খিলাফতে বনু উমাইয়া
অধ্যায়: এক
মুআবিয়া ইবনে আবু সুফিয়ান রাদিয়াল্লাহু আনহুমা
উমাইয়া খিলাফতের প্রতিষ্ঠাতা বলা হয়,রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বিশিষ্ট সাহাবি মুআবিয়া ইবনে আবু সুফিয়ান রাদিয়াল্লাহু আনহুকে। তিনি কুরাইশ গোত্রের শাখা বনু উমাইয়ার বংশধর। তাঁর বংশধারা- মুআবিয়া ইবনে আবু সুফিয়ান রাদিয়াল্লাহু আনহুমা ইবনে হারব ইবনে উমাইয়া ইবনে আবদে শামস ইবনে আবদে মানাফ। এভাবে আবদে মানাফ পর্যন্ত পৌঁছে তাঁর বংশধারা
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পর্যন্ত মিলিত হয়েছে। জন্ম: তিনি হিজরতের পনেরো বছর পূর্বে (রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নবুওতপ্রাপ্তির দুই-তিন বছর আগে। মক্কা নগরিতে জন্মগ্রহণ করেন। ইসলাম গ্রহণ: ৬ষ্ঠ হিজরিতে মক্কা বিজয়ের সময় ২৩ বছর বয়সে নিজ বংশের
অন্যদের সাথে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাতে ইসলাম গ্রহণ করেন। গুণ-পরিচয়: মুআবিয়া রাদিয়াল্লাহু আনহু শিক্ষিত জ্ঞানী ও বুদ্ধিমান ব্যক্তিত্বের অধিকারী ছিলেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর মেধা ও যোগ্যতা দেখে তাঁকে ওহি লেখকদের তালিকাভুক্ত করেন। এছাড়াও তার দায়িত্ব ছিল,মক্কার আশপাশ থেকে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দরবারে আগত প্রতিনিধি দলের আপ্যায়ন ও অন্যান্য ব্যবস্থাপনা করা।
খোলাফায়ে রাশেদার যুগে:
প্রথম খলিফার যুগ: তেরো হিজরিতে আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহুর খিলাফতকালে তিনি সিরিয়া অভিমুখে বিভিন্ন বাহিনী প্রেরণ করে,তখন মুআবিয়া রাদিয়াল্লাহু আনহুর বড় ভাই ইয়াযিদ ইবনে আবু সুফিয়ানের অধীনে দামেশকে এক সৈন্যবাহিনী প্রেরণ করা হয়। তখন মুআবিয়া রাদিয়াল্লাহু আনহুকে তাঁর ভাইয়ের সাহায্যের জন্য পরবর্তীকালে পাঠানো একটি বাহিনীর সেনাপ্রধান বানানো হয়।সিরিয়ার উপকূলীয় শহর যথা সাইদা’,আরফা’,হাবিল’ ও বৈরুত’ বিজয়ের সমর তিনিই ছিলেন সেনাপ্রধান।’ কায়সারীয়া বিজয়ের মুকুটধারীও ছিলেন তিনি। সে যুদ্ধে আশি হাজার রোমান সৈন্য নিহত হয়।
দ্বিতীয় খলিফার যুগ: ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু মুআবিয়া রাদিয়াল্লাহু আনহুর অসামান্য কাজ আঞ্জাম দেওয়ার কারণে অত্যন্ত খুশি হন। তাঁকে উরদুন-জর্ডানের গভর্নর মনোনীত করেন।
আমওয়াছ মহামারি’তে ইয়াযিদ ইবনে আবু সুফিয়ান রাদিয়াল্লাহু আনহুর ওফাত হয়ে যায়। এরপর তার স্থানে আমিরে মুআবিয়া রাদিয়াল্লাহু আনহুকে দামশকের গভর্নর নিযুক্ত করা হয়। সাথে জর্ডানের দায়িত্বও বহাল থাকে।
তৃতীয় খলিফার যুগ: ইসলামের তৃতীয় খলিফা উসমান রাদিয়াল্লাহু আনহুর খিলাফতকালে মুআবিয়া রাদিয়াল্লাহু আনহুকে পুরো শাম” তথা সিরিয়ার গভর্নর নিযুক্ত করা হয়। সেখানকার যেকোনো কর্মকর্তা নিয়োগ ও অপসারণের দায়িত্বও ছিল তাঁর
ওপর।
চতুর্থ খলিফার যুগ: ৩৫ হিজরিতে উসমান রাদিয়াল্লাহু আনহুর শাহাদাতের পর ইসলামের চতুর্থ খলিফা নির্বাচিত হন আলি রাদিয়াল্লাহু আনহু। তিনি সংগত কোনো কারণে মুআবিয়া রাদিয়াল্লাহু আনহুকে সিরিয়ার গভর্নরের পদ থেকে অপসারণ করেন। এতে মুআবিয়া রাদিয়াল্লাহু আনহু আলি রাদিয়াল্লাহু আনহুর প্রতি অসন্তুষ্ট হন। তিনি তাকে খলিফা হিসেবে সমর্থন করতে অস্বীকার করেন। সাথে তিনি উসমান রাদিয়াল্লাহু
বি:দ্র: খিলাফতে বনু উমাইয়া বইটি free pdf download করিতে চাহিয়া লেখকদের নিরুৎসাহিত করিবেন না
Reviews
There are no reviews yet.