রূহ বা আত্মার সফর( পরকালের পথে যাত্রা )
মৃত্যুর পর রুহ কিভাবে আমাদের দেহ ছেড়ে চলে যায় সেই সম্পর্কে একটা দীর্ঘ হাদীস আছে। সেখানে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, যখন একজন মু’মিন মৃত্যুবরণ করে তখন ফেরেশতারা জান্নাত থেকে কাফন ও সুগন্ধি নিয়ে দুনিয়াতে নেমে আসে এবং সেই মৃত ব্যক্তির সামনে বসে। তারপর মৃত্যুর ফেরেশতা অবতরণ করে এবং সেই মু’মিন ব্যক্তিকে বলে, “খুশি হও, আনন্দিত হও! তোমার সাথে আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলার করা ওয়াদার ব্যাপারে আনন্দিত হও!”
তারপর তিনি রুহ কে বেরিয়ে আসতে বলেন। তিনি বলেন,
يَا أَيَّتُهَا النَّفْسُ الْمُطْمَئِنَّةُ. ارْجِعِي إِلَى رَبِّكِ رَاضِيَةً مَرْضِيَّةً.
অর্থ: “হে প্রশান্ত আত্মা! বেরিয়ে এসো! তোমাকে আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা যে নি’আমত দিবেন, সে দিকে বেরিয়ে এসো।” (সূরা ফাজর, আয়াত ২৭-২৮)
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন যে, সেই রুহ তখন বেরিয়ে আসে এত সহজে, ঠিক যেভাবে পানির জগ উপুড় করলে তা থেকে পানির ফোঁটা গড়িয়ে পড়ে। দেহ থেকে এই রুহ যেন অতি সহজে, পিছলে বের হয়ে আসে।
আর যেই মুহূর্তে মৃত্যুর ফেরেশতা সেই রুহকে দেহ থেকে বের করে আনবেন, সাথে সাথে সেখানে উপস্থিত অন্যান্য সকল ফেরেশতারা ঝাঁপিয়ে পড়বেন, প্রত্যেকেই চাইবেন যেন তারা সেই রুহকে বহন করার সম্মান লাভ করতে পারেন! এই সম্মান পাওয়ার জন্য তারা কাড়াকাড়ি শুরু করে দিবেন! তারপর তারা এটাকে উপরের দিকে, আসমানের দিকে যেতে থাকবেন।
আল্লাহর রাসূল বলেন, যাওয়ার পথে সেই ফেরেশতাদের দল যখনই আরেক দল ফেরেশতার সাক্ষাত লাভ করবেন, তারা সেই অসাধারণ সুগন্ধির সুবাস পেয়ে জিজ্ঞেস করেন, “এটা কার রুহ?” পরকালের পথে যাত্রা
উত্তরে ফেরেশতাদের দল তাদেরকে বলবেন এটা হল অমুক ব্যক্তির রুহ এবং তারা সেই রুহকে ভালো ভালো নাম, উপাধি এসব দিয়ে প্রশংসার সাথে পরিচয় করিয়ে দিবেন। এভাবে চলতে চলতে একসময় তাঁরা সবচেয়ে নিচের স্তরের আসমানের দরজার কাছে পৌঁছে যাবেন। আসমানের দরজার কাছে পৌঁছে গেলে তাঁরা সেখানে প্রবেশ করার জন্য অনুমতি চাইবেন। মুমিন বান্দার রুহের জন্য আসমানের দরজাগুলো খুলে দেয়া হবে। আমরা জানি আসমানের সাতটি স্তর রয়েছে। আর যখনই এরকম একটা স্তরের আসমানের দরজা খুলে যাবে, তখন ঐ স্তরের আসমানের ফেরেশতারা, সেই রুহ নিয়ে আসা ফেরেশতাদের দলের সাথে সাথে যাবেন যতক্ষণ না তাঁরা এভাবে চলতে চলতে পরবর্তী স্তরের আসমানের দরজার কাছে গিয়ে হাজির হবেন।
এভাবেই চারদিক থেকে ফেরেশতাদের দ্বারা সাদরে সম্ভাষিত হয়ে সেই রুহ চলতে চলতে এক সময় আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার কাছে গিয়ে হাজির হয়। আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা সেই রুহকে তখন জান্নাতের প্রতিশ্র“তি দান করবেন।
আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা বলবেন, “একে আবার মাটিতে ফিরিয়ে নিয়ে যাও কারণ-
مِنْهَا خَلَقْنَاكُمْ وَفِيهَا نُعِيدُكُمْ وَمِنْهَا نُخْرِجُكُمْ تَارَةً أُخْرَى.
অর্থ: “আমি মানব জাতিকে মাটি থেকেই সৃষ্টি করেছি আর সেখানেই তারা ফিরে যাবে। আর সেখান থেকেই আবার একদিন তাদেরকে উঠানো হবে।” (সূরা ত্বহা ২০, আয়াত ৫৫)
এরপর সেই সম্মানিত রুহ আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার দেয়া সম্মান সাথে করে নিয়ে আবার নিচের দিকে দুনিয়াতে নেমে আসবে।
পরকালের পথে যাত্রা ইসলামিক বইঘর ডট কম থেকে কিনতে এখনি অর্ডার করুন।
বি:দ্র: পরকালের পথে যাত্রা বইটি free pdf download করিতে চাহিয়া লেখকদের নিরুৎসাহিত করিবেন না

আমাদের নবীজির ১০০ মুজেযা
প্রশ্নোত্তরে খেলাফতে রাশেদা
একনজরে সিরাহ
আউলিয়া কাহিনী
নারী ও পর্দা কী ও কেন?
নামাজ কবুলের অজানা রহস্য
হৃদয়কাড়া ঘটনা সংকলন
প্রচলিত সালাত কি জাল হাদীসের কবলে- পর্ব ১
এহইয়াউস সুনান
সিফাতুর রাসূল (সা.)
হে রাসূল (সা.) তোমার প্রতি ভালোবাসা
যুক্তির আলোকে ইসলামী বিধান
সমকালীন চ্যালেঞ্জ ও ইসলাম
মহাবিশ্বের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব
শত ঘটনা সিরিজ
সীরাতে খাতামুল আম্বিয়া
প্রিয় নবীর (সা.) কান্না
সর্বশেষ নবী হযরত মুহাম্মদ সা.
বয়ান ও খুতবা (২য় খন্ড)
আর-রাহিকুল মাখতুম
কুরআনের আয়নায় রাসূলের ছবি
সুন্নাহর আলোকে আমাদের নামায
সীরাতে রাসূলে আযম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
দ্য এন্ড অব দ্য ডেভিলস কিংডম
এমন ছিলেন নবীজী (সা.)
মুহাম্মাদ (সা) শ্রেষ্ট মানুষ শ্রেষ্ট নবী (তিন খণ্ড)
জাওয়ামেউস সীরাহ
নবীজীর (সা.) ভালোবাসা তার আলামত
নবী জীবনের সুরভিত পাঠ
নবিজির সিরাত তত্ত্ব
জান্নাতে একদিন
নবিজির সাথে একদিন
বাংলা ভাষার বানানরীতি 
Reviews
There are no reviews yet.