আল মাহমুদের সোনালি কাবিন পাঠ পর্যালোচনা
‘সোনালি কাবিন’ কবি আল মাহমুদের অসাধারণ সৃষ্টি ও শ্রেষ্ঠ কাব্য। ‘লোক লোকান্তর’(১৯৬৩) ও ‘কালের কলস’(১৯৬৬) প্রকাশের পর কবি বাংলা কবিতায় এক মহৎ কাব্য রচনা করেন। বাংলাদেশের কাব্যে এ-গ্রন্থের স্থান অদ্বিতীয়। ‘সোনালি কাবিনে’র প্রধান প্রবণতা হলো- কবি যুগ্ম-বৈপরীত্যে অঙ্কন করেন ঐতিহ্য ও সমকালীনতা,প্রেম ও বিপ্লব,শস্য ও সংষর্ঘ,ইতিহাস ও বর্তমানতা,ক্লাসিক ও রোমান্টিক ভঙ্গি,লোকজতা ও নাগরিকতা,তৎসম ও আঞ্চলিক শব্দ,ধর্ম ও অবিশ্বাস,আধুনিকতা ও উত্তর-ঔপনিবেশিকতা। জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের তুমুল তরঙ্গে গণঅভ্যুত্থান থেকে স্বাধীনতা-উত্তর কাল পর্যন্ত সময়পর্বে কবি আসন্ন বিপবের ইশতেহার রচনা করেন। জীবনানন্দ দাশ ও জসীমউদ্দীন থেকে স্বতন্ত্র দৃষ্টিভঙ্গি ও কাব্যভাষা নির্মাণে এই কাব্য অনন্য। ‘সোনালি কাবিন’ সম্পর্কে কবির মন্তব্য গুরুত্বপূর্ণ: জীবনানন্দ দাশ এক অসাধারণ মহৎ কবি প্রতিভা। তাঁর ‘রূপসী বাংলা’ বাংলার রূপ রস গন্ধ ও এক ধ্যানমগ্ন অবস্থারই কাব্যরূপ। এর সংক্রাম তার সমকালের বাংলা ভাষার কবি মাত্রকেই স্পর্শ ও প্রভাবিত করছে। আমাকেও। তবে কবি জীবনানন্দ দাশ তার ব্যক্তিগত মানসিক নিস্পৃহতা ‘রূপসী বাংলা’ কাব্যগ্রন্থের সর্বত্র ছড়িয়ে দিয়েছেন। সমগ্র কাব্যভাবনাটি এর সমস্ত চিত্ররূপময় সৌন্দর্যকে নিয়েই হয়ে পড়েছে ‘না-বাচক’। আমি ‘সোনালি কাবিনে’ অন্য এক বাংলার চিত্র যা সুদূর অতীতের হয়েও সমকালেও দৃষ্টিগোচর,বয়ন করার চেষ্টা করেছি। আমি প্রেম ও কামের সাথে মেলাতে চেয়েছি আধুনিক জীবনের দাবিকে যা ‘হাঁ-বাচক’।
বি:দ্র: আল মাহমুদের সোনালি কাবিন পাঠ পর্যালোচনা বইটি free pdf download করিতে চাহিয়া লেখকদের নিরুৎসাহিত করিবেন না
Reviews
There are no reviews yet.