প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ
বিশ্বাসের কথা কতটা শক্ত কবা যায়? বিশ্বাসী প্রানের সুর কতটা অনুপম হতে পারে? বিশ্বাসকে যুক্তির দাঁড়িপাল্লায় মাপা কি খুব সহজ? অবিশ্বাসীকে কতটা মায়াভরা স্পর্শে বিশ্বাসের শীতল পরশ দেয়া যায়? যুক্তিই মুক্তি নাকি বিশ্বাসের যুক্তিতে মুক্তি?
প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ পড়ে সবগুলো প্রশ্নের উত্তর পেতে পারেন।
বি:দ্র: প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ বইটি free pdf download করিতে চাহিয়া লেখকদের নিরুৎসাহিত করিবেন না

কুরআনের বিস্ময়কর ভাষাতাত্ত্বিক অলঙ্কার [ডিভাইন স্পিচ]
যুবদাতুল বায়ান (সূরা ফাতিহার তাফসীর)
বক্তৃতার ডায়েরী
খুতুবাতে হাকীমুল ইসলাম -১
ওয়াজ খুতবা ও বয়ান বিশ্বকোষ (১৬ খণ্ড)
সুরা ফাতিহা ও আমাদের বাস্তবতা
দাওয়াতী বয়ান
এক ঝলকে কুরআন কারিম
কারাগারে রাতদিন
নবীপত্নী মহিয়সী খাদিজা
উম্মাহাতুল মুমিনীন সায়্যিদাতুন্নিসা খাদিজা
রস গল্প উপদেশ
আব্দুল কাদের জিলানি রহ. এর একগুচ্ছ নাসিহাহ
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) এর একশত ঘটনা
আল কুরআনের বিষয়ভিত্তিক আয়াত ও বিশ্লেষণ
চার খলিফার ৬০০ শিক্ষনীয় ঘটনা
নারীর বেহেশত
ম্যাসেজ অব কুরআন
হারিয়ে যাওয়া সুন্নাহ
আয়েশা রা.-এর সম্পর্কে ১৫০টি শিক্ষনীয় ঘটনা
থোকায় থোকায় জোনাক জ্বলে 


সালেহ খান বাবলু –
বইটিতে আলোড়ন সৃষ্টিকারী চরিত্রটি হলো সাজিদ। সাজিদ হিমুর মতো উদ্ভট প্রকৃতির নয়,
শুভ্রর মতো হিমুপাগলাও নয়। বলা যায় মিসির
আলির মতো ছিল কিছুটা। শুরুতে নাস্তিক ছিল। কিন্তু বইটির ‘উত্তমপুরুষ’ যখন স্রষ্টার অস্তিত্বের প্রমাণ তুলে ধরলো,
অদেখা জিনিসের প্রতি বিশ্বাসের প্রমাণ দেখালো,
তখন সাজিদ আবার
বিশ্বাসের পথে ফিরে এলো। এদিকে সাজিদের প্রত্যাবর্তন নাস্তিকদের জন্য কাল হয়ে দাঁড়ালো। সাজিদের জ্ঞান-অভিজ্ঞান, যোগ্যতা ও বুদ্ধিমত্তা পরিবেশ-প্রতিবেশকে তাক লাগিয়ে দেয়। তাঁর শিক্ষক- সহপাঠী, আত্মীয়-অনাত্মীয়, পরিচিত-অপরিচিতদের মধ্যে যারা নাস্তিক ছিল, তাদের
উত্থাপিত প্রতিটি প্রশ্নের
পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে উত্তর দিত কোরআন ও বিজ্ঞানের
সমন্বয়ে। তাঁর তত্ত্ববহুল ও তথ্যনির্ভুল উত্তরে নাস্তিকরা ‘থ’ বনে যায়।
সাজিদের অভূতপূর্ব সাক্ষী-সাবুদে নাস্তিকদের রীতিমতো গাত্রদাহ শুরু
হয় বইয়ের ভিতরে ও বাইরের জগতে।
নাস্তিকদের উত্থিত প্রশ্ন থেকে কিছু এমন,
“তাকদির বনাম স্বাধীন ইচ্ছ`- স্রষ্টা কি এখানে বিতর্কিত?
