ইন দ্য হ্যান্ড অব তালেবান
মনে আছে তালেবানের হাতে বন্দী সেই খৃস্টান নারী সাংবাদিকের কথা? আফগানিস্তানে তালেবানের নিউজ সংগ্রহ করতে গিয়ে কিডন্যাপড্ হন এবং পরবর্তীতে মুক্তি পেয়ে ইসলাম গ্রহণ করেন। শুধু তাই নয়, ইসলাম গ্রহণের পর তিনি হয়ে উঠেন ইসলামের একজন অকুতোভয় দায়ি।
তিনি জিভন রাইডলি। পশ্চিমাবিশ্বে তিনি এক বিস্ময়ের নাম!
‘ ইন দ্য হ্যান্ড অব তালেবান ‘ তারই লেখা আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ। যেখানে তিনি টুইন টাওয়ার হামলা থেকে শুরু করে তার অাফগান যাত্রা, ওয়ার অন টেরর, তালেবানের হাতে বন্দী হওয়া, মুক্তি, স্বদেশ প্রত্যাবর্তন এবং ইসলামে দীক্ষিত হওয়ার চমকপ্রদ কাহিনি বর্ণনা করেছেন নিঃশঙ্কোচে।
বিশ্বব্যাপী আলোড়ন তোলা বহু ভাষায় অনূদিত এ বেস্টসেলার ইন দ্য হ্যান্ড অব তালেবান বইটি বাংলাদেশের পাঠকদের জন্য নিয়ে আসছে নবপ্রকাশ।
আফগানিস্তানে তালেবানদের হাতে বন্দী ব্রিটিশ নারীসাংবাদিক ইভন রিডলি (Yvonne Ridley) রচিত বিশ্বব্যাপী আলোড়ন তোলা এ বেস্টসেলার আত্মজীবনীমূলক বইটি পাঠকদের জন্য প্রকাশ নবপ্রকাশ।
ইন দ্য হ্যান্ড অব তালেবান নবপ্রকাশ এর ইসলামি বই টি পেতে ইসলামিক বইঘর ডট কম এ অনলাইন অর্ডার করুন এখনই।
বি:দ্র: ইন দ্য হ্যান্ড অব তালেবান বইটি free pdf download করিতে চাহিয়া লেখকদের নিরুৎসাহিত করিবেন না
ADnan MaHmud –
ইন দ্য হ্যান্ড অব তালেবান
অপ্রিয় বাস্তবতা হলো, তালেবান রা তাদের কুখ্যাতির বদলে বরং আমার সাথে সম্মান ও সৌজন্যমূলক আচরন করেছে। লোকগুলো চাইলেই বর্বর ও নিষ্ঠুর হতে পারতো। অথচ আমার সঙ্গে অমায়িক ব্যাবহার ই করেছে। সাংবাদিক সহকর্মীরা হয়তো এখনোই নিষ্ঠুর ও নির্মমতার গল্প ফেদে বসবে।
সশস্ত্র পাহারায় খায়বার পাস অতিক্রম করে রাজনৈতিক এজেন্টের অফিসে উপস্থিত হলাম। সেখানে আগে থেকেই অপেক্ষা করছিলেন সহকারী রাজনৈতিক নেতা শাহজাদা জিয়াউদ্দিন আলী। আমাকে দেখেই বলতে লাগলেন “আমাকে চিনতে পেরেছো? আমিই তোমাকে আগেরবার খাইবারপাস যাওয়ার অনুমতি দিয়েছিলাম। যদি জানতাম তুমি এভাবে আফগান যাবে তাহলে আমি নিজ দায়িত্বেই তোমাকে নিয়ে যেতাম। তোমাকে নিষেধ করেছিলাম ক্যামেরা নিয়ে যেয়োনা…….. (সংক্ষিপ্ত)
হ্যা পাঠক, সেই ক্যামেরার জন্যই আফগান তালেবানদের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন বৃটিশ সাংবাদিক, নারীবাদী ইভন রেডলি। বইটার পুরোটা জুড়েই তালেবানদের হাতে বন্দি হওয়ার ঘটনা, জেলখানায় তার কাটানো দিন গুলো, আফগান তালেবানদের শাষনকার্য, এবং তার প্রতি তালেবানদের আচরনের ব্যাপার গুলোকে সুন্দর করে উপস্থাপনায় নিয়ে এসেছেন। বৃটিশ নারী সাংবাদিক ইভন রেডলি অবৈধভাবে জীবনের সর্বোচ্চ ঝুকি নিয়ে একজন আফগান নারী সেজে কিভাবে সিমান্ত পার হয়ে পাকিস্তান থেকে আফগানে গেলেন!! চুলে রং মেখে, বোরকা পড়ে পা টু মাথা পর্দায় আবৃত করে স্বাধারন একজন আফগান মুসলিম নারী সেজে সংবাদ সংগ্রহে নেমে পড়লেন খৃষ্ঠান রেডলি। বইটিতে তার আফগান সফরের বিস্তারিত উল্লেখ করেছেন।
তালেবানদের হাতে গ্রেপ্তারের পর রেডলি ধরেই নিয়েছিল অন্যসব অপরাধীর মতো তাকেও জনসম্মুখে জবাই করা হবে। কিন্তু গ্রেপ্তারের পর তালেবানদের আচরন তাকে মুগ্ধ করে। পাল্টে যায় ধারনা। ১০ দিন কারাবন্দী থেকে নিরাপত্তার সাথে ফিরে আসে রেডলি, যার বিস্তারিত বর্ননা দিয়েছেন বইটিতে।
পদে পদে রেডলি সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন, একজন নারী কতটা সাহসী হতে পারে?? রেডলির ইন দ্যা হ্যান্ড অব তালেবান না পড়লে হয়তো সেটা কল্পনায়ই থেকে যেতো। পাকিস্তান ও আফগানস্তানে চরম দুঃসাহসিক মিশন গুলোর ঘটনা স্থান পেয়েছে বইটিতে।
নিষিদ্ধ তালেবান সম্রাজ্যের বন্দিশালা থেকে অবিশ্বাস্য উপায়ে মুক্তির পর সারা বিশ্বের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিনত হয়েছিলেন রেডলি। পুরো বিশ্বের প্রতিটি পত্রিকা ও টিভি চ্যানেলের হেডলাইন হয়ে যান তিনি। আফগানের সফর রেডলির চোখে তুলে ধরে এক নতুন দিগন্ত। আফগানস্থানে বন্দি থাকাকালীন খৃষ্ঠান সাংবাদিক রেডলি তালেবানদের তিনি কথা দিয়ে ছিলেন মুক্তির পর ইসলামের সংবিধান পবিত্র কোর-আন পড়ে দেখবেন।
কথা রক্ষায় নিছক অধ্যায়ন করেন মাত্র!!
কিন্তু একটা সময় সত্যিই অবাক হয়ে যান, ইসলামকে এক আশ্চর্য গ্রন্থ মনে হয় তার।
শুরু করে দিলেন রিসার্চ। ৩ বছর পর ঘোষনা দিয়েই ইসলাম গ্রহন করেন বিশ্ববিখ্যাত অকুতোভয় নারী সাংবাদিক ইভন রেডলি!!
আবার ও বিশ্ব মিডিয়ার টাইমলাইনে চলে আসেন। শুধুই আসেন না। টক অব দ্যা ওয়ার্ল্ডে পরিনত হয় ইভন রেডলি!!
ইন দ্যা হ্যান্ড অফ তালেবান!! আমার পড়া কোন বৃটিশ লেখকের প্রথম বই। এবং অসাধারন বইগুলোর একটি।