হ্যাপী থেকে আমাতুল্লাহ মাকতাবাতুল আযহার প্রকাশনীর ইসলামি বই টি পেতে ইসলামিক বইঘর ডট কম এ অনলাইন অর্ডার করুন এখনই।
১। হ্যাপী থেকে আমাতুল্লাহ বইটি আপনি ফোন বা অনলাইন এর মাধ্যমে অর্ডার করার পর ইসলামিক বইঘর ডট কম আপনার সাথে যোগাযোগ করবে এবং আপনার বিলি ঠিকানা নিশ্চিত করবে ।
৩। ইসলামিক বইঘর এখন ঢাকা ও এর আশেপাশে ক্যাশ অন ডেলিভারী ও কুরিয়ার সার্ভিস এর মাধ্যমে বই পাঠাচ্ছে । এবং ঢাকার বাইরে কুরিয়ার সার্ভিস এর মাধ্যমে বই পাঠাচ্ছে ।
৫। বইয়ের মুল্য bKash, ডাচ বাংলা মোবাইল বা ক্যাশ অন ডেলিভারী এর মাধ্যমে প্রদান করা যাবে । বাংলাদেশের যে কোনো প্রান্তে ৪০ টাকায় বই পৌছে দেয়া হবে ।
যে কোন ইসলামী বই পেতে ইসলামিক বইঘর.কম এর সাথেই থাকুন
বি:দ্র: হ্যাপী থেকে আমাতুল্লাহ বইটি free pdf download করিতে চাহিয়া লেখকদের নিরুৎসাহিত করিবেন না
ADnan MaHmud –
কিছুদিন আগেও মিডিয়া জগতে অতি আলোচিত সমালোচিত একটি নাম ছিল”নাজনীন আক্তার হ্যাপী”।
হ্যা চিত্র নায়িকা হ্যাপী। শোবিজ অঙ্গনে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিনত হয়েছিলেন।
সিনেমা করছেন, নাচছেন অভিনয় করছেন, অনলাইনেও বেশ একটিভ। ফেইছবুকের প্রোফাইলে নিয়মিত আপডেট দিচ্ছেন রঙিন ছবি।
চলছিল এভাবেই।
কিন্তু হঠাৎ একদিন ফেইছবুকের ওয়ালে পোষ্ট দিলো “সে আর অভিনয় করছেন না”।
হৈচৈ এর শুরুটা সেখান থেকেই।
অর্থ, গ্লামার, জনপ্রিয়তা, শোবিজ জগতে অবস্থান সবই ছিল তার। সিনেমার কৃত্রিম নিয়ন আলোর জগত থেকে বের হয়ে এসেছেন। কিন্তু কেন? সুন্দর ক্যারিয়ার, রঙিন লাইফ স্টাইল বাদ দিয়ে কিসের মোহে পড়ে এখন সে আগাগোড়া পর্দাবৃত একজন নারী।
কী এমন জিনিস তার মধ্যে এমন বিরাট পরিবর্তন আনলো?? বইটি পড়লে বিরাজমান সমাজব্যবস্থা সম্পর্কে আমাদের একটু হলেও ভাবনার উদ্রেক হবে।
মূলত একটি সাক্ষাতকারকেই বই আকারে ছাপানো হয়েছে। আমাদের সমাজে, সংস্কৃতিতে বেড়ে ওঠা একটা মেয়ে চাইলেই নেচে, গেয়ে, অভিনয় করে, শোবিজ জগতে মেতে থাকা “হ্যাপী” হতে পারবে।
কিন্তু কেউ যদি পর্দানশীন, ধার্মিকা “আমাতুল্লাহ” হতে চায় তাহলে আমাদের সমাজ তাকে আটকে ধরবে। পদে পদে বাধার দেয়াল গড়ে তুলবে। পথের উপর কাটা বিছিয়ে রাখবে। চিত্র নায়িকা হ্যাপীর বেলায় ও ব্যতিক্রম কিছুই ঘটেনি। শত বাধা বিপত্তি পেড়িয়ে নিজ অবস্থানে দৃঢ় ছিলেন। মাদরাসা, তালিম, পড়ালেখার মধ্যে ঢুবে ছিলেন। ফিরে যান নি চাকচিক্যময় সিনেমা জগতে। কি ভেবেছিলেন? কি পেয়েছিলেন এই পর্দা আর ধার্মিকতার মধ্যে? একসময়কার নষ্টা হ্যাপী কেন ডুবে আছেন ধর্মের মধ্যে?? কেন নিজেকে পর্দায় আবৃত রেখে ‘মুক্তো’ ভাবছেন? এমন অনেক প্রশ্নের উত্তর তার মুখেই শুনুন এই বই পড়ে।
হয়তো অন্ধকার থেকে আলোতে আসার পথ এখনো পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়নি।
কিন্তু ও পথ বড্ড বিপদ সঙ্কুল। বড় বেশি কাঁটাভরা।
