আলোর দিশারি – ১
আরবে ইসলামের জাগরণের জন্য রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সহযোগিতায় প্রয়োজন ছিল এমন একটি জামাআতের, যারা উৎসর্গ ও ত্যাগে, মুহাব্বত ও ভালোবাসায়, ইনসাফ ও সত্যপ্রতিষ্ঠায় এমন নজির স্থাপন করবেন। যা সমগ্র বিশ্ব বিস্ময়ভরা চোখে অবাক হয়ে দেখতে পারে। প্রয়োজন ছিল এমন একটি সংঘবদ্ধ প্রতিশ্রুতিশীল এবং আনুগত্যপ্রিয় দলের, সারা দুনিয়ার মানুষের সামনে যারা বুক উঁচু করে দাঁড়াতে পারবেন; ইসলামের আদর্শ, সাম্যের বাণী, মানবতার পুনর্জাগরণ এবং কল্যাণের আহ্বান উচ্চকিত করতে পারবেন।
মহান রাব্বুল আলামিন তার রাসুল ও হাবিব মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সহযোগিতায় প্রস্তুত করেছিলেন এমনই একটি জামআত যাদের আমরা চিনি ‘আসহাবে রাসুলিল্লাহ’ নামে। ‘আলোর দিশারি’ মূলত সেইসব মহান সাহাবিদের-ই সংক্ষিপ্ত জীবনচরিত।
বাংলাভাষায় যৎসামান্য সাহাবিচরিত-চর্চা হয়েছে বটে; তবে কখনোই তা যথেষ্টতার জায়গা দখল করতে পারে নি। শিশু-কিশোর প্রকাশনার ক্ষেত্রে এই আলাপ কতটা অপ্রিয় সত্য-গুণীজন-মাত্রই তা অবগত আছেন। আলোর দিশারি মূলত অনুবাদ হলেও দক্ষ অনুবাদকের সুচিন্তিত শব্দচয়ন, যথাস্থানে তার ব্যবহার এবং অসাধারণ অনন্য অনুবাদশৈলির কারণে তা মৌলিকের চেয়ে কোনো অংশে পিছিয়ে নয় বলেই মনে করি। আমরা আশা করতে পারি, আলোর দিশারির মাধ্যমে বাংলা সাহিত্যের সাহাবিচরিত-চর্চার এই শূন্যস্থান কিছুটা হলেও পূরণ হবে, ইন শা আল্লাহ!
পৃথিবীতে একঝাঁক আলোর দিশারি এসেছিলেন, আমাদের জন্য আলোকবর্তিকা নিয়ে। তাঁরা ছিলেন সোনালি যুগের সোনার মানুষ। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাতেগড়া সাহাবা ছিলেন তাঁরা। জীবনের পদে পদে রেখে গেছেন আমাদের জন্য উত্তম আদর্শ। তাঁদেরই কয়েকজনের বিভিন্ন কাহিনি নিয়ে রচিত হয়েছে ‘আলোর দিশারি’ বইটি।
আলোর দিশারি – ১ বইটিতে আছে বাইশজন সাহাবির বর্ণাঢ্য জীবনের বিভিন্ন দিকের বর্ণনা। আছে তাঁদের জন্মের কথা, হিদায়াত পাওয়ার কথা, আছে তাঁদের সংগ্রামের কথা, আছে বীরত্বগাঁথা। আবদুল্লাহ বিন মাসউদ, তুফায়েল বিন আমর দাওসি, আদি বিন হাতিম তায়ি, আবদুল্লাহ বিন জারির বাজালি, আবু দুজানা রাযিয়াল্লাহু আনহুম-সহ শ্রেষ্ঠ কিছু সাহাবির জীবনের নানান চড়াই-উৎড়াইয়ের কথা তুলে ধরা হয়েছে অসাধারণ এ বইটিতে।
শিহরণ আর অ্যাডভেঞ্চারে ভরপুর কিছু গল্প আছে বইটিতে। বিশেষত ‘বাহাদুর ভাইবোন’ গল্পটা ভীষণ ভালো লাগার মতো। একজন নারী সাহাবি ভাইকে উদ্ধারের জন্য কীভাবে নিজের জীবন বাজি রেখে লড়াই করেন, কীভাবে আবার নিজেই বন্দি হয়ে পড়েন এবং উদ্ধার পান, এসব বিস্তারিত বর্ণনা করা হয়েছে এই গল্পে।
সাহাবায়ে কেরাম সবাই ছিলেন আল্লাহওয়ালা। তাঁরা দুনিয়ার জীবনের ওপর পরকালীন জীবনকে প্রাধান্য দিয়েছিলেন। এজন্য দেখা যায়, বড় বড় রাজ্য শাসন করা সত্ত্বেও তাঁদের নিজেদের ঘরে ঠিকমতো খাবার জুটতো না। তাঁরা ছিলেন দানশীল— নিজের জন্য তেমন কিছু না থাকলেও সেটুকু পর্যন্ত বিলিয়ে দিতেন গরিব-মিসকিনদের মাঝে। বইটির ‘এক যে ছিল গভর্নর’ গল্পে আমরা এর প্রকৃষ্ট প্রমাণ পাব।
এছাড়াও সাহাবিদের জীবনের শ্রেষ্ঠ কিছু গল্প ওঠে এসেছে এ বইয়ে। বিশেষত তাঁদের দাওয়াত ও সংগ্রামের ব্যাপারটা বেশি প্রাধান্য পেয়েছে। ‘লাশ মাড়িয়ে চলে যাও’, ‘আজনাদাইনের শহিদ’, ‘আমি সফল’ ইত্যাদি গল্পে এধরনের চিত্র বহু আছে।
বি:দ্র: আলোর দিশারি – ১ বইটি free pdf download করিতে চাহিয়া লেখকদের নিরুৎসাহিত করিবেন না
Reviews
There are no reviews yet.