ডেসটিনি ডিজরাপ্টেড গার্ডিয়ান পাবলিকেশন্স এর ইসলামি বই টি পেতে ইসলামিক বইঘর ডট কম এ অনলাইন অর্ডার করুন এখনই।
১। ডেসটিনি ডিজরাপ্টেড বইটি আপনি ফোন বা অনলাইন এর মাধ্যমে অর্ডার করার পর ইসলামিক বইঘর ডট কম আপনার সাথে যোগাযোগ করবে এবং আপনার বিলি ঠিকানা নিশ্চিত করবে ।
৩। ইসলামিক বইঘর এখন ঢাকা ও এর আশেপাশে ক্যাশ অন ডেলিভারী ও কুরিয়ার সার্ভিস এর মাধ্যমে বই পাঠাচ্ছে । এবং ঢাকার বাইরে কুরিয়ার সার্ভিস এর মাধ্যমে বই পাঠাচ্ছে ।
৫। বইয়ের মুল্য bKash, ডাচ বাংলা মোবাইল বা ক্যাশ অন ডেলিভারী এর মাধ্যমে প্রদান করা যাবে । বাংলাদেশের যে কোনো প্রান্তে ৪০ টাকায় বই পৌছে দেয়া হবে ।
যে কোন ইসলামী বই পেতে ইসলামিক বইঘর.কম এর সাথেই থাকুন
বি:দ্র: ডেসটিনি ডিজরাপ্টেড বইটি free pdf download করিতে চাহিয়া লেখকদের নিরুৎসাহিত করিবেন না
উম্মে তুরজাউন মারিয়া –
বই: ডেসটিনি ডিজরাপ্টেড :ইসলামের চোখে পৃথিবীর ইতিহাস
লেখক: তামিম আনসারী
অনুবাদক: আলী আহমাদ মাবরুর
প্রকাশনী: গার্ডিয়ান পাবলিকেশন
হার্ডকভার মূল্য: ৫০০
পৃষ্ঠা: ৪৩২
‘ডেসটিনি ডিজরাপ্টেড : ইসলামের চোখে পৃথিবীর ইতিহাস’ বইটি তামিম আনসারীর একটি অনবদ্য ইতিহাস গ্রন্থ। মুসলমানদের ঐতিহাসিক ধারাবাহিকতা’ই বইটির মূল উপজীব্য। অনন্য সাধারণ তথ্যসূচি এবং সুনিপুণ ভাষায় লেখা ইতিহাস গাঁথা একটি বই। ২০০৯ সালে প্রকাশিত হওয়ার পর আন্তর্জাতিক বাজারে অনেক দিন সর্বাধিক বিক্রিত বই হিসেবে পরিচিত ছিল।
২০১০ সালে বইটি নর্থান ক্যালিফোর্নিয়া বুক অ্যাওয়ার্ড লাভ করে।
আধুনিক পৃথিবী যতটা বিজ্ঞানমনস্ক, ঠিক ততটাই শেকড়সন্ধানী। এই শেকড়ের সন্ধান করতে গিয়েই বহু ঐতিহাসিক তাদের লেখনীর মাধ্যমে পৃথিবীর ইতিহাস তুলে ধরেছেন। বইটিতে ইসলামের চোখে ইতিহাস বর্ণনা করা হলেও ধর্মীয় দৃষ্টিকোণের পরিবর্তে প্রামাণ্য ঐতিহাসিক ঘটনাগুলোই বেশি প্রাধান্য পেয়েছে।
★★★বইকথন____
ইতিহাস মানেই আমরা কঠিন রসকষহীন প্রচুর তথ্যপূর্ণ গাদাগাদা লেখাকে বুঝি। ‘ডেসটিনি ডিজরাপ্টেড’ বইটি পড়ার পর এই ধারনাটা বদলে যাবে। লেখক বইটিকে ১৬টি ভাগে ভাগ করেছেন। লেখকের এ ভাগ করার মধ্যেই সামগ্রিক ইতিহাসের মৌলিক ধারনাগুলো জানা যায়।
১ম ভাগে____