সিনেমা জগৎ থেকে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেয়ার পর কেমন শারিরিক, মানসিক টর্চারের স্বীকার হতে হয়েছিল “আমাতুল্লাহ” কে। টর্চারের বর্ননা দিতে গিয়ে অশ্রুসিক্ত হয়ে পরেন সে। সাক্ষাতকার গ্রহন কারীরাও কেদে ফেলেন। কি বলেছিল সেই সাক্ষাতকারে? পড়ুন। আপনিও অশ্রুসিক্ত হতে পারেন।
সাক্ষাতকার গ্রহণকারী আমাতুল্লাহ কে অনেক ধরনের প্রশ্নই করেছেন, ব্যক্তিগত, পারিবারিক। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কি তার সে বিষয়েও। প্রশ্ন করেছেন সিনেমা জগত নিয়েও। পাঠক বইটি পড়ে একটি জিবন্ত সাক্ষাৎকারের স্বাদ অনুভব করতে পারবেন।
সুন্দর একটি বই।
বইটি পড়ে যা বুঝলাম,
চলমান সংস্কৃতি, বিরাজমান মিডিয়া জগত একজন মেয়েকে পন্য হিসেবেই উপস্থাপন করে। একটি মেয়ে ভূগের পন্য! কামনার প্রতিমা মাত্র। তেল, সেম্পু থেকে শুরু শেভিং ক্রিমের বিজ্ঞাপনেও নারীকে উপস্থাপন। সুন্দর উপস্থাপন আর আকর্ষণীয় অঙ্গভঙ্গি দিয়ে যেন পন্যের দিকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করে একজন মডেল।
সাবেক অভিনেত্রী হ্যাপীর ভাষায় ” মডেল মানেই পন্য। কারন একজন মডেল যখন বিজ্ঞাপন করে, তখন সে কি করে? তার চেহারা অঙ্গ ও অভিনয় দিয়ে মানুষকে সেই বস্তুর দিকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করে। এর বিনিময়ে সে টাকা পায়।
আমি আমার জীবনে দেখেছি, একজন নায়িকা যখন সিনেমায় অভিনয় করে সে পারিশ্রমিক পায়। তাকে যেই পারিশ্রমিক দেয়া হয় সেটা প্রযোজক তুলে নেয় সিনেমার টিকেট বিক্রয়ের মাধ্যমে। সিনেমা হলে এসে দর্শকরা তার শরীর দেখার বিনিময়ে টাকা দিচ্ছে। তাহলে আপনি বলুন, চলচ্চিত্রে নারীকে কিভাবে পদর্শন করা হচ্ছে? পণ্য হিসেবেই পদর্শন করা হচ্ছে।
একজন সাবেক অভিনেত্রীর মুখে এমন কথা শুনে বুঝার আর বাকি থাকেনা যে, আমাদের সংস্কৃতি মরণব্যাধী ক্যান্সারে আক্রান্ত। সিনেমা দিয়ে সংস্কৃতির মাধ্যমে দেশ কে এগিয়ে নেয়ার কথা বলা, সভ্য করে গড়ে তুলার কথা বলা বড্ডই হাস্যকর এখন।
এবার আসি সমালোচনায়।
সমালোচনা আমার একটা রোগ। রোগ হলেও পাঠক হিসেবে আমি সমালোচনা করার অধিকার রাখি।
বইটিতে প্রথমত কয়েক জায়গায় বানান ভুল। বাধাইটা খুব উচ্চমানের মনে হয়নি। প্রকাশক এবং সম্পাদকের কাছে অনুরুধ থাকবে পরবর্তী সংস্করনে বিষয়টি খেয়াল রাখবার।
সাক্ষাৎকার গ্রহণকারীর প্রশ্নের উত্তরে আমাতুল্লাহ একটা জায়গায় বলেন “দ্যা মেসেজ” নামের একটা ফিল্ম হেদায়াত লাভের পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে। ঠিক অন্য জায়গায় আমাতুল্লাহ বলেছেন “আমি চাইনা কেউ ফিল্ম দেখে দ্বীনের প্রতি আসুক” (যদিও ব্যপার টি তার ব্যাক্তিগত মতামত)
পাঠক হিসেবে একমত হতে পারলাম না। একটি সর্ট ফিল্ম, একটা সুন্দর ভিডিও জীবনে অনেক বড় পরিবর্তন আনতে সক্ষম। সিনেমার মাধ্যমে নষ্টামী শেখছে এই প্রজন্ম। সভ্য প্রজন্ম গড়ে তুলতে হলেও “দ্যা মেসেজ” এর মত সুন্দর ফিল্ম গুলো ভূমিকা রাখবে।
সুন্দর দিয়েই ঘায়েল করতে হবে।
ইসলাম_ইজ_কম্পলিট_কোড_অব_লাইফ’ এটা নিশ্চয় চির সত্য।
যাহোক সুন্দর একটি বই।