কীভাবে আল্লাহর প্রিয় হবো?
আজকাল ওয়াজ মাহফিলে ক্রন্দন দেখাতে পারলেই মানুষ বড় বুজুর্গ ভাবে, এ জন্যই দেখা যায়, মাহফিলে কারও কারও ক্রন্দন প্রদর্শনের মাত্রাটা একটু বেশি বেড়ে যায়! অথচ সালাফে সালিহিন কী করতেন, তা জানতে পড়ুন ‘কীভাবে আল্লাহর প্রিয় হবো?’ বইটি…
একটি জটিল ও সূক্ষ্ম আত্মসমালোচনা
রাবি বিন সাবিহ বলেন, ‘একদা আমরা হাসান বসরি রহ.-এর একটি মজিলসে তার উপদেশ শুনছিলাম। ইতিমধ্যে জনৈক ব্যক্তি অঝোর ধারায় ক্রন্দন শুরু করে দিলে তিনি বললেন, “ওহে, এই ক্রন্দনের উদ্দেশ্যের ব্যাপারে বিচার দিবসে অবশ্যই আপনাকে জিজ্ঞেস করা হবে।”’
সুবহানাল্লাহ! আনুগত্যের ক্ষেত্রে তাদের দৃষ্টি কতই না সজাগ ও সূক্ষ্ম ছিল! তারা শুধু পূণ্যকর্ম সম্পাদন করেই ক্ষান্ত থাকতেন না, বরং উক্ত আমল সম্পাদনে কেবল রবের সন্তুষ্টিই কি মূখ্য উদ্দেশ্য ছিল, না তাতে অন্য কোনো পার্থিব স্বার্থ নিহিত ছিল, তাও যাচাই করে দেখতেন।
সালাফ স্বীয় নয়নযুগলের অশ্রুকে গোপন রাখতেন
হাসান বসরি রহ. বলেন, ‘আল্লাহর নৈকট্যশীল বান্দারা দ্বীনি মজিলসে বসার পর চোখে অশ্রু আসতে চাইলে সাথে সাথে তা প্রতিরোধের চেষ্টা করতেন। এতে অশ্রুর ঝর্ণাধারা না থামলে তারা মজলিস থেকে উঠেই যেতেন।’
নিষ্ঠা ও প্রশংসার লোভ কখনো একত্রিত হতে পারে না। তাই ইবনুল কাইয়িম রহ. বলেন, ‘অন্তরের একনিষ্ঠতা ও মানুষের প্রশংসা-স্তুতির লোভ একত্রিত হওয়া এমন অসম্ভব, যেমনিভাবে আগুন ও পানি এবং গুইসাপ ও মাছের সহাবস্থান অসম্ভব।
বি:দ্র: কীভাবে আল্লাহর প্রিয় হবো? বইটি free pdf download করিতে চাহিয়া লেখকদের নিরুৎসাহিত করিবেন না
Reviews
There are no reviews yet.