কখনও ঝরে যেওনা
উমার (রাঃ) বলেছেন, “যে বেশি বেশি হাসে, তাকে বোকা ভাবা হয় এবং সে তার সমীহ হারিয়ে ফেলে।” একজন সালাফ বলেছেন, “আমরা হাসাহাসি ও কৌতুক করতাম। কিন্তু মানুষ যখন আমাকে অনুকরণীয় হিসেবে দেখতে শুরু করল, তখন থেকে আমি এ ধরনের আচরণ শোভনীয় মনে করলাম না।”
ইবনুল জাওযি (রহঃ) লিখেছেন, “অতিথি হিসেবে ভদ্রতা হলো নির্দিষ্ট কোনো খাবারের কথা না বলা। যদি আপনার দুই পদের খাবারের মধ্য থেকে একটি বেছে নেওয়ার সুযোগ থাকে, তাহলে মেজবানের জন্য যেটা সহজ সেটা বেছে নেবেন। তবে যদি জানা থাকে যে, অন্যটা নিলে মেজবান বেশি খুশি হবেন এবং তিনি সেটা পরিবেশন করতে সক্ষম, তাহলে ভিন্ন কথা।” আর তিনি অতিথিদের উপদেশ দিয়েছেন যেখান থেকে খাবার পরিবেশন করা হয়, সেদিকে বারবার না তাকাতে। কারণ তা পেটুকবৃত্তির লক্ষণ।
ইবনু আকিল লিখেছেন, “শর’ঈ উপলক্ষ ছাড়া অন্য কোনো খাওয়ার দাওয়াতে ছুটে যাওয়াটা পৌরুষসম্পন্ন ও নীতিবান লোকদের জন্য শোভা পায় না। কারণ এটি খারাপ দেখা যায় এবং মানুষের অন্তর থেকে সমীহ দূর করে দেয়।” তাঁর পর ইবনুল জাওযি লিখেছেন, “দাওয়াত কবুল করলে কেবল খাওয়ার জন্যই কবুল করবেন না। বরং সুন্নাহ অনুসরণ করা ও মুমিন ভাইকে সম্মানিত করার উদ্দেশ্যে করবেন…”
আলী ইবনু আবি তালিব (রাঃ) বলেছেন, “কারো খাবার দেখে ‘খাবো-খাবো’ করাটা পুরুষের জন্য দৃষ্টিকটু।” তাই কখনো কোথাও খাবারের দাওয়াত পেলে তিনি যাবার আগে হালকা করে খেয়ে ক্ষুধা কিছুটা নষ্ট করে নিতেন। ইবনু তাইমিয়্যাও এমনটা করতেন বলে জানা যায়। আর ইমাম মালিক তো কারো সামনে পানাহার করাটাই পরিহার করতেন।
কখনো ঝরে যেওনা বইটি পেতে এখনই অর্ডার করুন
বি:দ্র: কখনও ঝরে যেওনা বইটি free pdf download করিতে চাহিয়া লেখকদের নিরুৎসাহিত করিবেন না
lutfar –
মুমিনদের জন্য যথেষ্ঠ একটা বই