেদা ফাতিমা রা.।
কেমন ছিলেন তিনি?
কেমন ছিলো তার জীবন যাপন পদ্ধতী?
তিনি রাসুলের কন্যা। তার তো থাকার কথা ছিলো রাজকন্যার মতন। অথচ তিনি সত্যিই রাজকন্যা ছিলেন এবং তিনি রাজকন্যাই থাকবেন।
(২)
ফাতিমা রা. সর্বাদাই ছিলেন দুনিয়া বিমুখি। এমনকি নিজের শিশুকালেই তিনি দুনিয়াবি বিষয়ের প্রতি কখনোই আকৃষ্ট হন নি।
তিনি ছিলেন লজ্জার আঁধার।
তিনি সত্য কথা বলতেন।
এত এত গুনের অধিকারী রমনীটিই হলেন সাইয়্যেদ আল মুরসালিনের প্রিয় কন্যা সাইয়্যেদা ফাতিমা রা.।
রাসুলই (সা.) ছিলেন তার শিক্ষক। তিনি তো রাসুলেরই (সা.) শিষ্য।
(৩)
রাসুল (সা.) কাবা শরীফে সালাত আদায় করছিলেন। দুর্ভাগা উকবা বিন আবি মুঈত উটের পঁচা ভুড়িটা এনে সে রাসুলের (সা.) পিঠে চাপিয়ে দিলো।
ইবনে মাসউদের কাছ থেকে ঘটনা শুনে ছোট ফাতিমা রা. দৌড়ে কা`বা প্রাঙ্গনে এলেন। কারো পরওয়া না করে তিনি পিতার পিঠ থেকে ময়লা সরালেন। কাফেররা তখন হাসছিলো আর তালি দিচ্ছিলো। ফাতিমা রা. তাদের ঘৃনা দৃষ্টিতে দেখে বললেন,
আহকামুল হাকিমীন তোমাদের অপকর্মের শাস্তি অবশ্যই দেবেন।
(৪)
তিনি ঘর ঝাড় দিতেন। ঝাড় দেয়া শেষ না হতেই শুরু করতেন চাক্কি পেষা। চাক্কি পেষা শেষ না হতেই যেতেন পানি আনতে। পানি আনার পরপরই শুরু করতেন খাবার রান্নার কাজ। তারপর কাপড় সেলাই করতেন। কাপড় ধোয়া, বিছানা ঝাড় দেয়া, ঘর লেপন সবই করতেন। পাশাপাশি স্বামী এবং স্বামীর পরিবারের হকও আদায় করতেন।
এমন মহিয়সীর জীবন থেকে কি আমরা শিক্ষা গ্রহন করবো না?
ফাতিমা রা. এর অনেক অনেক জিবন কাহিনী বাজারে পাওয়া যায়। তবে হুদহুদের বইটা অনেক ব্যাতিক্রম ছিলো। স্বল্প কথায় অনেক বড় বড় বিষয় বোঝানো হয়েছে বইটিতে। ভাষার সৌন্দর্য মাশাআল্লাহ দারুন।
অনুবাদক যথেষ্ট করেছেন।
Fahria Islam Auno –
ফাতিমা (রা:) যিনি ছিলেন প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা:) এর নয়ন এর মনি,একজন আদর্শ স্ত্রী,আদর্শ মা।তিনি হবেন জান্নাতি নারীদের সর্দার। কেমন ছিল তার শৈশবকাল, তার সংসার জীবন,তার আমল ইখলাস, মাতৃস্নেহের ধরণ বিস্তারিত জানতে পড়ুন বইটি।