জবানের হেফাজত
প্রতিটি দ্বীনদার ব্যক্তির জন্যই সকল বিষয়ে নিজের জিহ্বা তথা ভাষার ব্যবহারকে সংযত রাখা অত্যন্ত জরুরি। শুধু কল্যাণকর বিষয়েই তার ব্যবহার হতে পারে। এমনকি কল্যাণলাভের বিচারে যদি কথা বলা বা না বলা উভয়ই সমান হয়, তবে সেক্ষেত্রেও নীরব থাকাই সুন্নাত। কেননা, স্বাভাবিক জায়েয কথাবার্তাও ক্ষেত্রবিশেষে মানুষকে মাকরুহ ও হারামের দিকে ধাবিত করার আশঙ্কা রাখে; বরং অভ্যাসবশত অধিকাংশ ক্ষেত্রে ভুলের আশঙ্কাই প্রবল। আর তখন কোনো কিছুই শান্তি বয়ে আনতে পারে না।
৮৮০. আবু হুরাইরা (রাযি.) রাসূল ﷺ থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেছেন ‘যে ব্যক্তি আল্লাহ ও শেষ দিবসের প্রতি ঈমান এনেছে, সে যেন ভালো কথা বলে অথবা চুপ থাকে।’
ইমাম নববী রহ. বলেন, ‘হাদীসটি সহীহ হওয়ার ব্যাপারে ইমাম বুখারী ও মুসলিমের ঐকমত্য এ কথার অকাট্য প্রমাণ যে, কারও জন্য এমন কথা বলা উচিত নয়, যাতে ভালো বা কল্যাণকর কিছু নেই। অর্থাৎ স্পষ্ট কল্যাণ নিশ্চিত হলেই কথা বলবে। নতুবা কল্যাণের ব্যাপারে সন্দিহান হলেও কথা বলবে না।’
ইমাম শাফেয়ী রহ. বলেন, ‘মানুষ যখন কথা বলতে চায়, তখন তার উচিত আগে ভেবে নেওয়া। যদি স্পষ্টত কল্যাণকর হয়, বলবে। আর যদি সন্দেহ হয়, তাহলে স্পষ্ট কল্যাণ না দেখা পর্যন্ত কথা বলবে না।’
বি:দ্র: জবানের হেফাজত বইটি free pdf download করিতে চাহিয়া লেখকদের নিরুৎসাহিত করিবেন না
sayedarafat –
💝💖