উপলব্ধি একটি পরিবারের দ্বীনে ফেরার সামাজিক উপাখ্যান
চুপ করে চাঁদ সুদুর গগণে, মহা-সাগরের ক্রন্ধন শোনে,
ভ্রমর কাঁদিয়া ভাঙিতে পারে না কুসুমের নীরবতা…
তারপর সে গাইলো
আল্লাহতে যার পূর্ণ ঈমান কোথা সে মুসলমান
কোথা সে আরিফ অভেদ যাহার জীবন মৃত্যু জ্ঞান….
গান শেষে সবাই তাকে অভিবাদন জানাচ্ছেন। আরো একটি গান গাওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছেন কিন্তু পবন সবাইকে অবাক করে দিয়ে বলল,
আজ থেকে আমি মিউজিক ছেড়ে দিলাম। এই গান আমার জীবনের শেষ গাওয়া গান।
সবাই কারণ জানতে চাইলে সে এটাই তাদেরকে বলতে চেয়েছে যে শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য সে গান ছেড়ে দিবে।
উপলব্ধি বই থেকে নেয়া
একই মঞ্চে দুই দৃশ্যপট। অবাকই হওয়ার কথা। পবন তার জীবনের দৃশ্যপটকেও এভাবেই পাল্টে দিয়েছিল। বর্তমান সমাজে আমরা আধুনিক বলতে যা বুঝি সেই আধুনিকতার ছোঁয়ায় গা ভাসালে যেরকম আদর্শে বড় হয়ে উঠার কথা সেভাবেই বেড়ে উঠেছিলো সালমা সাহলি আপু,পবন ভাইয়া আর প্রহর ভাইয়া। তারা বুঝতো না নামাজের গুরুত্ব, বুঝতো না সঠিক ইসলাম কিভাবে মানতে হবে। তবে তাদের ছিলো সঠিক উপলব্ধি করার সুস্থ স্বদিচ্ছা।
তাই তারা আলোর পথ দেখেছেন,নিজেদেরকে নিয়ে গেছেন প্রশান্তির দুনিয়ায়। আর এর পিছনে কিছু মানুষ নিয়ামক হিসেবে কাজ করেছেন। যাদের ধৈর্য এবং আন্তরিক প্রচেষ্টার ফলই ছিলো একটা পরিবারের আলোর মুখ দেখা। তারা হয়তো বা এই আলোর ছেয়েও বিজলি চমকাসমেত আলোর দেখা সবসময়ই পেতো কিন্তু সেখানেও নাইট্রোজেনের উপস্থিতি থেকে যেতো, আর এটা তাদের চোখেই শুধু ঝাপসাভাব ধরিয়ে দিতো না, তাদের অন্তরের মাঝেও একটা আমানিষা সৃষ্টি করে দিতো।
আসলে আমাদের প্রত্যেকটা পরিবারে, সমাজে, রাষ্ট্রে কলিমুল্লাহদের মত, রাদিয়াদের মত অসংখ্য নিয়ামক রয়েছে যারা অ্যান্টিবায়েটিক হিসেবে কাজ করতে পারে কিন্তু তারা ভাবে যে, না আমি ঠিক আছি। এই অসুস্থ পরিবেশ আমাকে ঘায়েল করতে পারবে না। সে ভালো না বুঝলে আমি কি করতে পারি তার জন্য। এইরকম চিন্তাভাবনাই আমাদেরকে আত্মকেন্দ্রিক স্বার্থান্বেষি করে দিয়েছে।
তাই আমরা খুব সহজে চাইতে পারি না যে একটা মানুষ আলোর দিকে ফিরে আসুক, যে আলো সত্যিকারের চিকচিকি দিবে আমাদের দেহ মনে। তবে এর ব্যতিক্রম যারা আছেন তারাই হলেন কলিমুল্লাহ স্যার, রাদিয়া, বাসিত আন্টি, বাসিত আঙ্কেল। তাদের জন্যই পবন,প্রহর এবং সালমা সাহলি আপুদের মত অনেকেই দ্বীনের স্পর্শে আসতে পারছে, নিজেদেরকে প্রশান্তির ছায়ায় অনুভব করতে পারছে।
আবার দেখা যায় অনেকেই চেষ্টা করতে যেয়ে ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসে আর এই ব্যর্থ তাই অনেক সম্ভাবনাময় রাস্তা বন্ধ করে দেয়। তবে আমি এখান থেকে সরে এসে রাদিয়া এবং কলিমুল্লাহদের মত সবাইকে আহ্বান করছি আপনারা সঠিক কৌশল অবলম্বন করে মানুষকে সত্যের পথে ডাকুন তাহলে দেখবেন এই সমাজ, এই রাষ্ট্র বদলে যাবে ইনশা আল্লাহ।
বই নিয়ে এই প্রথম কিছু লিখলাম। আসলে আমাদের বর্তমান সমাজের বিকৃত আধুনিকতাকে সুস্থ সুন্দর আধুনিকতায় রূপান্তর করার জন্য তাদের কাছে এইরকম উপন্যাসগুলো পৌঁছে দেয়া উচিৎ। লেখিকার ভাষাশৈলি, বাক্য গঠন, প্রেক্ষাপট বর্ণনা এগুলো দেখেই বইটি ভালো লেগেছে। তবে আমি এগুলোর বিচার করছি না। কারণ, সে পরিমাণ ওজন আমার নেই।তবে, এই আপুর মধ্যেও ভালো কিছু লুকিয়ে আছে। আশা করি উনার কাছ থেকেও আমরা ভালো কিছু পাবো ইনশা আল্লাহ। আল্লাহ তা’আলা আপু সহ উনার পুরো পরিবারকে আল্লাহর দ্বীনের জন্য কবুল করে নিক।
বি:দ্র: উপলব্ধি বইটি free pdf download করিতে চাহিয়া লেখকদের নিরুৎসাহিত করিবেন না
Reviews
There are no reviews yet.