বৃষ্টিমুখর রৌদ্রমুখর
বিষণ্ণতার প্রহরগুলোকে প্রাণ ফিরিয়ে দেয়ার জন্যে, জীবনের উঠোনকে জান্নাতের পুষ্পসৌরভে শোভিত করার প্রেরণা যোগানোর জন্যে, বিশ্বাসী তারুণ্যকে সুন্নাহর সবুজতা চিনিয়ে দেয়ার প্রয়াস নিয়ে বইমেলায় আসছে সিয়ানের নতুন নিবেদন ‘ বৃষ্টিমুখর রৌদ্রমুখর ’।
বি:দ্র: বৃষ্টিমুখর রৌদ্রমুখর বইটি free pdf download করিতে চাহিয়া লেখকদের নিরুৎসাহিত করিবেন না

মানবতার বন্ধু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ (সাঃ)
নবীজির সা: পদাঙ্ক অনুসরণ
কেমন ছিলেন রাসূলুল্লাহ (সা.)
সারা বছরের জুমুআর বয়ান -১
সাহাবীদের আলোকিত জীবন (তিন খণ্ড)
রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর বিপ্লবী জীবন
রাসূল (সা) এর জীবনের অন্যতম দশদিন
মোহরে নবুওয়াত
হুদায়বিয়ার সন্ধি
যুব সমাজের প্রতি বরেণ্যদের খোলা চিঠি
এসো কোরআন শিখি (১ম খণ্ড)
রাসূলের চোখে দুনিয়া
প্রিয় নবীজির স. প্রিয় উপদেশ
কিয়ামতের আলামত
আল্লাহর অস্তিত্ব ও রাসূল (সাঃ)-এর নুবুয়্যতের সত্যতা
মিশকাতুল মাসাবীহ-১
ছোটদের বিশ্বনবী (সা:)
নারী পুরুষের ভুল সংশোধন
নবীয়ে রহমত
দৈনন্দিন জীবনে প্রিয় নবী সা. এর সুন্নাত শিখি জীবন গড়ি
আব্দুল কাদের জিলানি রহ. এর একগুচ্ছ নাসিহাহ
ইসলাম ও বিজ্ঞানের আলোকে খানাপিনার আদব
আত-তাইসীর ৫ম শ্রেণী
ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স
বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
ইলাইহিল ওয়াসিলা
সোনালি উপদেশ
নবিজির ওফাত
মানবতার নবী হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
নীল সবুজের দেশে 
Mahbuba Upoma –
দুচোখ দিয়ে তো কতকিছুই দেখি। সূর্যোদয়-সূর্যাস্ত, সবুজ গাছ, আকাশে উড়তে থাকা পাখি, সবুজ গাছগাছালি, কত রকমের ফল, রঙবেরঙের ফুল দুচোখ ভরে দেখি বারবার। কিন্তু না চাইতেই যিনি আমাকে দুটো চোখ দিয়েছেন, সৃষ্টি জগতকে এতো সুন্দরভাবে সাজিয়েছেন তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি কতবার? প্রকৃতি কি আমাকে শুধু তার রূপেই মুগ্ধ করে রাখে নাকি আমাদের সৃষ্টিকর্তার কথাও মনে করিয়ে দেয়? বাবুই পাখি, চালতা পাতা দেখে আমি কি কখনও এভাবে ভেবেছিলাম লেখক আব্দুল্লাহ মাহমুদ নজীবের মতো?
