জীবিকার খোঁজে
জীবিকার খোঁজে মানুষ হরহামেশা ছুটে চলে। দিনের-পর-দিন রাতের-পর-রাত পরিশ্রম করে। কেউ কেউ এ পথে আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়, কেউ-বা এক বুক ক্ষুধার যন্ত্রণা নিয়ে রাত পার করে। কেউ কেউ খাবার নষ্ট করে ডাস্টবিনে ফেলে দেয়, কেউ-বা ডাস্টবিনের খাবার থেকে ক্ষুধা নিবারণ করে।
ঝালমুড়ি বিক্রি করে কোনোমতে জীবিকা-নির্বাহ করে অনেকেই তৃপ্তি পায়, আবার কেউ কেউ অ্যাসির ভেতরে পিৎজা খেতে খেতে অস্বস্তি প্রকাশ করে। জীবিকা অর্জনের পথে কেউ কেউ হারাম পথ বেছে নেয়। আবার কেউ কেউ এত অলসতা করে যে, জীবিকার খোঁজে পা পর্যন্ত ফেলে না। অথচ “ঈমান আনার পর পর সর্বোত্তম কাজ কোনটি”—আবূ যর রাদিয়াল্লাহু আনহু-কে এই প্রশ্ন করলে তিনি বলেছিলেন, “সালাত আদায় করা ও রুটি খাওয়া।”
কাজেই জীবিকা অর্জনের জন্যে অবশ্যই চেষ্টা করতে হবে। সুযোগ থাকা সত্ত্বেও হাত গুঁটিয়ে বসে থাকলে চলবে না। এখন প্রশ্ন আসতে পারে, জীবিকা অর্জনের জন্যে কোন কোন পথ বেছে নেওয়া যাবে? এর মাত্রা কতটুকু হবে? জীবিকার তাগিদে কি হালাল-হারামকে এক করে ফেলা যাবে? নাকি আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুল করে কেবল বাড়িতে বসে থাকলেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে? এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে অনেকেই বাড়াবাড়ি করে, আবার অনেকেই ছাড়াছাড়ি করে।
কেউ কেউ জীবিকার পেছনে এতটা সময় ব্যয় করে যে, আখিরাতের প্রস্তুতি নেওয়ার সময়টুকুন মেলাতে পারে না। আবার কেউ কেউ তাওয়াক্কুলের ভুল ব্যাখ্যা করে বৈরাগ্যবাদ বেছে নেয়। অথচ তাওয়াক্কুলের মানে যে হাত গুঁটিয়ে বসে থাকা নয়, সে কথা কানেই তুলতে চায় না। জীবিকা-অনুসন্ধানের ভারসাম্যপূর্ণ পথের সন্ধান পাওয়া যায় রাসূল স.-এর হাদীস ও সাহাবিদের বিভিন্ন বক্তব্যের মধ্যে।
সেসব দিকনির্দেশনার ভিত্তিতেই ইমাম আবূ হানীফা রাহ.-এর সুযোগ্য ছাত্র ইমাম মুহাম্মাদ রাহ. হিজরি দ্বিতীয় শতকে রচনা করেছিলেন “আল কাস্ব”। যেখানে তিনি অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের ভারসাম্যপূর্ণ চিত্র তুলে ধরেছেন। ইসলামি অর্থনীতির প্রাচীনতম গ্রন্থ এটি। কিতাবটি ব্যাখ্যা করেছেন ইমাম সারাখসি রাহ. এবং শাইখ আবদুল ফাত্তাহ আবূ গুদ্দাহ রাহ. এতে প্রয়োজনীয় টীকা সংযুক্ত করেছেন। নিঃসন্দেহে হাজার বছর পূর্বে ইসলামের সোনালি-যুগে রচিত এই বইটি জীবিকা অর্জনের পথে আপনার দিকনির্দেশক হিসেবে কাজ করবে।
বি:দ্র: জীবিকার খোঁজে বইটি free pdf download করিতে চাহিয়া লেখকদের নিরুৎসাহিত করিবেন না
Reviews
There are no reviews yet.