বিয়ে করিয়ে দিন
আপনার সন্তান পিঠে বিষফোঁড়া নিয়ে কাতরাচ্ছে। অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে ফোঁড়াটা ইয়া বড়। পিঠে তো তাই কিচ্ছু করতে পারছে না নিজে। খুব কষ্ট হচ্ছে। আপনি ছুট্টে গেলেন দেখার জন্যে। ‘বাবু! কি হয়েছে তোর? আমাকে দেখা, কি কষ্ট হচ্ছে তোর? আমাকে বল’ তবে যেয়ে দেখলেন তার পিঠে আসলে কোনো ফোঁড়াই নেই। কিন্তু আমি বলছি তার পিঠে ফোঁড়া আছে। সে ফোড়ার দগ্ধতায় ব্যাথা পাচ্ছে। ও ক্যুব্জ হয়েছে, নত হয়ে গেছে। অনেক ক্লান্ত সে। নিজের সাথে লড়তে লড়তে। নিজের মধ্যেই যেন এক মহাশত্রু নিয়ে সবসময় ঘুরছে সে। সেই শত্রু তাকে নানান কুপরামর্শ দেয় নানাভাবে, হরেক কৌশলে, ছলা-বাহানা করে। এভাবে সে আর পারছে না! হতোদ্যম হয়ে বসে পড়েছে ও! ওই যে ফিতরাতী সুখ-শান্তির খোঁজে আজ এ ফুল, কাল ও ফুল থেকে মধু আহরণ করতে লেগেছে।
কিন্তু শান্তি তার নাগালেই আসছে না। মনে হচ্ছে শান্তি নামক জিনিসটা দূর থেকে আপনার বাবুকে নাকানিচুবানি খেতে দেখে খুব হাসছে। আপনার সন্তানের মন তো এখন বড্ড অশান্ত। অন্তরে অন্তরেই সমুদ্রের ঢেউয়েদের উত্তাল খেলা চলছে অবিরাম। কিন্তু কাউকে বলতে পারে না। শুধু এ ফুল থেকে ও ফুল, ও ফুল থেকে সে ফুল। কিন্তু আসলেই ও আর পারছে না। রাতের পর রাত প্রেয়সীর সাথে ফোনে লুকিয়ে লুকিয়ে কথা বলা, হোয়াটস এপে প্রথম ডাগর কালো চোখের মেয়েটাকে প্রোপোজ করা, তারপর সিংকিং সিংকিং ড্রিকিং ওয়াটার খেতে খেতে ম্যাসেঞ্জারে তার একটা ম্যাসেজের আশায় প্রহর গণনা করা; আপনার মেয়ের সর্বস্ব দিয়ে কাকে যেন খুশি করার প্রাণপণ প্রয়াস, তারপর একসময় এক উটকো ঝড়ো হাওয়া এসে গুছানোর আগেই তাদের সবকিছু উড়িয়ে নিয়ে ফকীর করে দিয়ে যায় ওদেরকে। এভাবে চলতে থাকে।
কিন্তু আসলে তারা এভাবে না কখনোই সেই ফিতরাতী শান্তির খোঁজ পাবে না। কেন? কারণটা হলো, ফিতরাত আল্লাহর দেওয়া, তো সেই আল্লাহই জানবেন কিভাবে সেই ফিতরাতের তৃপ্তি হবে, কোন উপায়ে হবে। তিনিই জানেন কিভাবে তা সম্ভব। কেননা স্রষ্টাই সবচাইতে ভালো জানেন সৃষ্টির ভালো কিসে, তাই না?
বি:দ্র: বিয়ে করিয়ে দিন বইটি free pdf download করিতে চাহিয়া লেখকদের নিরুৎসাহিত করিবেন না

তোমাকে বলছি হে যুবক
নারী ও পুরুষের একান্ত গোপনীয় কথা
পাশ্চাত্যের শিক্ষায় দ্বীনি অনুভূতি
ছাত্রদের বলছি
তালিবে ইলম ও ওলামায়ে কেরামের প্রতি মূল্যবান নসীহত
পাত্র-পাত্রী নির্বাচন ও বিবাহ শাদী 
Reviews
There are no reviews yet.