নবী ইউসুফের আ. পাঠশালা
কিছু জিনিস আগুনে পুড়ে যায়, কিছু জিনিস বিশুদ্ধ হয়।
এই দ্বীন মহান, একমাত্র মহানেরাই একে বহনের ক্ষমতা রাখে। আর পরীক্ষার মাধ্যমেই সাধারণ আর অসাধারণের মধ্যেকার পার্থক্য স্পষ্ট হয়ে ওঠে। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে তারা মহান হয়ে ওঠেন। হকপথের বৈশিষ্ট্যই পরীক্ষা। এই পরীক্ষা বিভিন্ন মাত্রার হতে পারে। বিভিন্ন ভাবে আসতে পারে। কিন্তু পরীক্ষা আসবেই। নিশ্চয় যে পথে চলতে গেলে বাধা আসে না, যে পথ কণ্টকাকীর্ণ নয়, সে পথ দ্বীন ইসলামের পথ নয়।
যুগে যুগে সত্যপথের পথিকেরা সবচেয়ে বেশি যে পরীক্ষাগুলোর মুখোমুখি হয়েছেন তার অন্যতম বন্দিত্ব। কারাগার – জীবিতদের কবর, বিষাদের ঘর, সত্যবাদীদের জন্য অভিজ্ঞতা আর শত্রুদের আনন্দের উৎসস্থল এই কারাগার। অনেকের জন্য এ হল সত্যের পথ থেকে বিচ্যুত হওয়া, দ্বীনকে তুচ্ছ মূল্যে বিকিয়ে দেয়া, বিশ্বাসঘাতকতা, পরাজয় আর ইমানহারা হবার জায়গা।
আবার অনেকের জন্য কারাগার হল নবী ইউসুফের আ. পাঠশালা। এমন এক জায়গা যেখানে বান্দা অনুভব করে যুহদ ও ইবাদতের স্বাদ, ইমানের মিষ্টতা, সময়ের বারাকাহ আর আখিরাতের তীব্র কামনা। এমন এক পাঠশালা যেখানে স্বীয় প্রতিপালকের স্মরণে পাথরের মতো শক্ত হৃদয়ও কোমল হয়, প্রাণহীন, আশাহত, কলুষিত, অবাধ্য চোখেও নামে অনুতাপ আর তাওবাহর বৃষ্টি। কারাগার এমন এক পাঠশালা যেখানে মস্তিষ্কে মজুদ করা ‘ইলম হৃদয়ের গভীরে প্রোথিত হয়, ‘ইলম আমলে পরিণত হয়, সত্যের পথে চলার সংকল্প দৃঢ় হয় আর বান্দা অর্জন করে রবের নৈকট্য।
বি:দ্র: নবী ইউসুফের আ. পাঠশালা বইটি free pdf download করিতে চাহিয়া লেখকদের নিরুৎসাহিত করিবেন না
Alamgir Hossain Manik –
নবি ইউসুফের পাঠশালা।
“সে (ইউসুফ) বলল, ‘হে আমার রব, তারা আমাকে যে কাজের প্রতি আহবান করছে তা থেকে কারাগারই আমার নিকট অধিক প্রিয়।
আর যদি আপনি আমার থেকে তাদের চক্রান্ত প্রতিহত না করেন তবে আমি তাদের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়ব এবং আমি মূর্খদের অন্তর্ভূক্ত হব’।” (সূরা ইউসুফ: আয়াত ৩৩)
কারাগার।পৃথিবীর বুকে ছোট এক জাহান্নামের নাম হল এই কারাগার।কত মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলে সামান্য ছোট্ট একটা সেল।অনেক মানুষ তার ঈমান আকীদা এই কারাগার নামক ছোট জাহান্নামের কুঁড়েঘরে নষ্টের কাঠগড়ায় নিয়ে যায়।আকারে ছোট মনে হলেও এই কারাগারই কিন্তু আল্লাহ পাকের পক্ষ হতে বিশাল এক পরীক্ষার কেন্দ্র।আর সেই পরীক্ষা হল শুধুমাত্র ঈমানের পরীক্ষা।
এই দ্বীন ইসলাম মহান, একমাত্র মহানেরাই একে বহনের ক্ষমতা রাখে।আর পরীক্ষার মাধ্যমেই সাধারন আর অসাধারনের মধ্যেকার পার্থক্য স্পষ্ট হয়ে উঠে।পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে মহৎ মানুষেরা দুনিয়া এবং আখিরাত উভয় জাহানেই মহান হয়ে উঠেন।হক পথের বৈশিষ্ট্যইই হল পরীক্ষা।এই পরীক্ষা বিভিন্ন মাত্রার হতে পারে,বিভিন্নভাবে আসতে পারে।কিন্তু পরীক্ষা আসবেই।যে পথ কন্টকাকীর্ণ নয়, সে পথ দ্বীন ইসলামের পথ নয়।
এই পথ তো সেই পথ! যে পথে চলতে গিয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন বাবা আদম।ক্রন্দন করেছিলেন নূহ।আগুনে নিক্ষিপ্ত হয়েছেন ইব্রাহীম খলিলুল্লাহ।যবেহ করার জন্য শোয়ানো হয়েছে ইসমাঈলকে।খুব স্বল্প মূল্যে বিক্রি করা হয়েছিল ইউসুফকে, কারাগারে কাটাতে হয়েছিল জীবনের দীর্ঘ কয়েকটি বছর।যবেহ করা হয়েছে নারী সংস্রব থেকে মুক্ত ইয়াহইয়াকে।রোগে ভুগেছেন আইয়ুব।দাউদের ক্রন্দন, সীমা অতিক্রম করেছে।নিঃসঙ্গ জীবনযাপন করেছেন ঈসা। আলাইহিমুস সালাতু ওয়াস সালাম। নানা দুঃখ- দুর্দশা, কষ্ট- ক্লেশ ভোগ করেছেন শেষ নবী মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)।
দ্বীন ইসলামের পথে চলতে গিয়ে নবী ইউসুফ আলাইহিস সালামের ন্যায় অনুসরন করে যে বান্দাসকল আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনা করেছিলেন আল্লাহ পাক তাদের উপর সন্তুষ্ট হয়ে গিয়েছেন।এমনই কিছু ভাইয়ের দ্বীনের পথে সহ্য করা কষ্ট নিয়ে লিখিত বই ‘নবী ইউসুফের পাঠশালা’।এই কারাগারের পাঠশালার শিক্ষক কিয়ামতের আগ পর্যন্ত নবী ইউসুফই (আলাইহিস সালাম) থাকবেন।
mranasim80 (verified owner) –
Alhamdulillah,
Recommended.