প্যারাডক্সিক্যাল আয়েশা
আল্লাহ তায়ালা মানবজাতি সৃষ্টির সূচনাতেই পুরুষের পরিপূরক হিসেবে নারী জাতিকে সৃষ্টি করেছেন। দুনিয়ায় বলুন বা পরকালে, সবখানেই নারীই পুরুষের পরিপূরক। আমরা ইতিহাসের পাতায় দেখি নারীর ভালোবাসা ও পরম যত্নেই বহু কীর্তিমান সফলতার উচ্চ শিখরে আরোহনে সক্ষম হয়েছেন। আবার নারীর কপটতা ও ষড়যন্ত্রের দরুন পৃথিবীতে নেমে এসেছে বহু মহা বিপর্যয়। আজও নারীর ভূমিকা আমাদের পুরুষতান্ত্রিক সমাজেও অপরিসীম।
একবিংশ শতাব্দীতে নারীর ক্ষমতায়ণ ও আধুনিকায়ণের এক বিরাট বিপ্লব ঘটেছে। শিক্ষা, চাকরি ও প্রগতিতে নারীর অংশগ্রহণ বেশ আশঙ্কাজনক। তবে ভয়ের বিষয় হচ্ছে আমার আপনার মেয়ে বা বোন কোন শিক্ষা অর্জন করছে? তারা চাকরিতে গিয়ে কতটা নিরাপত্তাবলয়ে আছে? আধুনিকতার নামে তারা কি পাশ্চাত্যের নোংরা সংস্কৃতিতে মেতে উঠছে না? এই প্রশ্নগুলোর কোনো সদুত্তর সচেতন অভিভাবকের কাছে নেই। যার ফলে আমাদের সমাজে ধর্ষিতা ও পতিতার সংখ্যা বেড়েই চলেছে, বেড়েছে পরকীয়া, জিনা ব্যভিচার ও আত্মহত্যা। নারী অধিকারের নামে তাদের শেখানো বুলিগুলো কেবল মুক্তমনা ব্যক্তিদের বাতলে দেওয়া কথা নয়, বরং এগুলো কুরআন-সুন্নাহর সম্পূর্ণ বিপরীতমুখী এক মতাদর্শ। যা সরলা নারীর কোমল মনে খুব সহজেই অবিশ্বাসের বীজ বুনে দেয়।
স্বার্থাণ্বেষীরা নারীকে আন্দোলনের নামে পণ্য হিসেবে উপস্থাপন করছে, নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারে নানারকমের পায়তারা করছে। ‘একজন আদর্শ মা মানে, একটি আদর্শ সমাজ’ এই বাণীর পরিবর্তে তারা লালন করে ‘একজন আধুনিক নারী মানে, একটি আধুনিক সমাজ’ এই আদর্শকে। অথচ এই আধুনিকতাই আমার আপনার মা-বোনদের করছে ধর্ষিতা, বানাচ্ছে বিলবোর্ডের আকর্ষণীয় ছবির মডেল কিংবা পুরুষদের সামনে উদ্যম নৃত্যের নর্তকী। অথচ ইসলাম তাকে দিয়েছে পরিবারে শাহজাদির মর্যাদা, কুরআন ঘোষণা করেছে নারীর অত্যধিক সম্মানের কথা, রাসুল সা. নারীকে আখ্যা দিয়েছেন, পরিবারের জন্য বরকতময় ও কল্যাণের প্রতীক৷
ইসলাম নারীকে দিয়েছে পর্দার মতো এক রক্ষাকবচ, ওয়ারিশের ক্ষেত্রে করেছে সবচেয়ে লাভবান ও অধিকারিণী। তবুও সেকুলার ও নাস্তিকরা বলে বেড়ায় নারীর অগ্রযাত্রায় সবচেয়ে বড় বাধা ইসলাম। ইসলামই নারীকে করে রেখেছে ঘরবন্দী। দাসত্বের নির্মমতায় ইসলাম নাকি নারীকে বানিয়েছি ভোগের পণ্য। সেকুলারদের এসব উদ্ভট ও অবান্তর দাবীগুলোর যৌক্তিক ও দালিলিক জবাব গদ্যের ভঙ্গিতে উপস্থাপন করা হয়েছে ❝প্যারাডক্সিক্যাল আয়েশা❞ বইটিতে।
যে সকল ধর্মপ্রাণ মুসলিম নারীরা নিজেদেরকে একবিংশ শতাব্দীর সকল ফেতনা থেকে নিজেকে বিরত রাখতে বদ্ধপরিকর তাঁদের জন্য এই বইটি হবে চিন্তার খোরাক। আর যারা সেকুলার ও নাস্তিকদের মুখোশ উন্মোচন করে নারীর যথাযথ মর্যাদা বাস্তবায়নে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে চায়, তার জন্য এই বইটি হবে সর্বোত্তম পাথেয়।
বি:দ্র: প্যারাডক্সিক্যাল আয়েশা বইটি free pdf download করিতে চাহিয়া লেখকদের নিরুৎসাহিত করিবেন না
শামিম ওসমান –
আলহামদুলিল্লাহ।
সুমাইয়া জহির বোনকে যথেষ্ট শ্রদ্ধা ভালবাসার সহিত বলবো। কারোর বইয়ের সাথে মিশ্রণ হয় এমন কোন কিছুই না আনা ভালো। যাইহোক, আপনি আলহামদুলিল্লাহ যথেষ্ট চৌকস ও বুদ্ধিমত্তার সাথে বইটির লেখা সম্পন্ন করেছেন। আর লেখার সিকোয়েন্স সত্যি অসাধারণ। দুআ রইলো।