স্রষ্টা খারাপ কাজের দায় নেন না কেন?
মুশরিকদের যেখানেই পাও, হত্যা করো! কোরআনের এই আয়াত কি জঙ্গিবাদের দিকে উস্কে দেয় না? স্রষ্টাকে কে সৃষ্টি করল? কোরআন কি মুহাম্মদ (সা.) এর বানানো গ্রন্থ? আয়েশা (রা.) ও মুহাম্মদ (সা.) এর বিয়ে এবং কথিত নাস্তিকদের কানাঘুষা! কোরআনে বিজ্ঞান- কাকতালীয় না বাস্তবতা?“
এমন আরো অনেকগুলো
প্রশ্নের সাবলীল উত্তর দিয়ে অজস্র মানুষের প্রিয়ভাজন হয়েছে সাজিদ।
রাসূল (সা.) আয়েশা (রা.)কে ৯ বছর বয়সে বিবাহের প্রসঙ্গ নিয়ে নাস্তিকদের কানাঘুষার এক চমকপ্রদ জবাব দেয়া হয়েছে বইটিতে।
আমাদের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিয়ে করার সময় স্ত্রীর বয়স ছিল ৮ বছর। কিন্তু কই? এটা নিয়ে তো মুক্তমনার কোন মুক্তচিন্তক এখন পর্যন্ত আওয়াজ তোলেনি!
তাহলে রাসূল (সা.)’র বিবাহ নিয়ে নাস্তিকদের এতো কানাঘুষা কেন?
কেনই বা একজন রাসূলের পবিত্র চরিত্রে কালিমা লেপনের হীন চেষ্টা করে নিজেদের ঠেলে দিচ্ছে ইতিহাসের আঁস্তাকুড়ে!
আসলে নাস্তিকরা যেহেতু ধর্ম মানে না, তাই সকল ধর্মে আঘাত করাই ওদের ধর্ম। কিন্তু আমাদের দেশের নাস্তিকরা শুধু আমাদের ধর্মে আঘাত করে কেন?
হয়তো এটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত! এতে হয়তো কোন কুচক্রিমহলের উপসর্পণ লুকায়িত!
বইটির প্রতিটি পৃষ্ঠায়
পৃষ্ঠায় লেখকের ব্যুত্পত্তি প্রকাশ পেয়েছে।
কোরআন-হাদিস, বাইবেল, বিজ্ঞান, ইতিহাসের উপর কতোটুক সাধনা ও গবেষণা করলে যে এমন প্রত্যুত্তপন্ন হওয়া যায় তা বইটি না পড়লে বোঝা দুষ্কর। কোরআনের আয়াত আমরাও পড়ি। কিন্তু কতোটুক একাগ্রতার দৃষ্টিকোণে কোরআন পড়লে এমন উদ্ভূত প্রশ্নের জবাব দেয়া যায় তা বোঝে উঠাও আমার পক্ষে দুরূহ ব্যাপার। সত্যিই বইটি নাস্তিকদের মোকাবেলায় ব্যাপক অবদানের ক্ষমতা রাখে। অবিশ্বাসীদের বিশ্বাসের পথে ফিরিয়ে আনার এক কালজয়ীগ্রন্থ ‘প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ’ ।
* * *
উপলব্ধি:
বইটি প্রত্যেকের পাঠ ও
প্রতিটি মুসলিম পরিবারে সংগ্রহে থাকা আবশ্যকীয় বলে আমি মনে করি।
লেখকের বড়ো সাফল্য হলো মুসলিম মিল্লাতকে ঐক্যের প্লাটফর্মে দাঁড় করানো। তাই মুসলমানদের অভ্যন্তরীণ প্রতিটি দল-উপদল এই বইটিকে আজ সন্তুষ্টচিত্তে বরণ করেছে। আমার বিশ্বাস আগামীতে এদেশের প্রতিটি তরুণ সাজিদ হওয়ার স্বপ্নে বিভোর থাকবে। সাজিদ হবে একটি মহলের গৌরব ও আরেকটি মহলের আতঙ্ক। তাই সাজিদ সিরিজের পরবর্তী বইয়ের জন্য এখন থেকেই মুখিয়ে রইলাম।
মুহাম্মাদ তানজিম –
প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ
সাজিদ
কে এই সাজিদ?
