তুরস্কে তুর্কিস্তানের সন্ধানে
[তুরস্কে তুর্কিস্তানের সন্ধানে বইটির বিস্তুারিত বিবরন শিঘ্রই হালনাগাদ করা হবে ]তুরস্কে তুর্কিস্তানের সন্ধানে , দারুল কলম এর ইসলামি বই টি পেতে ইসলামী বইঘর.কম এ অনলাইন অর্ডার করুন এখনই।
তুরস্কে তুর্কিস্তানের সন্ধানে বইটি অর্ডার যেভাবে করবেন
১। আপনি ফোন অথবা অনলাইন এর মাধ্যমে অর্ডার করার পর ইসলামিক বইঘর ডট কম আপনার সাথে যোগাযোগ করবে এবং আপনার বিলি ঠিকানা নিশ্চিত করবে ।
২। ইসলামিক বইঘর এখন ঢাকা ও এর আশেপাশে ক্যাশ অন ডেলিভারী ও কুরিয়ার সার্ভিস এর মাধ্যমে বই পাঠাচ্ছে । এবং ঢাকার বাইরে কুরিয়ার সার্ভিস এর মাধ্যমে বই পাঠাচ্ছে ।
৩। বইয়ের মুল্য bKash, ডাচ বাংলা মোবাইল বা ক্যাশ অন ডেলিভারী এর মাধ্যমে প্রদান করা যাবে । বাংলাদেশের যে কোনো প্রান্তে ৪০ টাকায় বই পৌছে দেয়া হবে ।
যে কোন ইসলামী বই পেতে ইসলামিক বইঘর ডট কম এর সাথেই থাকুন
বি:দ্র: তুরস্কে তুর্কিস্তানের সন্ধানে বইটি free pdf download করিতে চাহিয়া লেখকদের নিরুৎসাহিত করিবেন না
Shakib –
তুরস্কে তুর্কিস্তানের সন্ধানে
লেখকঃ আবু তাহের মেসবাহ
প্রকাশনীঃ দারুল কলম
মূল্যঃ ১৫০ ৳
একদিন একে সবাই তুর্কিস্তান নামে চিনতো। খেলাফতের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে জানতো। নববী যুগের পর থেকে পৃথিবীতে ইসলামি সালতানাতের খেলাফত ব্যবস্থার যে শ্রেষ্ঠ শাসনকার্য, সময়ের বিবর্তনে মদীনা বাগদাদ হয়ে তার অবস্থান ইস্তাম্বুলে। নববী যবানে কুস্তুনতুনিয়্যাহ, প্রচলিত বয়ানে কনস্টান্টিনোপল।
”লাতাফতাহুন্না কুস্তুনতুনিয়্যাহ। ফালানি’মাল আমীরু আমীরুহা, ওয়ালানি’মাল জায়শু হাযাল জায়শ!”-র প্রতিফলন এই ইস্তাম্বুল! এই তুর্কিস্তান! সেদিন তুরস্ক ছিলোনা, ছিলো তুর্কিস্তান! কনস্টান্টিনোপল ছিলোনা, ছিলো কুস্তুনতুনিয়্যাহ! মুসলিম উম্মাহর হৃদয়কে কুকুরের মতো নৃশংসভাবে ছিঁড়েফেঁড়ে খেলাফতের যে প্রোজ্জ্বল-গৌরবময় স্মৃতিকে ধূলায় মিশিয়ে দিয়েছে কামাল পাশা, এটা সেই ইস্তাম্বুলের সফরনামা। ভ্রমণকাহিনী নয়; সফরনামা!