এই অধ্যায়ের নাম ‘দ্য মিডল ওয়ার্ল্ড’। লেখক এই অধ্যায়ে মধ্যপ্রাচ্যকে মধ্য পৃথিবী হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। এই অধ্যায়ে ইসলামি যুগের আগের চিত্রকে তুলে ধরেছেন। সুমের সভ্যতা, মেসোপটেমিয়ান সভ্যতা, চালডিয়ান সভ্যতা, ব্যাবিলনীয় সভ্যতা, পারস্য সভ্যতা, জরথ্রুষ্ট ধর্মচর্চা ও এর প্রভাব, পারথিয়ানসদের উত্থান, রোমান সাম্রাজ্য, বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্য এবং এই যুগগুলোতে সামাজিক, ধর্মীয় বিষয়গুলো আলোচনা করেন।
২য় ভাগে____
এই অধ্যায়ের নাম দ্য হিজরা। হযরত মুহাম্মদ (সঃ)এর আবির্ভাবের ঠিক আগ মুহূর্তে মক্কার সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, ধর্মীয় কাঠামো কেমন ছিলো, নবীজির জন্ম,নবুয়ত লাভ, হিজরতের প্রভাব, গুরুত্ব, মক্কার প্রভাবশালী নেতৃত্বের সাথে তার দ্বন্দ্ব, হিজরি সালের শুরু, মদিনা জীবনের রাসূল (সঃ) এর যুদ্ধ, চ্যালেঞ্জসমূহ, সমাজিক ও মানবিক চেতনার বিকাশ, মক্কা বিজয়,বিদায় হজ ও রাসূলের (সঃ) ওফাতের বিষয়গুলো আলোচনা করেছেন।
৩য় ভাগে____
খেলাফতের জন্ম হিজরি ১১-২৪ বা ৬৩২-৬৪৪ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত ইতিহাসের বর্ণনা করেছেন। খলিফা নির্বাচন, খিলাফত প্রক্রিয়া বিভিন্ন সমস্যা, নতুন খলিফার কাজের ধরণ, রাষ্ট্র পরিচালনার নীতিসমূহ, ১ম খলিফার ইন্তেকাল, ২য় খলিফা নির্বাচন, ২য় খলিফার রাষ্ট্রনায়কোচিত ভূমিকা, ইসলামের বিকা ও ব্যাপ্তি, সামাজিক ও লিঙ্গবৈষম্য দূরীকরণ ইত্যাদি বিষয় আলোচনা করেছেন।
৪র্থ ভাগে____
এই অধ্যায়ের নাম বিভেদ-বিভাজন। তৃতীয় খলিফা নির্বাচন, রাষ্ট্র পরিচালনা, তার মানবিক গুণাবলী, খেলাফত কালের শেষ সময়ে সৃষ্ট সংকট, হযরত উসমানের শাহাদাত, চতুর্থ খলিফা নির্বাচন, মুয়াবিয়া (রাঃ) সাথে সম্পর্কের অবনতি, হযরত আয়েশার (রাঃ) এই ইস্যুতে ভূমিকা, উটের যুদ্ধের দুঃখজনক ইতিহাস, খেলাফতের মধ্যে প্রথম বিভাজন,আলীর (রাঃ) মৃত্যুর ঘটনা পর্যন্ত আলোচনা করেন।
৫ম ভাগে____
উমাইয়া সাম্রাজ্যের কাহিনী নিয়ে এই অধ্যায়। কারবালার করুন কাহিনীর বর্ণনা,শহীদি চেতনার উদ্ভব,ইয়াজিদের শাসন, খেলাফতের উত্তরাধিকার বিতর্ক, শিয়া জনগোষ্ঠীর সৃষ্টি ও বিকাশ, উমাইয়াদ যুগের সূচনা, সাম্রাজ্যের বিকাশ, উমাইয়াদ শাসকদের বিলাসিতা, রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক অবকাঠামো উন্নয়ন, আরবী ভাষায় ব্যপকভিত্তিক প্রচলনের ইতিহাস প্রভৃতি আলোচিত হয়েছে।
৬ষ্ঠ ভাগে____
এই অধ্যায়ের নাম আব্বাসিদ যুগ। উমাইয়া সৃষ্ট সামাজিক বৈষম্য, মানুষের অসন্তোষ, একই উম্মতের মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন চিন্তা ও দৃষ্টিভঙ্গির বিকাশ, খারিজিদের ইতিহাস, উমাইয়াদের পতন, বাগদাদে মুসলমান সভ্যতার নতুন প্রাণকেন্দ্র স্থাপন ইত্যাদি নিয়ে এই অধ্যায়ে আলোচনা করেছেন।
