রাগ করবেন না হাত বাড়ালেই জান্নাত
আমারা সবাই জানি, মানুষ নানা কিসিমের হয়ে থাকে। কেউ ধনী, কেউ দরিদ্র। কেউ ধৈর্যশীল, কেউ রাগী। কেউ দানশীল, কেউ কৃপণ ইত্যাদি। মানুষের এই শ্রেণিভেদকে সামনে রেখে তাদের সাথে আমাদের আচরণ করা উচিত। এই বিষয়টি নববী যিন্দেগীর কিছু ঘটনাতে আমরা প্রত্যক্ষ করবো।
আনাস রাযি. থেকে জানা যায় যে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কখনো তাকে “উফ” শব্দটুকুও বলেন নি। আয়েশা রাযি- এর হাদিস থেকে আমরা জানতে পারি যে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একবার এসে বললেন, তোমাদের কাছে কি খাবার আছে? তারা বললেন, না। তখন তিনি রাগ করলেন না। এমন কোন কথাও বললেন না যে, কেন তোমরা নাস্তা তৈরি করলে না? অথচ তোমরা জান আমি ক্ষুধার্ত। মসজিদ থেকে আগমন করবো। তিনি শুধু বলেছিলেন, ঠিক আছে। আমি তাহলে সিয়াম পালন করলাম।
আরেকবার তিনি এসে বললেন, তোমাদের কাছে খাবার আছে? তারা বলল, জী আছে। তিনি বললেন, তাহলে নিয়ে আসো। তারপর বললেন, তোমাদের কাছে তরকারী আছে? তারা বললো, আমাদের কাছে শুধু সিরকা আছে। তিনি বললেন, নিয়ে এসো। তারপর সেটা দিয়েই তিনি ভোজন-পর্ব সম্পাদন করলেন।
প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সর্ব ক্ষেত্রে বিবেক দিয়ে কাজ করতেন। উদাহরণস্বরূপ একবার তার কাছে এক গ্রাম্য লোক এসে মসজিদের ভেতরই পেশাব করে দিল। সাহাবিরা এই দৃশ্য দেখে তাকে বাধা দিতে উদ্যত হলেন। কারণ তারা কেবল আবেগ দিয়েই বিষয়টি বিবেচনা করছিলেন কিন্তু নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঠিকই ভেবেছেন, এমনটা হলে কী কী অঘটন ঘটতে পারে। তাই তিনি বললেন, “তাকে বাঁধা দিওনা।” এরপর এক বালতি পানি আনতে বলে তা ধুয়ে দিলেন।
যদি তাকে বাধা দেওয়া হত তাহলে প্রথমেই যা ঘটনার আশংকা ছিল তা হল, তার কাপড়টা নাপাক হয়ে যেত। দ্বিতীয়ত তার ইসলাম ধর্ম পরিত্যাগ করে অমুসলিম হয়ে যাবারও আশংকা ছিল। অথবা ব্যাথা বা হঠাৎ প্রশাব বন্দ হওয়া থেকে সৃষ্ট নির্দিষ্ট ধরনের রোগেও সে আক্রান্ত হতে পারতো।
রাগ করা না করা নিয়ে এরকম আরও অনেক কিছুই বইটিতে পাবেন।
বি:দ্র: রাগ করবেন না হাত বাড়ালেই জান্নাত বইটি free pdf download করিতে চাহিয়া লেখকদের নিরুৎসাহিত করিবেন না
Reviews
There are no reviews yet.