সফরনামায় থাকে চিন্তা ও চেতনার খোরাক, ভ্রমণকাহিনীতে থাকে চটুল ও চমৎকার কিন্তু সারশূন্য বর্ণনা। লেখক আল্লামা আবু তাহের মেসবাহ দাঃ বাঃ। ইসলামী অঙ্গনে আলিম ও তালিবে ইলমদের মাঝে ইসলামী সাহিত্যের প্রেরণা সৃষ্টি করার জন্য যেসকল নিবেদিত প্রাণ ব্যক্তি নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে গেছেন, তিঁনি তাদের পথিকৃৎ। আলী নাদাবীর চিন্তা ও মনযূর নোমানীর দরদ-ব্যথা নিয়ে তিনি সফরনামাটি লিখেছেন।
এটি সমগ্র তুরস্কের সফরনামা নয়, বরং শুধু ইস্তাম্বুলের এশীয় অংশের সফরনামা। লেখক ইতিহাস ও আপন কল্পচিত্রের সাহায্যে সবখানে খুঁজে বেড়িয়েছেন মুসলিম উম্মাহর সেই প্রিয় তুর্কিস্তানকে। এটা নিছক কোন সফর ছিলোনা, বরং শায়খ মুহাম্মদ আওয়ামার ছেলে মুহিউদ্দীন আওয়ামা এবং ইসলামী ফেকাহ একাডেমী ভারতের চেয়ারম্যান খালেদ সাইফুল্লাহ রহমানী কর্তৃক আয়োজিত একটি ইন্টারন্যাশনাল উলামা কনফারেন্স। পৃথিবীর সবদেশের শ্রেষ্ঠ উলামায়ে কেরামদের এক মহান সম্মেলন।
বাংলাদেশ থেকে অংশ নিয়েছিলেন মারকাযুদ্দাওয়ার মুদীর আবুল হাসান আব্দুল্লাহ, মুহাদ্দিস শায়খ আব্দুল মতীন এবং লেখক আবু তাহের মেসবাহ দামাত বারাকাতুহুম। তিনদিনের এই সফরনামাটি তিনি লিখেছেন তিনশো পৃষ্ঠায়। মেসবাহী সাহিত্যের সবচে বড় শক্তি হচ্ছে তাঁর নিখুঁত চিত্রকল্প নির্মাণ। তাঁর দেখা ইস্তাম্বুলের প্রতিটি জায়গায় তিঁনি ঘুরে বেড়িয়েছেন তুর্কিস্তানের খোঁজে। ইতিহাসের সাহায্যে পাঠকের সামনে তুলে ধরেছেন মুসলিম সালতানাত তুর্কিস্তানের চিত্রকল্প।
ইতিহাস যেমন আছে এতে, তেমনি আছে মুসলিম উম্মাহকে নিয়ে গভীর দূরদৃষ্টিসম্পন্ন চিন্তা। এদেশের তিন অঙ্গনের তিনজন যুগশ্রেষ্ঠ আলেমের সফরে সুন্নাতি চলনবলন এবং শরয়ী দীক্ষার প্রতিফলন।
উসমানী সালতানাতের ভিত্তিপ্রস্তরস্থাপনকারী সুলতান মুহাম্মদ আল ফাতিহ রহঃ কে নিয়ে নির্মিত ডকুমেন্টারির যে বর্ণনা লেখক দিয়েছেন, বিশ্বাস করুন- মনে হবে এইতো আপনি দেখছেন সব দৃষ্টির সামনে চলমান। দেখবেন অজান্তে গড়িয়ে পড়ছে ক’ফোঁটা অশ্রু। মুহাম্মদ আল ফাতিহের ঐতিহাসিক কামানের একেকটি গোলার আঘাতে আপনিও কেঁপে উঠবেন। শিহরিত হবে হৃদয়-মন। ছলকে উঠবে শোণিতধারা। এতো চমৎকার ও জীবন্ত বর্ণনা আমার বই পাঠের জীবনে এই প্রথম।
পশ্চিমা ইতিহাসবিদদের কলমে মহান হিসেবে তুলে ধরে এই যে তৈমুর লং বা ল্যাংড়া তৈমুর, মুসলিম সাম্রাজ্যের অগ্রগতিতে আপন ভাইয়ের পশ্চাতে বারেবারে কামড় বসিয়ে কী পরিমাণ পিছিয়ে দিয়েছে আমাদের ভেবে চোখ ঝাপসা হয়ে আসবে। তিনদিনের সফরনামা, কিন্তু তিনশো পৃষ্ঠা! যারা তুর্কিস্তানকে আজও খোঁজে ফিরেন, তারা এই বইটা অবশ্যই পড়ে নিবেন। তুর্কী সালতানাতের যেকোনো ইতিহাসগ্রন্থ পাঠের পূর্বে আমি মনে করি, এটা পাঠ করা জরুরী। ভূরি ভূরি ইতিহাস নেই, কিন্তু ইতিহাসকে ছেনে গ্রহণ করার চিন্তা আছে এতে।