কিং সোলাইমান (আ.) এবং ৭২ জিন-শয়তানের গল্প
সোলাইমান (আ.)-র অধীনে বাহাত্তরটি জিন-শয়তান ছিল। তিনি এই জিন-শয়তানদের দাস হিসাবে ব্যবহার করতেন এবং তাদের দ্বারা নানা অসাধ্য কাজ সম্পাদন করাতেন। এরা ছিল জিন সম্প্রদায়ের মধ্যে সবচেয়ে বিপজ্জনক এবং ক্ষতিকারক শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত।
পরবর্তীতে এই জিন-শয়তানদের হাত থেকে সাধারণ মানুষদের রক্ষা এবং কোনো মানুষ যেন এদের ব্যবহার করে কোনো খারাপ কাজ সম্পাদন করতে না পারে সেজন্য, তিনি এই জিন-শয়তানদের একটি পিতলের পাত্রে বন্দি করে সমুদ্রে ফেলে দিয়েছিলেন।
তবে জানা যায়, পাত্রটি ব্যাবিলনীয়রা আবিষ্কার করেছিল, তারা মনে করেছিল এটিতে গুপ্তধন রয়েছে। যখন তারা পাত্রটির মুখ খুলল, তখন ডেমন এবং তাদের সৈন্যদল মুক্ত হয়ে যায় এবং তারা তাদের বাড়িতে ফিরে যায়।
কিন্তু বেলিয়াল নামে একজন জিন-শয়তান থেকে যায়। যিনি একটি ছবিতে প্রবেশ করেছিলেন। যারা তার পূজা বা সাধনা করার মাধ্যমে তাকে সন্তুষ্ট করতে পারতো তিনি তাদের ভবিষ্যৎ বাণী করতেন এবং গুপ্ত-রহস্য জগত সম্পর্কে নানা রকম তথ্য প্রদান করতেন।
“লেমেগেটন”, যা সোলাইমানের “লেজার কী” নামে পরিচিত। এটি এমন একটি কিতাব যেখানে এই বাহাত্তরটি জিন-শয়তানকে আহ্বান এবং তাদেরকে নিয়ন্ত্রণ করার পদ্ধতি বর্ণনা করা হয়েছে। এই জিন-শয়তানদের ব্রাজেন ভেসেলের জিন-শয়তান বলা হয়।
বাহাত্তরটি জিন-শয়তান সম্পর্কে লেমেগেটন এবং অন্যান্য বিভিন্ন জাদুর কিতাবে তাদের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। এই বাহাত্তর জিন-শয়তানের যেসব নাম দেয়া হয়েছে, তার মধ্যে কিছু প্রাচীন প্যাগান দেব-দেবীর নামের অনুরূপ যেমন: “মারকুইস”, “আম্মোন”, “ডিউক” এবং “অষ্টারোথ” বা “রাজা বাল”।
প্যাগানদের দেব-দেবীর নামে এসব জিন-শয়তানদের সংজ্ঞায়িত করার কিছু কারণ স্কলাররা তুলে ধরেছেন। এর মধ্যে একটি অন্যতম কারণ হচ্ছে এসব জাদুর কিতাবের লেখকরা অধিকাংশ-ই খ্রিষ্টান স্কলার বা পাদ্রি ছিলেন। আর, সিমেটিক ধর্মের অনুসারী এবং এর স্কলাররা মনে করেন, প্যাগানরা দেব-দেবীর নামে মূলত শয়তান কিংবা খারাপ জিনদের পূজা করতো। উপরন্তু, বাহাত্তরটি জিন-শয়তানের মধ্যে কিছু জিন-শয়তানের নাম অজানা ছিলো। তাই, এসব গবেষকরা নিছক ধারণার ওপর ভিত্তি এবং প্যাগানদের ওপর তাদের ভিন্ন দৃষ্টভঙ্গি থেকেই, তারা এসব অজানা জিন-শয়তানদের নামের ক্ষেত্রে প্রাচীন দেব-দেবীর নাম ব্যবহার করেছিলেন।
এসব দেব-দেবীর মূল ভক্তরা আজ যদি দেখতে পেতো যে, তাদের দেব-দেবী আজ প্রেতাত্মা হিসাবে সংজ্ঞায়িত হচ্ছে তবে তারা হতবাক হয়ে যেতো । কিছু ক্ষেত্রে এই বিকৃতি এমন পর্যায় চলে গিয়েছে যে, তাদের লিঙ্গও পরিবর্তিত হয়ে গিয়েছিল।
ইউরোপীয় খ্রিষ্টান স্কলাররা পুরোপুরি অজ্ঞানতাবসত শুধুমাত্র ধারণা ওপর ভিত্তি এবং বিভিন্ন ডেমনলজিস্টদের মুখের কথার ওপর ভিত্তি করে এই বাহাত্তরটি জিন-শয়তানের মধ্যে র্যাঙ্ক নির্ধারণ করেছেন। তবে, এসব জিন-শয়তানদের কার্যকারিতা এবং অস্তিত্ব নিয়ে কোনো স্কলারদের মধ্যে কোনোরকম দ্বিমত নেই।
বি:দ্র: কিং সোলাইমান (আ.) এবং ৭২ জিন-শয়তানের গল্প বইটি free pdf download করিতে চাহিয়া লেখকদের নিরুৎসাহিত করিবেন না
Reviews
There are no reviews yet.