সাজিদ শ্রদ্ধেয় নব্য লেখক এবং অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট আরিফ আজাদের অনন্য এক সৃষ্টি, অবিশ্বাস ও নাস্তিকতার কালো অন্ধকার থেকে যুক্তির আলোয় আলোকিত এক সভ্যতা উপহার দেয়ার ক্ষুদ্র প্রয়াসের মাধ্যম হিসেবে যার জন্ম।
যুক্তি তে মুক্তির সন্ধানকারী কিছু মুক্তমনারা এত টাই মুক্তমনের অধিকারী হয়ে যায় যে তাদের সেই মুক্তমনের নামে কালো পর্দা তাদের মন কে ছেয়ে যায়, অসীম এক সত্তার বাণী নিয়েই এই পর্দা ফুঁড়ে আলোকিত করার প্রয়াসেই সাজিদের সৃষ্টি।
সাজিদ শুধু একটি নাম নয়,
সাজিদ আমি, সাজিদ আপনি
এবং সাজিদ সকল অন্ধকার জয় করা
উদয়গামী নব্য সূর্যের প্রথম আলো।
সাজিদ ভালো থাকুক,
ভালো থাকুক সাজিদের সকল পাঠক, সমালোচক, লেখক এবং প্রকাশক,
এগিয়ে চলুক সাজিদ অন্ধ বিশ্বাস কে পিছনে ফেলে মুক্তির দুয়ার খুলে দিতে।।
কিছু কথা: আমি এক কথায় বলব এই বই টি পড়লে একজন মানুষ যেই ধর্ম বা মতবাদে বিশ্বাসী হোক না কেন, এক ভিন্ন স্বাদ পাবে। কিছু বিশ্বাস, যা দীর্ঘকাল মানুষের মনে সাঁতরে বেড়াচ্ছিলো লেখক সেই সব অন্ধ যুক্তির বেড়াজাল ছিঁড়ে এগিয়ে যাওয়ার অসামান্য সাহস দেখিছেয়েন যা একবার হলেও পড়া উচিত সবার।।
Rafiqul Anower Monju –
যুক্তির পিছানে থাকেই মুক্তির স্বপ্ন। তবে যুক্তিই মুক্তি নাকি বিশ্বাসের যুক্তিই মুক্তি?
বিশ্বাসের কথা কতটা শক্ত করে বলা যায়? বিশ্বাসী প্রাণের সুর কতটা অনুপম হতে পারে? বিশ্বাসকে যুক্তির দাঁড়িপাল্লায় মাপা কি খুব সহজ?অবিশ্বাসীকে কতটা মায়াভরা স্পর্শে বিশ্বাসের শীতল পরশ দেয়া যায়?
সত্য-মিথ্যার দ্বন্ধ চিরকাল।তবে সত্যের জয় যে অবশ্যম্ভাবী তাই প্রমাণ করেছে প্যারাডক্সিকাল সাজিদ।ইসলাম বিদ্বেষী মহল যখন অত্যন্ত সুকৌশলে স্রষ্টা,ধর্ম আর কুরআন নিয়ে তরুণদের মনে সংশয়ের বীজ বপন করে দিচ্ছে।আর সহজ সরল তরুণরা যখন দিক ম্ভান্ত হয়ে পড়েছে ঠিক তখনিই লেখক আরিফ আজাদ অত্যন্ত যুক্তি সংগতভাবে নাস্তিকদের উত্থাপিত যুক্তিগুলোর উপযুক্তভাবে খন্ডন করেছেন।তরুণদের মন থেকে সন্দেহের বীজ দুর করেছেন।লেখকের এই রকম একটি মহৎ উদ্দ্যেগ সত্যিই প্রশাংসার দাবিদার। প্যারাডক্সিকাল সাজিদ বইটি খুবই যুক্তিযুক্ত,রেফারেন্স, আর বিঙ্গান ভিত্তিক।যা যেকোনো পাঠকের বিবেকের দুয়ারে আঘাত হানতে বাধ্য।
মাহাদী –
সত্যি ই দারুন একটি বই।