ডাবল স্ট্যান্ডার্ড-২.০
ইসলাম নারীকে যে অধিকার দিয়েছে, আমরা সেগুলো সামাজিকভাবে বাস্তবায়ন করিনি। আবার ‘ধর্মের দোহাই’ দিয়ে এমন অনেক কিছু নারীর ওপর চাপিয়ে দিয়েছি, যেগুলোর সাথে ইসলামের কোনো সম্পর্ক নেই। আমরা ধর্মের নামে হয় হিন্দুয়ানি সংস্কৃতি আঁকড়ে থাকি, অথবা পশ্চিমা ছকে নারীমুক্তির নকশা আঁকি। এ দুই লেন্সের ফাঁদে পড়ে জীবন কেটে যায়। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে পশ্চিমা নারীবাদের বীজ বপন করে নানান এনজিও, মিডিয়া কিংবা যুগের ‘বেগম রোকেয়া’রা।
আসলে সমস্যাগুলো বেশ জটিল। আর এ সমস্যাগুলো নিয়ে এক মলাটের ভেতর আলোচনা করা বেশ কঠিন। কঠিন হলেও কাজটা হওয়া দরকার। পশ্চিমা নারীবাদের আসল রূপ তুলে ধরা দরকার। আলহামদু লিল্লাহ, এ কঠিন কাজটি ডা. শামসুল আরেফীন করার চেষ্টা করেছেন। পশ্চিমের ধাঁচে ইসলামকে ব্যাখ্যা না করে, ইতিহাসের মনোমতো ছবি না এঁকে, ইসলামের আদি ও অকৃত্রিম অবস্থান তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। পাশাপাশি নারীবাদের মুখোশ উন্মোচন করার চেষ্টা করেছেন এই বইতে।
বি:দ্র: ডাবল স্ট্যান্ডার্ড-২.০ বইটি free pdf download করিতে চাহিয়া লেখকদের নিরুৎসাহিত করিবেন না
Riyad –
Osadaron
1proshohag –
মাশা আল্লাহ্।
Nasifa Siddika –
বই: ডাবল স্ট্যান্ডার্ড ২.০
লেখক: ডাঃ শামসুল আরেফিন
সম্পাদক : আসিফ আদনান
শারঈ সম্পাদক: আবদুল্লাহ আল মাসউদ
♦️ রিভিউঃ ”পূর্বেকার যুগে বিভিন্ন সভ্যতায় নারীদের অত্যাচার-নির্যাতনের মাধ্যমে দমিয়ে রাখার অজস্র বর্ণনা ইতিহাসে আছে। এখনো ইউরোপ-আমেরিকাসহ আধুনিক বিশ্বে তাদের দমিয়েই রাখা হচ্ছে, তবে তা নতুন বুদ্ধিবৃত্তিক শক্তির দ্বারা। নারী স্বাধীনতা – নারী ক্ষমতায়ন – নারী সমতা- নারীশিক্ষা ইত্যাদির মতো অস্পষ্ট এবং লুকায়িত উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বুলি দিয়ে এ যুগে চলছে নারীর সহজাত প্রবৃত্তির বিপরীতে তাদের দমনের আধুনিক পর্ব। একালে এসব কিছুর জন্ম দুজায়গা থেকে: ১. লোভী পুঁজিবাদীদের চক্রান্ত ২. মানববুদ্ধির ছায়াতলে আশ্রয় নেয়া জীবনের ভুল দর্শনে দীক্ষিত ইউরোপীয় চিন্তাচেতনা।
ডা. শামসুল আরেফীন ভাইয়ের লিখা ডাবল স্ট্যান্ডার্ড ২.০ বইটিতে তিনি নারীদের নিয়ে এ সকল বোধ ও চিন্তার যৌক্তিক ও তথ্যসমৃদ্ধ বিশ্লেষণের মাধ্যমে এর স্বরূপ তুলে ধরেছেন। স্রষ্টার সৃষ্ট ফিতরাতের যে দ্বীন বা তাঁর দেয়া জীবনব্যবস্থা, ইসলাম, সে দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যাপারটিকে চিন্তা ও ইতিহাস উভয়েরই কষ্টিপাথরে যাচাই করে দেখিয়েছেন। আরো আলোচনা করেছেন ইসলাম যদি স্রষ্টা প্রদত্ত সমাধান বা ব্যবস্থাই হয়, তবে চিন্তা, যুক্তি কিংবা তত্ত্বগত দিক ছাড়া বাস্তব বা ঐতিহাসিকভাবে ইসলাম নারীদের কিভাবে পরিচালনা করেছে? এ যুগে এসে কেন তবে ভারত উপমহাদেশ তথা মুসলিম বিশ্বেই নারীদের এ করুণ অবস্থা? ইসলাম কি এ ফাটলের জন্য দায়ী?
নারী সংক্রান্ত দর্শনের সংক্ষিপ্ত আদ্যোপান্ত ইসলামের চোখে সাহিত্যের আলতো স্পর্শে জানতে ডাবল স্ট্যান্ডার্ড ২.০ বইটি অবশ্যপাঠ্য।”
(রিভিউ অংশটুকু ’তাজওয়ার রাফি’ ভাইয়ের রিভিউ হতে নেয়া)
♦️পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ ডাবল স্ট্যান্ডার্ড ২.০ বইটা শেষ করে বেশ কিছুক্ষণ বইয়ের দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলাম। বইটা যখন পড়া শুরু করি তখন কোন ভাবেই এই অদ্ভুত প্রচ্ছদের মানে ধরতে পারছিলাম না। অথচ পড়া শেষ করে স্পষ্ট বুঝতে পারলাম প্রচ্ছদে উল্লেখিত ছাতাটি হলো ইসলাম আর তার নিচের আলোকিত অংশে আমাদের নারীদের অবস্থান। যাকে ইসলাম নামক ছাতা সকল বজ্র, বৃষ্টি আর বিপদ থেকে রক্ষা করছে।
লেখকের কথা মতোই বইয়ের পাতায় পাতায় হাসতে আর কাঁদতে হয়েছে। কান্নাটা ছিল মনের অভ্যন্তরে চলা সংঘর্ষেরই একটা প্রকাশ। ছোট বেলা থেকে জেনে আসা ধারণাগুলোর, সব সময় চোখের সামনে দেখা মোহনীয় কিছু রুপের ভণ্ডামিগুলো যখন কেউ চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় তখন যেরকম অনুভূতি হওয়ার কথা আমার অনুভূতিটা ছিল ঠিক সেরকম ই। এভাবে কেউ কখনো যুক্তি আর পরিসংখ্যান দিয়ে দেখিয়ে দেয়নি কোনদিন। কেউ কখনো এভাবে বুঝিয়ে দিয়ে আহ্বান করেনি, চোখ ধাঁধানো শিশির বিন্দুতে ধোঁকা না খেয়ে ফিরে এসো আমাদের প্রজাপতিরা!
আমি আজ ক্লান্ত, বিধ্বস্ত, পরাজিত! খুব ইচ্ছে হচ্ছে পশ্চিমা পুঁজিবাদের তৈরি করে দেয়া সেই লেন্স টাকে ছুড়ে ফেলে দিয়ে ছাতার নিচের সেই স্বর্গীয় আলো ইসলামে এসে আশ্রয় নিতে। পারব কি?
-নাসিফা সিদ্দিকা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়