বিস্মৃতির অন্তরালে
“বছরের পর বছর ধরে আমরা কেবল ওর গল্পের ‘অফিশিয়াল ভার্শন’টাই পড়ে আর শুনে এসেছি, যেমনটা বলে এসেছে ওকে তুলে নিয়ে আসা লোকগুলো। আজ এতোগুলো বছর পর অবশেষে মানসূর নিজেই ওর গল্পটা শোনালো।
১৪ বছর ধরে তার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ মাত্রায় মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে, মনোবল ভেঙে দেওয়ার জন্য রোজ চালানো হয়েছে অসংখ্য লাঞ্ছনাকর কর্মকাণ্ড। এতোকিছুর পরও, এতো অত্যাচার সয়ে যাবার পরও কথা বলতে পারাটা নিঃসন্দেহে একটা বিজয়।
মানুষ হিসেবে নিজেদের অধিকার আদায়ের নিরন্তর সংগ্রাম চালিয়ে গেছেন গুয়ান্তানামোর বন্দীরা। এটা নিয়ে যখন তারা কথা বলতে শুরু করলেন ঠিক যেমনটা এই বইয়ে করেছেন মানসূর, তখন সেটা তাদের সম্পর্কে ওই তথাকথিত অফিশিয়াল গালগপ্পোকে ছুড়ে মেরেছে তার নিজের মাথাতেই আর চোখে আঙুল দিয়ে স্পষ্ট করে দেখিয়ে দিয়েছে গুয়ান্তানামোর সত্যিকারের চেহারা : একটি ভয়ানক লজ্জা আর স্রেফ নিরর্থক একটা ব্যর্থতা।”
“বিস্মৃতির অন্তরালে : গুয়ান্তানামোয় ১৪ বছর” বইটি নিয়ে এই মন্তব্য মুহাম্মাদ অউলদ সালাহির, একজন সাবেক গুয়ান্তানামো বন্দী এবং বেস্টসেলিং বই “গুয়ান্তানামো ডায়েরি”র লেখক।
বি:দ্র: বিস্মৃতির অন্তরালে বইটি free pdf download করিতে চাহিয়া লেখকদের নিরুৎসাহিত করিবেন না
সাইদ –
“বলা যায় রক্ত দিয়েই বইটি লিখা”।
বারাকাল্লাহু ফী হিম