বৃষ্টিমুখর রৌদ্রমুখর
বিষণ্ণতার প্রহরগুলোকে প্রাণ ফিরিয়ে দেয়ার জন্যে, জীবনের উঠোনকে জান্নাতের পুষ্পসৌরভে শোভিত করার প্রেরণা যোগানোর জন্যে, বিশ্বাসী তারুণ্যকে সুন্নাহর সবুজতা চিনিয়ে দেয়ার প্রয়াস নিয়ে বইমেলায় আসছে সিয়ানের নতুন নিবেদন ‘ বৃষ্টিমুখর রৌদ্রমুখর ’।
বি:দ্র: বৃষ্টিমুখর রৌদ্রমুখর বইটি free pdf download করিতে চাহিয়া লেখকদের নিরুৎসাহিত করিবেন না

আশ-শাফী (বাংলা-ইংরেজী-আরবী অভিধান)
সংসার ভাবনা
ভারত শাসন করলো যারা
ডিমেনশিয়া
সুন্দর জীবন
যুক্তির নিরিখে ইসলামী বিধান
আবদুর রহমান ইবনু আউফ রাদি.
মহানবী (সা)-এর সম্মানিত কন্যাগণ
বিয়ে কেনো যৌবনে
Enjoy Your Life- জীবন উপভোগ করুন
রহস্যময় মজার বিজ্ঞান ২
ইসলামী ব্যাংক - ভুল প্রশ্নের ভুল উত্তর
সুখময় জীবনের খোঁজে
তাতারিদের ইতিহাস (দুই খণ্ড)
কুরআনের পয়গাম
ব্যক্তি ও পরিবার গঠনে ইসলাম
মাকে খুশী করার ১৫০ উপায়
আল কুরআনের শব্দ অভিধান
শুভ বিবাহের উপহার
আব্দুল্লাহ ইবনে মুবারক রহ. জীবন ও কর্ম
ফয়যুল কালাম (আরবী বাংলা)
IS HE THE MESSENGER?
কবিরা গুনাহ
বন্ধন
বেহেশতী জেওর (১-১১ খন্ড একত্রে)
আদর্শ জীবন গঠনের রূপরেখা
বাস্তব জীবনে হারামের অনুপ্রবেশ ধ্বংসলীলা ও তার প্রতিকার
মুজামু মাসাদিরিল কুরআন
একজন আলোকিত মানুষ
আজব প্রশ্নের-আজব উত্তর -যে প্রশ্নে মাথা খুলে
বিবাহের ব্যবস্থা করুন
প্যারেন্টিং এর মূলনীতি
ডায়াবেটিস ও সুস্থ জীবন
দাম্পত্য জীবনে কলহ কেন?
দাম্পত্যজীবন হোক সুখময়
দাড়ি
আর রাহিকুল মাখতুম
তাফসীর ফী যিলালিল কোরআন (২১ তম খন্ড)
আপনি যখন মা
কিতাবুল মাগাজি (২ খণ্ড একত্রে)
মহাপ্রলয়
বাতিঘর
দারুলউলুম দেওবন্দের সাবেক মহাপরিচালক কারি মোহাম্মদ তৈয়্যব (র.) -এর বাংলাদেশে প্রদত্ত ১৩টি ভাষণ
স্বামীকে ভালোবাসুন
উদর ও লজ্জাস্থান অনিষ্ট প্রতিকার
উমদাতুল আহকাম
জীবনের খেলাঘরে
গুড প্যারেন্টিং
হে মুসলিম! দাড়ি রাখতে বাধা কিসের
উসওয়াতুন হাসানাহ
সিরাত সিরিজ (১-৬)
প্রাচ্যবিদদের দাঁতের দাগ
ফিকহী যাওয়াবিত (১-৪ ভলিয়ম ২খন্ড)
সোনালী যুগের মুফাসসিরীনে কেরাম
ফিতনার কবলে তারাবীহ
সাহাবীদের সাথে ৩৬৫ দিন
ইসলামী জীবন ধারা
যুব সমস্যা ও তার শরয়ী সমাধান
বাইতুল্লাহর ছায়ায় 
Mahbuba Upoma –
দুচোখ দিয়ে তো কতকিছুই দেখি। সূর্যোদয়-সূর্যাস্ত, সবুজ গাছ, আকাশে উড়তে থাকা পাখি, সবুজ গাছগাছালি, কত রকমের ফল, রঙবেরঙের ফুল দুচোখ ভরে দেখি বারবার। কিন্তু না চাইতেই যিনি আমাকে দুটো চোখ দিয়েছেন, সৃষ্টি জগতকে এতো সুন্দরভাবে সাজিয়েছেন তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি কতবার? প্রকৃতি কি আমাকে শুধু তার রূপেই মুগ্ধ করে রাখে নাকি আমাদের সৃষ্টিকর্তার কথাও মনে করিয়ে দেয়? বাবুই পাখি, চালতা পাতা দেখে আমি কি কখনও এভাবে ভেবেছিলাম লেখক আব্দুল্লাহ মাহমুদ নজীবের মতো?