“শিল্পীপাখি বাবুই, শিল্পিত পাতা চালতা-এদের প্রতি আমার মুগ্ধতা আছে, সম্মোহন নেই ৷ এই শিল্পসচেতন পাখি, এই শিল্পখচিত পাতা যিনি সৃজন করেছেন, শিল্পের মূল তো তিনিই৷”
নজীব ভাইয়ার লেখা সম্পর্কে বলার দুঃসাহস আমি দেখাবো না। সব বড় বড় লেখকেরাই যখন তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ সেখানে আমি কিই বা বলতে পারি। আমি বরং ‘বৃষ্টিমুখর রৌদ্রমুখর’ বইটা সম্পর্কে আমার ভালোলাগার কথা বলি।
‘বৃষ্টিমুখর রৌদ্রমুখর’ নামটা প্রথম শুনেই ভালোবেসে ফেলি। লেখকের ‘শেষ রাত্রির গল্পগুলো’ বইটা পড়ার পর তার পরের বইটা পড়ার অপেক্ষায় ছিলাম। দীর্ঘ অপেক্ষার পর সিয়ান পাবলিকেশন এর ‘বৃষ্টিমুখর রৌদ্রমুখর’ বইটা হাতে পাই। প্রথম প্রথম মনে হয়েছিলো প্রচ্ছদটা অন্যরকম হলে ভালো হতো। এখন আবার এটাই ভালো লাগছে। লেখক বইটা অর্পণ করেছেন তার ভাইবোনদের। ছড়া আকারে এমন অর্পণ সত্যি অনন্য। বইটিতে রয়েছে ছয়টি প্রবন্ধগল্প। ‘প্রবেশক’ শিরোনামের লেখাটির মাধ্যমে শুরু হবে লেখকের সাথে সুন্দর এক সফর, সেখানে ‘বনের পাখিরে কে চিনে রাখে’, ‘আজি ঝর ঝর মুখর বাদল দিনে’, ‘রৌদ্রমুখর’ প্রবন্ধগল্পগুলোর মাধ্যমে লেখক একের পর এক চেনা-অচেনা বনের পাখি, গাছপালা, ফুল-ফলের সাথে পরিচয় করিয়ে দিবেন আর গল্পের ছলে শিখিয়ে দিবেন বিশ্বাসী হৃদয়ের পথ চলার কৌশল। বইটাতে কুরআনের আয়াতের অনুবাদ বেশ সাবলীল, যেটা হৃদয়স্পর্শী। অনেক বইয়ে অনুবাদগুলো খটমটে হয়। যারা ফজরের সালাতে সময় মতো উঠতে পারেন না তাদেরকে ‘ফজরে আমি উঠতে পারিনা’ লেখাটি ভীষণ অনুপ্রেরণা জোগাবে। ‘আজি বসন্ত জাগ্রত দ্বারে ‘ শিরোনামের লেখাটির শেষ প্রান্তে এসে আবিষ্কার করবেন লেখকের সাথে এই আনন্দময় ভ্রমণ শেষ হতে চলল। তবে বিদায় দিয়েও অল্পকিছুক্ষণের জন্য দূঃখটা প্রশমিত করতে ‘গ্রন্থপঞ্জি’ তে নিজের ছায়া রেখে যাবেন লেখক। একটু ধর্য্য নিয়ে পড়লেই বুঝতে পারবেন পাঠককে এতো সুন্দর একটি বই উপহার দেওয়ার জন্য লেখক কত্তগুলো বই পড়েছেন। এমন একটি বই যারা এখনও পড়েননি তাদের জন্য আমার আফসোস হচ্ছে। আর দেরি নয়, তাড়াতাড়ি পড়ে ফেলুন তো।
বইটা প্রকাশের আগে নজীব ভাইয়া তার ফেসবুক আইডি ডিএক্টিভ রেখেছিলেন কয়েকমাস। তার কবিতা আর বিশাল বিশাল ‘টুকরো দিনলিপি’ খুব মিস করছিলাম। ‘বৃষ্টিমুখর রৌদ্রমুখর’ পড়ে মনে হলো সেই শূণ্যতা কড়ায়গণ্ডায় পূরণ হয়ে গিয়েছে। এই বইটার লেখক এবং যারা এটা আমাদের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন সবাইকে আল্লাহ সুবহানাহুতাআলা উত্তম প্রতিদান দিন। আমীন