হজ উমরা ও যিয়ারত গাইড
প্রায় ৫০০০ বছর পূর্বে মক্কা নগরীতে পবিত্র কা’বা ঘর পুনর্নির্মাণের নির্দেশ পেলেন ইব্রাহীম । নির্মাণ শেষে সমগ্র মানবগোষ্ঠীকে লক্ষ্য করে হজে আসার আহ্বান জানিয়ে ঘোষণা উচ্চারণ করারও আদেশ পেলেন তিনি। নির্দেশ মতো ঘোষণা উচ্চারণ করলেন ইব্রাহীম । সে ইব্রাহীমি ঘোষণায় সাড়া দিয়ে বর্তমানে বিশ লক্ষাধিক ধর্মপ্রাণ মুসলমান প্রতি বছর পবিত্র নগরী মক্কায় গমন করে থাকে হজ পালনের উদ্দেশ্যে। হজ,হাতে-গোনা নির্ধারিত কয়েকটি দিনে পালিত হওয়ার বিষয় হলেও,একজন মানুষের জীবনকে ঢেলে সাজাতে সাহায্য করে নতুন করে। কেউ যখন হজ পালনের উদ্দেশ্যে ঘরসংসার ছেড়ে রওয়ানা হয় মক্কার পথে। মনে মনে সে ভাবতে লাগে যে আত্মীয়-পরিজন,জীবনের মায়া-মোহ,নিত্যদিনের ব্যস্ততা-দৌড়ঝাপ ইত্যাদির শেকল ছিঁড়ে সে কেবলই ধাবমান হচ্ছে আল্লাহর পানে। নিজের একান্ত পরিচিত জীবন থেকে আলাদা হয়ে প্রবেশ করতে যাচ্ছে সে আল্লাহর যিকির-স্মরণের ভিন্নতর এক জগতে। সে নিজেকে এমন জায়গায় নিয়ে যাচ্ছে যেখানে আছে ‘বায়তুল্লাহ’ আল্লাহর ঘর। যেখানে আছে রাসূলুল্লাহ ও তাঁর সাহাবাদের ত্যাগ ও অর্জনের সোনালি ইতিহাস। যেখানে আছে ওইসব মানুষের ত্যাগের ইতিহাস যাদের প্রতিটি নিশ্বাসে প্রবাহ পেয়েছে আল্লাহর স্মরণ-ভক্তি-ভালোবাসা। যাদের জীবন-মৃত্যু নিবেদিত হয়েছে একমাত্র আল্লাহর উদ্দেশ্যে। হ পালনকারীর হৃদয়ে এ ধরনের ভাবও উদিত হয় যে,এমন এক পবিত্র ভূমির দিকে সে পা বাড়াচ্ছে,আল্লাহ যেটাকে চয়ন করেছেন তাঁর শেষ হিদায়াত প্রকাশের জায়গা হিসেবে। এভাবে হজের সফর মানুষের হৃদয়ে শুরু থেকেই সৃষ্টি করে আল্লাহ-মুখী এক পবিত্র চেতনা যা হজের প্রতিটি কাজকে করে দেয় ইখলাসপূর্ণ।
বি:দ্র: হজ উমরা ও যিয়ারত গাইড বইটি free pdf download করিতে চাহিয়া লেখকদের নিরুৎসাহিত করিবেন না
Reviews
There are no reviews yet.