৭ম ভাগে____
‘জ্ঞানী, দার্শনিক ও সুফি সাধকদের যুগ’ এই অধ্যায়ের নাম। ইসলামের সৃষ্ট নতুন নতুন সমস্যা, প্রশ্নের ব্যাখ্যার প্রয়োজন হলে কিভাবে তার সুরাহা হবে, হাদিসের উৎপত্তি,সংরক্ষণ, বিশুদ্ধতা যাচাই,ইসলামী শরীয়তের উৎস, ইজমা, কিয়াস, মাজহাব সৃষ্টি, শিয়া সুন্নিদের চিন্তার মধ্যকার ফারাক,গ্রিক ও অন্যান্য দার্শনিকদের নিয়ে আলোচনা,মুসলিম মনিষী ও দার্শনিক, সুন্নিদের চার মাজহাব, সুফিবাদের উত্থানের কারণ ও ইতিহাস নিয়ে এই অধ্যায়ে আলোচনা করেন।
৮ম ভাগে____
তুর্কিদের আবির্ভাব ও উত্থান দিয়ে এই অধ্যায়ের শিরোনাম। আগের অধ্যায়ের ধারাবাহিকতায় বুদ্ধিবৃত্তির আন্দোলনের বিকাশ, উমাইয়াদ বংশের আবারো শাসন প্রতিষ্ঠা, মিশরে ফাতিমাইদের খেলাফত প্রতিষ্ঠা, খেলাফতের ভিন্নতা, আন্দালুসিয়ার ইতিহাস, মামলুক শ্রেণীর উত্থান, সুলতান মাহমুদ গজনবীর বিজয়াভিযান, মহাকবি ফেরদৌসি ও শাহনামা, সেলজুকদের আবির্ভাব ও উত্থান, নিজাম-উল-মুলকের আমল, তার কাজের ধরণ ও উন্নয়নের চিত্র ইত্যাদি বিষয় আলোচিত হয়েছে।
৯ম ভাগে____
‘ব্যপক বিপর্যয় ও নৈরাজ্য’ এই অধ্যায়ের শিরোনাম।অনগ্রসর ইউরোপের ধারাবাহিক উন্নয়ন, ফিলিস্তিন সংকটের সূচনা ইতিহাস, মুসলমানদের কিছু রাজ্যের দখল হয়ে যাওয়া, জেরুজালেম দখল, খ্রিষ্টান বাহিনীর পৈশাচিকতা, বাগদাদ দখল সহ আরো
বিভিন্ন মুসলমান রাষ্ট্রের পতন নিয়ে আলোচিত হয়েছে।
১০ম ভাগে____
এই অধ্যায়ের নাম ‘পুনরুত্থান’। তৈমুর লং এর আগ্রাসন, ইবনে তাইমিয়ার আগমন ও ইসলামের পুনরুত্থানের ক্ষেত্রে অবদান, সুফিবাদের ক্রমাগত বিকাশ, জালালউদ্দিন রুমির আগমন, অটোম্যান সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠা, শিয়াদের বিষয়, পারস্য সাম্রাজ্য শিল্পকলার প্রভাব ও অসাধারণ স্থাপত্য শিল্প, মোঘলদের ২০০ বছরের সফল শাসন নিয়ে আলোচনা করেন।
একাদশ ভাগে____
এ অধ্যায়ের নাম ইউরোপের তৎকালীন অবস্থা। এই অধ্যায়টা সম্পর্কে আমার কৌতুহল অনেক দিনের। এ অধ্যায়ে লেখক মুসলিস সাম্রাজ্যের প্রতি ইউরোপিয়ানদের তীব্র লোভ, ইতালীয়দের প্রাথমিক সাফল্য, ইউরোপিয়ানদের মুদ্রা, বাণিজ্য কৌশল প্রভৃতি বিষয় এ অধ্যায়ে ঠাঁই পেয়েছে।
দ্বাদশ ভাগে____
