হামাস ফিলিস্তিন মুক্তি আন্দোলনের ভেতর-বাহির
কারাগারের ভেতরে শেখ আহমাদ ইয়াসিন কখনোই দিন, মাস গুনতেন না। তার বিরুদ্ধে যাবজ্জীবনসহ অতিরিক্ত আরও ১৫ বছরের কারাদন্ড ছিল। তাই তিনি ধরে নিয়েছিলেন অলৌকিক কিছু না ঘটলে কখনোই মুক্ত পৃথিবীতে ফিরতে পারবেন না। সেই ধারণা থেকে কারাগারের সময়টাকে তিনি সর্বোচ্চ কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছেন।
কারাগারেই তিনি কুরআন হেফজ করার সিদ্ধান্ত নেন। সাধারণ সকল ইসলামিক নেতৃবৃন্দ কারাগারে গিয়ে কুরআন পাঠ বা মুখস্থ করার চেষ্টা বেশি করেন। কারণ, এতে তারা স্বস্তি এবং মানসিক প্রশান্তি লাভ করেন। শেখ ইয়াসিনও তাই করলেন। ১৯৯০ সালের মধ্যেই তিনি গোটা কুরআন হেফজ করতে সক্ষম হলেন।
এরপর কীভাবে নিজেকে ব্যস্ত রাখা যায়, তা নিয়ে ভাবতে ভাবতে তিনি আল মাজমু নামক ইসলামিক জুরিসপ্রূডেন্স বা ইসলামি বিচারিক কাঠামোর ওপর লেখা ২৩ খন্ডের বিশাল একটি অ্যানসাইক্লোপিডিয়া পড়ে ফেলেন।
একই সঙ্গে তিনি ইসলামের ইতিহাস এবং আরবি ব্যাকরণের ওপরও বিস্তর পড়াশোনা করলেন। এগুলো পড়ার ফাঁকে ফাঁকে বাকিটা সময় তিনি নামাজ এবং আল্লাহর জিকির করতেন। তিনি প্রচুর পরিমাণে নফল নামাজ এবং কুরআন পড়তেন।
আল্লাহর কী কুদরত। তাকে এতদিন জেলে থাকতে হয়নি। কারাবাসের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই খোদ ইসরাইলীরাই তাকে ডেকে নিয়ে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। হেলিকপ্টারে করে কারাগার চত্ত্বর থেকে তাকে ইসরাইলী ব্যবস্থাপনায় দেশের বাইরেও নিয়ে যাওয়া হয়। তার চিকিৎসা হয় জর্ডানের একটি উন্নত হাসপাতালে।
বি:দ্র: হামাস ফিলিস্তিন মুক্তি আন্দোলনের ভেতর-বাহির বইটি free pdf download করিতে চাহিয়া লেখকদের নিরুৎসাহিত করিবেন না
সাকিব –
আলহামদুলিল্লাহ