“শিল্পীপাখি বাবুই, শিল্পিত পাতা চালতা-এদের প্রতি আমার মুগ্ধতা আছে, সম্মোহন নেই ৷ এই শিল্পসচেতন পাখি, এই শিল্পখচিত পাতা যিনি সৃজন করেছেন, শিল্পের মূল তো তিনিই৷”
নজীব ভাইয়ার লেখা সম্পর্কে বলার দুঃসাহস আমি দেখাবো না। সব বড় বড় লেখকেরাই যখন তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ সেখানে আমি কিই বা বলতে পারি। আমি বরং ‘বৃষ্টিমুখর রৌদ্রমুখর’ বইটা সম্পর্কে আমার ভালোলাগার কথা বলি।
‘বৃষ্টিমুখর রৌদ্রমুখর’ নামটা প্রথম শুনেই ভালোবেসে ফেলি। লেখকের ‘শেষ রাত্রির গল্পগুলো’ বইটা পড়ার পর তার পরের বইটা পড়ার অপেক্ষায় ছিলাম। দীর্ঘ অপেক্ষার পর সিয়ান পাবলিকেশন এর ‘বৃষ্টিমুখর রৌদ্রমুখর’ বইটা হাতে পাই। প্রথম প্রথম মনে হয়েছিলো প্রচ্ছদটা অন্যরকম হলে ভালো হতো। এখন আবার এটাই ভালো লাগছে। লেখক বইটা অর্পণ করেছেন তার ভাইবোনদের। ছড়া আকারে এমন অর্পণ সত্যি অনন্য। বইটিতে রয়েছে ছয়টি প্রবন্ধগল্প। ‘প্রবেশক’ শিরোনামের লেখাটির মাধ্যমে শুরু হবে লেখকের সাথে সুন্দর এক সফর, সেখানে ‘বনের পাখিরে কে চিনে রাখে’, ‘আজি ঝর ঝর মুখর বাদল দিনে’, ‘রৌদ্রমুখর’ প্রবন্ধগল্পগুলোর মাধ্যমে লেখক একের পর এক চেনা-অচেনা বনের পাখি, গাছপালা, ফুল-ফলের সাথে পরিচয় করিয়ে দিবেন আর গল্পের ছলে শিখিয়ে দিবেন বিশ্বাসী হৃদয়ের পথ চলার কৌশল। বইটাতে কুরআনের আয়াতের অনুবাদ বেশ সাবলীল, যেটা হৃদয়স্পর্শী। অনেক বইয়ে অনুবাদগুলো খটমটে হয়। যারা ফজরের সালাতে সময় মতো উঠতে পারেন না তাদেরকে ‘ফজরে আমি উঠতে পারিনা’ লেখাটি ভীষণ অনুপ্রেরণা জোগাবে। ‘আজি বসন্ত জাগ্রত দ্বারে ‘ শিরোনামের লেখাটির শেষ প্রান্তে এসে আবিষ্কার করবেন লেখকের সাথে এই আনন্দময় ভ্রমণ শেষ হতে চলল। তবে বিদায় দিয়েও অল্পকিছুক্ষণের জন্য দূঃখটা প্রশমিত করতে ‘গ্রন্থপঞ্জি’ তে নিজের ছায়া রেখে যাবেন লেখক। একটু ধর্য্য নিয়ে পড়লেই বুঝতে পারবেন পাঠককে এতো সুন্দর একটি বই উপহার দেওয়ার জন্য লেখক কত্তগুলো বই পড়েছেন। এমন একটি বই যারা এখনও পড়েননি তাদের জন্য আমার আফসোস হচ্ছে। আর দেরি নয়, তাড়াতাড়ি পড়ে ফেলুন তো।
বইটা প্রকাশের আগে নজীব ভাইয়া তার ফেসবুক আইডি ডিএক্টিভ রেখেছিলেন কয়েকমাস। তার কবিতা আর বিশাল বিশাল ‘টুকরো দিনলিপি’ খুব মিস করছিলাম। ‘বৃষ্টিমুখর রৌদ্রমুখর’ পড়ে মনে হলো সেই শূণ্যতা কড়ায়গণ্ডায় পূরণ হয়ে গিয়েছে। এই বইটার লেখক এবং যারা এটা আমাদের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন সবাইকে আল্লাহ সুবহানাহুতাআলা উত্তম প্রতিদান দিন। আমীন