নারীর মিরাস
বিয়ের সময় পাত্র মনে করে, ভবিষ্যতে পাত্রী তো তার পৈতৃক সম্পদ বা সম্পত্তির কিছু পাবেই না, সুতরাং এখন যা আদায় করে নেওয়া যায়। সমাজের প্রায় সকল শ্রেণীর মানুষের মধ্যেই এই মানসিকতার সৃষ্টি হয়ে গেছে। পাত্রীর পিতাকে বিরাট বরপার্টির আপ্যায়ন খরচে বাধ্য করার পিছনেও এই মানসিকতাই কাজ করে। শহরের ধনী শ্রেণি থেকে শুরু করে মধ্যবিত্ত ও গরীব শ্রেণী পর্যন্ত এবং গ্রাম-দেশের সকল শ্রেণির মানুষের মধ্যে একই কথা, একই চিন্তা—কী করে মেয়ের বাপ থেকে কী পরিমাণ আদায় করা যাবে। ক্ষেত্র বিশেষে দেখা যায়, পাত্রী কী রকম সেটা বড় কথা নয়, বরং পাওনাটা কী পরিমাণ, তাই বড় ফিকির। বিয়ের ঘটকরাও আজকাল উভয়পক্ষের মাঝে এই দর কষাকষিতে ব্যস্ত ও মত্ত। কেননা, এখানে তাদেরও একটা শেয়ার থাকে।
মুসলিম সমাজে কুরআন-হাদীসের বিধান অনুসারে মেয়েদের পৈতৃক উত্তরাধিকার প্রদানের নীতি যদি চালু ও প্রতিষ্ঠিত থাকত এবং পাত্র নিশ্চিত হতে পারত যে, তার স্ত্রী ভবিষ্যতে নিজ সম্পত্তির মালিক হয়ে ভোগ-দখল করতে পারবে, তাহলে শ্বশুরবাড়ির মালামাল লাভের জন্য সে আদাজল খেয়ে লাগত না। সে ক্ষেত্রে যৌতুক শুধু দূষণীয় ও অবৈধ থাকত না, বরং সকলের কাছেই তা ঘৃণিত হত। আসলে মেয়েদেরকে উত্তরাধিকার থেকে বঞ্চিত করার যে পাপ সমাজে চালু হয়ে গেছে, তা মানুষকে যৌতুকের পাপের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
বি:দ্র: নারীর মিরাস বইটি free pdf download করিতে চাহিয়া লেখকদের নিরুৎসাহিত করিবেন না
Reviews
There are no reviews yet.