‘পাশ্চাত্যের প্রাচ্যমুখী অভিযান’ এই নামে দ্বাদশ অধ্যায়। ব্যবসায়ী হয়ে মুসলিম সাম্রাজ্যে ইউরোপিয়ানদের আগমন, ভাস্কো দা গামার অভিযান, ব্রিটিশদের উপমহাদেশে শাসন কৌশল, নেপোলিয়ন বোনাপার্টের ইতিহাস, মিসরের ইতিহাস, ইউরোপিয়ানরা কিভাবে ক্রমশ ভোগ, দখল করেছে তার ইতিহাস এ অধ্যায়ে আলোচিত হয়েছে।
ত্রয়োদশ ভাগে____
এই অধ্যায়ের শিরোনাম সংস্কার আন্দোলন। এই অধ্যায়ে মুসলমান সমাজে সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা কীভাবে সৃষ্টি হলো, খ্রিষ্টানদের প্রোটেস্ট্যান্ট আন্দোলনের সাথে মুসলমানদের সংস্কার আন্দোলনের পার্থক্যসর আরো বিষয় বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হয়েছে।
চতুর্দশ ভাগে____
শিল্প, সংবিধানতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ এই অধ্যায়ের আলোচিত বিষয়। ইউরোপিয়ানদের প্রভাব মুসলিম রাষ্টের শিক্ষা, শিল্প, সংবিধান, জাতীয়তাবাদে বিস্তরভাবে পড়ে।
পঞ্চদশ ভাগে____
‘ধর্মনিরপেক্ষ আধুনিকপন্থিদের উথান’ এই অধ্যায়ের নাম। মুসলিম খেলাফতের পতন, তুরস্কে কামাল আতাতুর্কের ইতিহাস, মুসলিম দেশগুলোতে ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতিষ্ঠার ইতিহাস এই অধ্যায়ে তুলে ধরেন।
ষোড়শ ভাগে____
এই অধ্যায়ের শিরোনাম আধুনিকতার সংকট। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও মুসলিম রাষ্ট্রে এর প্রভাব, ভারত, পাকিস্তানের জন্ম ইত্যাদি বিষয় আলোচনা করেন
সপ্তদশ ভগে____
‘স্রোতের বিপরীতমুখে যাত্রা’ এই অধ্যায়ের নাম। ইতিহাসের নতুন খেলোয়ার হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আবির্ভাব, জামাল আব্দুল নাসেরের পতন, ধর্মনিরপেক্ষবাদীদের সাথে ওয়াহাবীদের বিবাদ, ইরাক-ইরান যুদ্ধ, সমাজের বৈষম্য সৃষ্টি, সাদ্দাম হোসেনের কুয়েত দখল এবং সর্বশেষ আমেরিকার টুইন টাওয়ারে হামলায় এসে ইতিহাস বিবরণীর সমাপ্তি ঘটে।
★★★ভালোলাগা___
১৩০০+ বছরের মোটামুটি ক্রোনোলজিক্যাল এই বর্ণনা লেখক যেভাবে তুলে ধরেছেন সেটা আসলে কোন একাডেমিক বর্ণনা না,বরং পাঠকের সাথে যেনো বসে গল্প শোনানোর মতো। ইতিহাসের মতো জটিল একটা বিষয়কে লেখক ভেঙেচূরে নতুন আঙ্গিকে সৃষ্টি করে দেখিয়ে দিয়েছেন যে ইতিহাসকেও সত্য, সুন্দর, রসালো ভাবে তুলে ধরা যায়। ভারিক্কী কোন কিছু নেই,আছে দ্রুতগতির সুলিখিত সহজবোধ্য তথ্য,আছে এনেকডোট,আছে কিছু কিছু ক্ষেত্রে লেখকের নিজের ব্যাখ্যা যা পাঠকের পড়তে পড়তে একঘেয়েমি চলে আসেনা। বরং লেখকের সাথে ইতিহাসে ডুবে যেতে হয়।
★★★বইটি যাদের জন্য___
