ধূলিমলিন উপহার রামাদান
সিফাত আস-সাফওয়াহর দ্বিতীয় খণ্ড এবং সিরা আ’লাম আন-নুবুলা’ এর ষষ্ঠ খণ্ডে বর্ণিত ঘটনা, কুতায়বাহ ইবনে মুসলিম আল বাহেলী এক দল সৈন্য নিয়ে খুরাসানে গিয়েছিলেন তুর্কীদের সাথে যুদ্ধ করার জন্যে। কিন্তু যুদ্ধ করতে গিয়ে তিনি হতচকিত হয়ে যান। কারণ তাঁর বিপক্ষদলীয় সেনাদল তাঁর সেনাদলের চেয়ে দশ গুণ অধিক। এই অবস্থা ছিল খুবই ভীতিকর। তাই তিনি চিৎকার করতে লাগলেন, “মুহাম্মাদ ইবনে ওয়াসী কোথায়? কোথায় মুহাম্মাদ ইবনে ওয়াসী?” ফলে সৈন্যরা ইবনে ওয়াসীকে খুঁজতে লাগলো। একসময় তারা তাঁকে খুঁজে পেলো এবং দেখলো তিনি একটি বর্শায় হেলান দিয়ে আঙুল উঁচিয়ে রেখেছিলেন। একইসঙ্গে তিনি তাঁর সেই আঙুল আর আকাশের দিকে তাকিয়ে ছিলেন। এটা দেখে কুতায়বাহ বললেন “এখন আমরা অগ্রসর হতে পারি।“
কুতায়বার আসলে এতটুকুই জানার ছিল যে, মুহাম্মদ ইবনে ওয়াসী দু’আ করেছে কিনা। একারণে তিনি বার বার মুহাম্মাদ ইবনে ওয়াসীর খোঁজ করছিলেন। তিনি বললেন, মুহাম্মাদ ইবনে ওয়াসীর আঙুল আমার কাছে এক হাজার শক্তিশালী সৈন্যের হাতে থাকা এক হাজার তরবারীর থেকেও অধিক প্রিয়। ওই ছোট আঙুলটি এক হাজার সৈন্যের থেকেও বেশি শক্তিশালী। হতে পারে ওই আঙুলটি রক্ত-শিরা আর হাড়ের তৈরি, কিন্তু যখন সেটা আল্লাহর সাথে দু’আয় সংযুক্ত হয়, তখন সেটা ভয়ংকর রূপ ধারণ করে। বিজয়ের পর কুতায়বা মুহাম্মাদ ইবনে ওয়াসীর কাছে গিয়ে জানতে চাইলেন, তিনি তখন আঙুল উঁচিয়ে কী করছিলেন। তিনি বললেন, “আমি সংযোগ স্থাপন করছিলাম। “ তিনি অবশ্যই সংযোগ স্থাপন করছিলেন, তবে সেটা দুনিয়ার কোনো সংযোগ নয়, সেটা ছিলো আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা আর তাদের মধ্যেকার সংযোগ।
রমাদান হচ্ছে দু’আর মৌসুম। উম্মাহর জন্য বা নিজের জন্য, যার জন্যেই যে দু’আ করতে আপনার মন চায় সেটা এখনই করে ফেলুন। আর আপনার ভাইদের মধ্যে যারা অত্যাচারিত এবং পীড়িত, দু’আ করার সময় তাদের কথা ভুলে যাবেন না। আর আদম সন্তানদের কাছে কিছু চাইবেন না, আদম সন্তান তো মুখের উপর দরোজা বন্ধ করে দেয়। তাঁর কাছেই চান যিনি তাঁর দরজা কখনো আটকান না। আল্লাহর কাছে না চাইলে তিনি রেগে যান, আর মানুষ রাগ করে যখন তার কাছে কিছু চাওয়া হয়।
“আল্লাহ তো মহত্তম প্রকৃতির অধিকারী…।“ (সূরাহ নাহলঃ আয়াত ৬০)
বি:দ্র: ধূলিমলিন উপহার রামাদান বইটি free pdf download করিতে চাহিয়া লেখকদের নিরুৎসাহিত করিবেন না
Arif Naik –
Review for ধূলিমলিন উপহার রামাদান