নবি জীবনের গল্পভাষ্য মুস্তফা
তোমাদের যাদের মা আছে— কেমন করে বুঝবে তোমরা মা হারানোর সে কী বেদনা!
সে বেদনা বড়ো কঠিন!
বড়ো কষ্টের সে বেদনা!
তোমাদের মাথার উপর মায়ের ছায়া আছে।
খেতে গেলে মা খাইয়ে দেন তোমাদের।
তোমাদের উপর মায়ের আদর আছে।
ঘুমাতে গেলে ঘুম পাড়িয়ে দেন মা তোমাদের।
তোমাদের জ্বর হলে মা মাথায় পানি ঢেলে দেন। ব্যথা পেলে জায়গাটা ডলে দেন।
মায়ের ভালোবাসায়
মায়ের আদরে
মায়ের যত্নে
মায়ের স্নেহে
মায়ের অকৃত্রিম মমতায় বেড়ে ওঠো তোমরা!
কী সুন্দর স্বপ্নের মতো জীবন তোমাদের।
কিন্তু দেখ— আমাদের নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জন্মের আগেই বাবা হারিয়েছেন। বাবা হারিয়ে এখন— এই ছয় বছর বয়সে মা-ও হারালেন। মা হারানোর এই কঠিন যন্ত্রণা কেমন করে সইবেন তিনি?
যার মা নেই তার দুঃখের কোনো সীমা নেই।
তার কষ্টের কোনো শেষ নেই।
মা হারিয়ে এতিম নবি প্রিয় দাদুমণির কোলে বড়ো হতে লাগলেন। সব সময় দাদুমণির ছায়ায় ছায়ায় থাকেন।
দাদুমণির সাথে খেতে বসেন।
দাদুমণির সাথে ঘুমান।
দাদুমণির সাথে বাইরে বের হন।
দাদুমণি আবদুল মুত্তালিবও এতিম নাতিকে অন্যদের চাইতে একটু বেশিই ভালোবাসতেন। একটু বেশিই আদর করতেন।
কাবাঘরে আবদুল মুত্তালিবের জন্য আলাদা একটা আসন পাতা থাকত। সেখানে তিনি ছাড়া কেউ বসতে সাহস করত না। ছেলেরা যখন কাবাঘরে গিয়ে বসত, তখন আবদুল মুত্তালিবের আসন থেকে একটু সরে বসত। একটু দূরে বসত। অন্য নাতি-নাতনিরাও আবদুল মুত্তালিবের আসনে বসতে সাহস করত না। কিন্তু শিশুনবি একেবারে দাদুমণি আবদুল মুত্তালিবের আসনে গিয়ে বসে পড়ত। এই দেখে চাচারা যখনই শিশুনবিকে সরিয়ে দিতে চাইত, অমনি আবদুল মুত্তালিব বাধা দিতেন। বলতেন, এ্যাই, এ্যাই, ছাড়ো! ছাড়ো! ওকে তোমরা ধরবে না। ও যেখানে বসেছে, বসতে দাও! ও আমার আদরের ধন। ওর মধ্যে আমি এমন কিছু দেখছি, যা তোমরা দেখছ না। এই বলে তিনি শিশুনবিকে টেনে নিয়ে নিজের কোলে বসিয়ে দিতেন। চুমু খেতেন। পিঠ চাপড়ে দিতেন। রাসুলুল্লাহকে আর সবার চাইতে বেশি ভালোবাসতেন দাদুমণি আবদুল মুত্তালিব।
বি:দ্র: নবি জীবনের গল্পভাষ্য মুস্তফা বইটি free pdf download করিতে চাহিয়া লেখকদের নিরুৎসাহিত করিবেন না
Reviews
There are no reviews yet.