ডেলিভারিং হ্যাপিনেস
কল্পনা করুন তো, আপনি কোনো ই-কমার্স থেকে কিছু কেনার উদ্দেশ্যে তাদের হেল্পলাইনে ফোন দিলেন। কাস্টমার কেয়ার প্রতিনিধি জানাল, প্রোডাক্টটি তাদের স্টকে নেই। তবে এরপরই ঘটল একটা মজার ব্যাপার। সে সাথে সাথেই তাদের প্রতিযোগী সাইটগুলোতে খুঁজতে শুরু করে দিল আপনার পছন্দের প্রোডাক্ট। খুঁজে পেতেই আপনাকে সাইটের লিংক দিয়ে দিল!
ভাবতেও অবাক লাগছে, তাই না? অথচ গ্রাহকসেবার এমন আরো হাজারো উদাহরণ বাস্তবেই করে দেখিয়েছে গ্রাহক পরিষেবায় পৃথিবীখ্যাত ই-কমার্স জ্যাপোস.কম। যাদের শ্লোগানই হলো—পাওয়ার্ড বাই সার্ভিস।
জ্যাপোসের পেছনের মানুষটির নাম—টনি সেহ, ফাউন্ডার এবং সাবেক সিইও। মাত্র নয় বছর বয়স থেকেই টনি উদ্যোক্তা হতে চেয়েছেন। শৈশব-কৈশোরে নানান অদ্ভুত সব ব্যবসায় হাত দিয়েছেন। সেই ১৯৯৮ সালেই মাইক্রোসফটের কাছে ২৬৫ মিলিয়ন ডলারে একটা স্টার্টআপ বিক্রি করে সেই টাকা দিয়ে বিলিয়ন ডলার কোম্পানি জ্যাপোস প্রতিষ্ঠা করেন টনি সেহ। তবে শুরুটা এত সহজ ছিল না। পদে পদে আসা বাধা বিপত্তিকে কীভাবে মোকাবেলা করে গ্রাহকসেবায় পৃথিবীর শীর্ষ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠা করলেন সে গল্পই এই বইতে বলেছেন টনি সেহ। পাশাপাশি উঠে এসেছে তাঁর ব্যক্তি জীবনের নানান অভিজ্ঞতা ও উপলব্ধি।
তবে এসবের বাইরেও বইতে তিনি এমন কিছু কথা বলছেন যা কেউ বলেনি আগে। তিনি হাতে কলমে দেখিয়েছেন, একটি চমৎকার অফিস কালচার আপনার বিজনেসকে কীভাবে নিয়ে যেতে পারে সাফল্যের চূড়ায়। কর্মীদের পারষ্পরিক আন্তরিকতা কীভাবে কোম্পানির মুনাফাতেও দারুণ প্রভাব ফেলে। কীভাবে একইসাথে পেশাগত ও ব্যক্তিজীবনে সুখ খুঁজে পেতে হয়।
আপনি যদি ব্যবসা বা চাকরির সাথে জড়িত থাকেন তাহলে তো বটেই, যেকোনো মানুষের জন্যই ‘ডেলিভারিং হ্যাপিনেস’ এক সুখপাঠ্য অনুপ্রেরণার গল্প।
বি:দ্র: ডেলিভারিং হ্যাপিনেস বইটি free pdf download করিতে চাহিয়া লেখকদের নিরুৎসাহিত করিবেন না
Reviews
There are no reviews yet.