ইসলামের দৃষ্টিতে পুরো বিশ্বের ইতিহাস জানতে হলে এই বইটিকে মৌলিক বই বলা যায়।
যারা ইতিহাস জানতে চান কিন্তু প্রচুর সাল, তথ্যের মধ্যে মনোযোগ রাখতে পারেননা তাদের জন্য বইটি।
অনুবাদক আলী আহমাদ মাবরুর বইটি সম্পর্কে বলেছেন, “এই বইটিকে ইসলামি ইতিহাসের বিশ্বকোষ হিসেবে বিবেচনা করা যায় এবং এই বইয়ে যে পরিমাণ তথ্য রয়েছে তা দিয়ে আরো বেশ কয়েকটি বই লেখাও সম্ভব।”
বিশ্বের সত্য ও আদি ইতিহাস ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে সামগ্রিক ভাবে জানতে হলে এই বইটি পড়ে সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবে। বইটিতে তামিম আনসারী সমগ্র বিশ্বের ইতিহাসকে এতো সুন্দর ও গোছালো ভাবে প্রকাশ করেছেন, তাতে যেকোনো মানুষ আকৃষ্ট হবে।
★★★লেখক পরিচিতি____
লেখক তামিম আনসারির জন্ম ১৯৪৮ সালের ৪ নভেম্বর আফগানিস্তানের কাবুলে। বর্তমানে একজন পাবলিক স্পিকার হিসেবে তিনি খুব জনপ্রিয়। ২০০১ সালে আমেরিকার টুইন টাওয়ারে হামলার পর তিনি বেশকিছু বই লিখে আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। যার মধ্যে অন্যতম হলো ‘ডেসটিনি ডিজরাপ্টেড’, ইস্ট অব কাবুল: ওয়েস্ট অব নিউইয়র্ক। ২০০৯ সালে ‘ডেসটিনি ডিজরাপ্টেড’ বইটির প্রথম প্রকাশের পর তুমুল জনপ্রিয়তা লাভ করে।
★★★অনুবাদক পরিচিতি____
‘ডেসটিনি ডিজরাপ্টেড’ বইটির বাংলা অনুবাদ করেছেন আলী আহমদ মাবরুর। পেশায় সাংবাদিক। তিনি তাঁর অনুবাদ গ্রন্থগুলোতে সবসময় সাবলীল ভাষা ব্যবহারের মাধ্যমে পাঠকের আকর্ষণ ধরে রাখতে চেষ্টা করেন। ‘ডেসটিনি ডিজরাপ্টেড’ বইটিতেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। এই বইটি তার প্রথম অনুবাদ গ্রন্থ।
★★★মন্তব্য_____
মাত্র ৪৩২ পৃষ্ঠার মধ্যে সমগ্র ইতিহাসের একটা সামগ্রিক ধারণা তুলে ধরা মোটেও সহজ বিষয় নয়। তাই লেখককে গুরুত্ব অনুসারে কিছু বিষয় এড়িয়ে যেতে হয়েছে। লেখকের বাছাইপর্বের কাজটির জন্য বইটি আমাকে মুগ্ধ করেছে। বিভিন্ন সাম্রাজ্যের উত্থান-পতন, সমৃদ্ধি ইতিহাস এসব বিষয় খুব সুনিপুণ, নিখুত ও নিরপেক্ষভাবে তুলে ধরেছেন।
তাছাড়া বইয়ের প্রচ্ছদ ও মলাট খুব সুন্দর ছিলো। ভেতরের বিভিন্ন জায়গায় প্রয়োজনীয় মানচিত্র ব্যবহার করে পাঠকদের বুঝতে সহযোগিতা করেছেন।
চমৎকার এই বই লেখার জন্য ধন্যবাদ অবশ্য-ই লেখকের প্রাপ্য। সেই সাথে অনুবাদ করে বাংলা ভাষাভাষীদের পড়ার সুযোগ করে দেওয়া জন্য অনুবাদক আলী আহমদ মাবরুর এবং গার্ডিয়ান প্রকাশনীকে ধন্যবাদ।