নবীজির যুদ্ধজীবন
মহান আল্লাহর দীন ইসলাম প্রচার করতে গিয়ে নবী (সা.)-কে বেশ কিছু ছোট-বড় যুদ্ধের সম্মুখীন হতে হয়েছে। কিন্তু এসব যুদ্ধ প্রচলিত যুদ্ধ-সংঘর্ষ থেকে আলাদা। কারণ মুহাম্মদ (সা.)-এর যুদ্ধগুলো প্রচলিত সামরিক অভিযান ছিল না, সাম্রাজ্য বিস্তার বা ধন-সম্পদ উপার্জনও লক্ষ্য ছিল না।
: তাহলে কী ছিল?
: জানতে হলে, পড়তে হবে ‘নবীজির যুদ্ধজীবন’।
ঐতিহাসিকদের মতে, মুহাম্মদ (সা.) তাঁর জীবদ্দশায় ২৭টি বড় ধরনের যুদ্ধ (গাজওয়া), ৬০টি ছোটখাটো অভিযান (সারিয়া) পরিচালনা করেছেন। মুফতি শাফি (রহ).-এর দেওয়া তথ্য মতে, বড় যুদ্ধ গাজওয়া ২৩টি। এসব যুদ্ধে মুসলিম-অমুসলিম মিলে নিহতের সংখ্যা এক হাজার ১৮। এত ছোট-বড় যুদ্ধে নিহতের এই সংখ্যা সমকালের ইতিহাসেও নগণ্য। এর বিপরীত দিকটিও দেখতে হবে, আর তা হলো, এসব নিহতের বিনিময়ে বেঁচে গেছে লাখো মানুষ। বর্বর আরবরা সভ্য হয়েছিল এসব যুদ্ধের বিনিময়ে। শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরে এসেছিল সমাজে।
: কিন্তু কীভাবে?
: জানতে হলে, পড়তে হবে ‘নবীজির যুদ্ধজীবন’।
একজন শহীদের রক্তের বিনিময়ে ইসলামের বিস্তৃতি ঘটেছিল দৈনিক দুই হাজার ৭৪০ বর্গমাইল। (গুলজার আহমদ : The battle of Prophet of Allah, Karachi, 1975, P. 28)। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই মুহাম্মদ (সা.) তাঁর বাহিনীকে আগে আক্রমণ করতে নিষেধ করতেন। যারা যুদ্ধে নেই, শিশু, বৃদ্ধ, নারী, তাদের বিরুদ্ধে মুসলিম বাহিনী যেন কোনো অস্ত্র না ধরে, সে সম্পর্কে তাঁর নির্দেশ প্রতিনিয়তই ছিল। সম্পদ, তা শত্রুদেরই হোক না কেন, নষ্ট না করতে তাঁর আদেশ সব সময়ই কাজ করত। মৃত শত্রুদের বিকলাঙ্গ করা তাঁর নীতিবিরুদ্ধ কাজ ছিল।
এর পাশাপাশি কাফেররা মুসলিমদের পেট চিরে কলিজা পর্যন্ত চিবিয়ে খেয়েছে। যুদ্ধবন্দিদের প্রতি সব সময়ই মানবিক ব্যবহার তাঁর সমরনীতির অত্যাবশ্যকীয় অংশ ছিল। অনেক সামরিক পরিকল্পনা ও সন্ধিচুক্তি এসব যুদ্ধের মধ্য দিয়ে সম্পাদিত হয়েছে, যা বর্তমানেও দেশে দেশে যুদ্ধ ও শান্তির ক্ষেত্রে নমুনা হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। মুহাম্মদ (সা.)-এর জ্ঞান ও প্রজ্ঞার পরিচয় এর মধ্য দিয়ে বিস্ময়করভাবে ফুটে উঠেছে, যা আধুনিক সমরনেতা ও রাষ্ট্রনেতার কাছেও আজ অভাবিত ব্যুত্পত্তিময় বলে চিহ্নিত হয়ে আসছে।
এসব যুদ্ধের ধরন, প্রকৃতি, ফলাফল, শিক্ষা ও তাৎপর্য সম্পর্কে জানতে পড়ুন
বি:দ্র: নবীজির যুদ্ধজীবন বইটি free pdf download করিতে চাহিয়া লেখকদের নিরুৎসাহিত করিবেন না
Reviews
There are no reviews yet.