বিশ্বাসের বহুবচন (শাপলা থেকে শাহবাগ)
রশীদ জামীল : গণজাগরণ মঞ্চের সাথে হেফাজতের নামটিও সামনে চলে আসে। হেফাজতের প্রতি সরকারের প্রথমে মমতাময় আচরণ ও পরে নির্মম আচরণের কী কারণ ছিল বলে আপনার মনে হয়?
গোলাম মাওলা রনি : গণজাগরণের সাথে হেফাজতের আন্দোলনের মৌলিক পার্থক্য রয়েছে। ধারণা করা হয়, সারা দেশ হতে কমপক্ষে ১০ লাখ লোক ছুটে এসেছিলেন এবং মতিঝিলে তাদের একটা অংশ অবস্থান নিতে সক্ষম হয়েছিলেন। এরপরে সেখানে একের পর এক হিংসাত্মক ঘটনা ঘটতে থাকল, সন্ত্রাস আর জ্বালাও-পোড়াও চলল। আবার সেখান থেকে যে বক্তব্যগুলো দেওয়া হল, সেগুলো ছিল উস্কানিমূলক রাজনৈতিক বক্তব্য। সরকারের বিরুদ্ধে অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা চলল। তারা রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করার আকক্সক্ষা প্রকাশ করল। তারা নিজেরা মন্ত্রী হতে চাইল। এই অবস্থাতে যে কোনো সরকারই হার্ডলাইনে যেতে বাধ্য হত। কারণ, হার্ডলাইনে যাওয়া ছাড়া তাদের ছত্রভঙ্গ করা সম্ভব ছিল না।
রশীদ জামীল : তার মানে, হেফাজতকে শাপলা ছাড়া করবার জন্য সরকার যে পদক্ষেপ নিয়েছিল এবং যেভাবে নিয়েছিল, সেটা সঠিক ছিল?
গোলাম মাওলা রনি : সঠিক বা বেঠিক, তা হয়তো আমি বলতে পারব না। কিন্তু সরকারের হার্ডলাইন ছাড়া অন্য কোনো উপায় ছিল না।
রশীদ জামীল : ৫ মে ২০১৩। হেফাজতকে শাপলাছাড়া করতে সরকারের কমান্ডো আক্রমণে হতাহতের পরিমাণ নিয়ে একটা ধোঁয়াটেপনা রয়েই গেছে। আপনার কী মনে হয়? হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা কত হতে পারে?
গোলাম মাওলা রনি : এই বিষয়টা আমি জানি না। এই বিষয়টা নিয়ে সরকারের কোনো মাথাব্যথাও নেই। কারণ, এই ক্ষেত্রে সরকার ১০০% বিজয়ী হয়েছে। সুতরাং প্রকৃতির নিয়ম মতে বিজয়ীরাই ইতিহাস লিখে। এই ক্ষেত্রে সরকার যা বলছে, তার বাইরে গিয়ে বা সরকারকে চ্যালেঞ্জ দিয়ে বিকল্প তথ্য প্রতিষ্ঠা করা এই মুহূর্তে ইম্পসিবল।
রশীদ জামীল : হেফাজতের প্রতি এতটা কঠোর না হয়ে কি কৌশলে তাদের নিয়ন্ত্রণ করা যেত না? শাপলায় জমায়েতের অনুমতি কিন্তু সরকারই দিয়েছিল। আবার শাপলাছাড়া করার পর হেফাজতকে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে উপস্থাপন করার একটা প্রবণতা লক্ষ করা গেলো। ব্যাপারটিকে আপনি কীভাবে ব্যাখ্যা করতে চাইবেন?
গোলাম মাওলা রনি : হেফাজত কোনো সংগঠন নয়। গণজাগরণ মঞ্চের … … …
বিস্তারিত…
বিশ্বাসের বহুবচন
বি:দ্র: বিশ্বাসের বহুবচন (শাপলা থেকে শাহবাগ) বইটি free pdf download করিতে চাহিয়া লেখকদের নিরুৎসাহিত করিবেন না
Reviews
There are no reviews yet.