‘ সবুজ পাতার বন ‘। শাইখ আবদুল আযীয আত-তারিফীর লেখা নিয়ে বাংলায় এক অনবদ্য কিতাব। মোট সাতটি অধ্যায় থাকছে বইটিতে।
.
১। বিশ্বাসের ভিত্তি
২। সত্য মিথ্যার চিরন্তন দ্বন্দ্ব
৩। ইবাদাত ও আত্মশুদ্ধি
৪। সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধ
৫। চিন্তার স্বাধীনতা নয়, নফসের শিকল
৬। অন্তরের ব্যাধিসমূহ
৭। মূল্যবান উপদেশ
আল্লাহর রাসূলকে ﷺ একটা চমৎকার গুণ দেওয়া হয়েছিল -জাওয়ামি আল-কালাম -অর্থাৎ অল্প কথায় গভীর ভাব ব্যক্ত করার ক্ষমতা। যারা ইলমের সাথে প্রজ্ঞার মিশেলে ইলমের গভীর থেকে গভীরে গিয়ে মণি মুক্তা আহরণ করে তা ছড়িয়ে দিতে পারেন। যাদের মুখনিঃসৃত বাক্যগুলো শ্রোতার অন্তরে গিয়ে আঘাত করে, চিন্তার জগতে আলোড়ন তুলে দেয়। আমাদের এ যুগে রাসূলের সেই গুণটি যারা সংরক্ষণ করেছেন তাদের একজন শাইখ আবদুল আযীয আত-তারিফীর. তাঁর কথাগুলো কুরআনে ভাষায় যেন সূরা ইবরাহীমের সেই ‘একেকটি বৃক্ষ, সুদৃঢ় যার মূল, আকাশছোঁয়া তার শাখা-প্রশাখা … আর আল্লাহ তাআলা মজবুত কথা দ্বারা মু’মিনদের মজবুতি দান করেন…’
.
আমরা শাইখের অমূল্য সেসব কথা দিয়ে একটি বন সাজিয়েছি, সবুজ পাতার বন। শাইখের হৃদয়ে শিহরণ জাগানো আর ঈমানে স্ফুলিঙ্গ জ্বালানো কথামালা এই বনের এক একটি বৃক্ষ। আছে সুশোভিত ডালপালা, ফলফলাদি আর ফুলের সুবাস। আকীদার বুনিয়াদি বিষয় থেকে শুরু করে আত্মশুদ্ধি, শাসক-শাসিতের প্রতি নসিহত, আলেমের মানহাজ থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের ধ্যান ধারণা, উম্মাহর দুর্দশা, পশ্চিমা আগ্রাসন, মডারেট ইসলামের মিথ্যে খোলস সব বিষয়েই প্রিয় শাইখের হৃদয় জাগানিয়া এবং শিহরণ জাগানো বাক্যের গাঁথনি যেন এই বাগানের একটি সুবজ পাতা।
.
পাঠক আমাদের সবুজ পাতার বনে এসে নিজেকে সম্পূর্ণ নতুনভাবে আবিষ্কার করবেন, কিংবা নিজেকে আবার নতুনভাবে সাজিয়ে নিবেন, সেই প্রত্যাশায়।
বি:দ্র: সবুজ পাতার বন বইটি free pdf download করিতে চাহিয়া লেখকদের নিরুৎসাহিত করিবেন না

মুহাররম মাস: গুরুত্ব ও করণীয়
কুরআন ও বিজ্ঞান
মধ্যপ্রাচ্যে হাফেজ্জী হুজুর
আলোর পথে
নামাজ কবুল না হওয়ার গোপন রহস্য
প্রফেসর হামীদুর রহমানের মালফুযাত
জীবহত্যা ও ইসলাম
আমাদের নবীজির ১০০ মুজেযা
উসওয়াতুন হাসানাহ
আর ছাড়বো না নামায
ইতিহাসের কাঠগড়ায় হযরত মুআবিয়া রা.
রমযান মাসের ৩০ আসর
যে ফুলের খুশবুতে সারা জাহান মাতোয়ারা
মোস্তফা চরিত
যদি আদর্শ ছাত্র হতে চাও
মুহাম্মাদ সা. ব্যক্তি ও নবী
Self–confidence 
Alamgir Hossain Manik –
সবুজ পাতার বন”
আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে একটা চনৎকার গুন দেওয়া হয়েছিল –
‘আওয়ামি আল – কালিম’ – অল্প কথায় গভীর ভাব ব্যক্ত করার ক্ষমতা।তিনি কথা বলতেন একেবারে অল্প, কিন্তু সেই কথার বোধগম্যতা ছিল অনেক বেশি।তার করে যাওয়া ক্ষুদ্র কোন কাজের মধ্যেও রয়েছে এই উম্মতের জন্য কল্যান।তার ছোট ছোট কিছু উপদেশ বানী এই উম্মতের জন্য আল্লাহ পাকের কাছ থেকে অনুগ্রহ লাভের এক বিরাট মাধ্যম।
আমাদের প্রিয় নবীজি আলেমদেরকে আকাশের তারার সাথে তুলনা করেছেন।মানুষ যখন পথ হারিয়ে ফেলে তখন আকাশের তারা দেখে দিক ঠিক করে নেয়।ঠিক তেমনি আলেমদের বৈশিষ্ট্যও এমন হবে যে, তাদেরকে দেখেই উম্মাহ সঠিক পথে পরিচালিত হবে।তারা যেন অন্ধকার আকাশের জ্বলজ্বলে তারা, শত আলোকবর্ষ দূর থেকেও দৃশ্যমান, পথিকের হিদায়াতের উৎস।
অনেক ব্যক্তিই রাসূল (সা) এর জীবদ্দশায় মুরতাদ হয়ে গিয়েছিলো।খিলাফাহর যুগে তো কয়েকটি গোষ্ঠিই সম্পূর্ণভাবে মুরতাদ হয়ে গিয়েছিল।এটা কখনোই ইসলামের কোন ক্ষতি করতে পারেনি, আর না কখনো পারবে।আল্লাহর সুন্নাহ হলো, একজন দ্বীন থেকে বের হয়ে গেলে তার স্থলে পুরো একটি মুসলিম জনপদ নিয়ে আসা।
আলহামদুলিল্লাহ। এই উম্মতের মাঝে কিছু শ্রেষ্ঠ আলেমদের মাঝে শাইখ আবদুল আযীয আত- তারিফী হলেন অন্যতম একজন।তার কথাগুলো কুরআনের ভাষায় যেন একেকটি বৃক্ষ, সুদৃঢ় যার মূল, আকাশছোঁয়া তার শাখা- প্রশাখা আর আল্লাহ তা’আলা মজবুত কথা দ্বারা মুমিনদের মজবুতি দান করেন।
আর তাই শাইখ আবদুল আযীয আত-তারিফী হাফিযাহুল্লাহর কিছু কথা দিয়ে সাজানো হয়েছে একটি বন, সবুজ পাতার বন।