তাফসীরে বুরহানুল কুরআন (১-৪ খন্ড)
লেখক : বিশিষ্ট কয়েকজন আলেম কর্তৃক রচিত
সম্পাদনা : মাওলানা মুহাম্মাদ হেমায়েত উদ্দীন
সম্পাদনা : মাওলানা মুহাম্মাদ হেমায়েত উদ্দীন
প্রকাশনী : আল-কুরআন পাবলিকেশন্স
- যে প্রয়োজনগুলো সামনে রেখে “বুরহানুল কুরআন রচনা ও সংকলনের প্রয়াস গ্রহণ করা হয়েছে, তা নিম্নরূপঃ
- যথাসাধ্য এমন নির্ভুল অনুবাদ পেশ করা, যা শব্দের মূলধাতু (ماده) এবং কুরআনের বালাগাত ও ফাসাহাত (অলংকার) এবং নাহু (ব্যাকরণ) এর কাছাকাছি থেকে সম্পন্ন হবে।
- উপরোক্ত নীতিতে অনুবাদ সম্পন্ন করতে গিয়ে প্রচলিত অনুবাদ থেকে কোথাও ব্যতিক্রম ঘটে থাকলে সেই ব্যতিক্রম কেন ঘটল বিশেষ বিশেষ স্থানে তার ব্যাখ্যা সংযুক্ত করে দেয়া, যাতে মাদ্রাসার তালিবে ইল্ম ও আরবী বোদ্ধা অনুসন্ধিৎসু পাঠকের ব্যুৎপত্তি সৃষ্টির সহায়ক হয়। এরূপ অংশগুলো সাধারণ পাঠকদের কাছে অবোধগম্য থাকলেও তাতে তাদের কুরআনে কারীমের মূল বক্তব্য বোঝার ক্ষেত্রে কোন ব্যাঘাত ঘটবে না।
- সংশ্লিষ্ট অনুবাদ বোঝার জন্য সংক্ষেপে প্রয়োজনীয় টীকা-টিপ্পনী, শানে নুযূল ও সংশ্লিষ্ট ঘটনাবলী তুলে ধরা।
- প্রতিটি আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়গুলো সংক্ষেপে সুবিন্যস্তভাবে পেশ করা, যাতে সাধারণ মানুষের পক্ষে কুরআনে কারীমের আহকাম ও শিক্ষাগুলো সহজে আয়ত্ত করা সহজ হয়।
- কোন বিষয়ের সুদীর্ঘ ব্যাখ্যা ও সুদীর্ঘ তাফসীর থেকে বিরত থাকা, যাতে পাঠকবর্গ দীর্ঘ বর্ণনার আবর্তে পড়ে মূল কথা ও মূল শিক্ষণীয় বিষয় হারিয়ে না ফেলেন।
- অনুবাদ ও তাফসীরের ভাষা সহজ, সরল ও প্রাঞ্জল রাখা, যাতে সব শ্রেণীর পাঠক সহজে বুঝতে সক্ষম হয়।
- বুরহানুল কুরআনের তরজমার বৈশিষ্ট্যাবলি
- অনুবাদ যথাসম্ভব শব্দের মূল ধাতুগত অর্থের কাছাকাছি থেকে সম্পন্ন করা হয়েছে, যাতে করে আল্লাহ তা‘আলা কর্তৃক ব্যবহৃত শব্দের তাৎপর্যের দিকে চিন্তাকে অগ্রসর করা সহজ হয়।
- অনুবাদের ক্ষেত্রে الفاظ -এর تركيبي অবস্থান, بلاغت و فصاحت -এর ভিত্তিতে তর্জমার কি বৈশিষ্ট্য হওয়া চাই, সংশ্লিষ্ট স্থানে و , ف , ثم , ان , س , سوف ইত্যাদি প্রকৃত কোন্ অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে, যথাসম্ভব সেসব তাহকীক সামনে রেখে অনুবাদ করা হয়েছে।
- বহু স্থানে حال , تمييز , عطف تفسيرى , بيان مبين , ইত্যাদির তর্জমা সংশ্লিষ্ট মর্মজ্ঞাপক স্পষ্ট শব্দেই করা হয়েছে, যাতে করে এসব বিষয়ে তাহকীকে আগ্রহী তালিবে ইল্মরা উপকৃত হতে পারে।
- কুরআনে কারীমের বর্ণনাশৈলী সবস্থানে একরকম নয়। কোথাও সাহিত্যিক বর্ণনাশৈলী (اسلوب ادبى) কোথাও তাত্তি¡ক বর্ণনাভংগি (اسلوب علمى), কোথাও ভাষণ বা সম্বোধনের ভংগি (اسلوب خطابى) প্রয়োগ করা হয়েছে। আবার কোথাও রয়েছে সাংবিধানিক ভাবগাম্ভির্যপূর্ণ বর্ণনাভংগি। অতএব সবস্থানে সাহিত্যিক ভাষার লালিত্যে অনুবাদ সম্পন্ন করা আমাদের কাছে সংগতিপূর্ণ মনে হয়নি। স্থান হিসেবে যেখানে যেমন ভাষা ও বর্ণনাভংগি সংগতিপূর্ণ মনে হয়েছে, সেভাবেই অনুবাদ সম্পন্ন করা হয়েছে।
- যেখানে কোন শব্দ বা বাক্যের একাধিক তর্জমা হতে পারে, সেখানে যে তর্জমাটি আমাদের কাছে শব্দের মূল ধাতুর কাছে থেকে সম্পন্ন হয় বা যেটি পূর্বাপর বিষয়ের সাথে সংগতিপূর্ণ হয় বলে প্রতিপন্ন হয়েছে সে তর্জমাটিই আমরা গ্রহণ করেছি। বিশেষ বিশেষ স্থানে টীকাতে অন্য যে তর্জমা হতে পারে তা উল্লেখ করে দেয়া হয়েছে।
তাফসীরে বুরহানুল কুরআন (১-৪ খন্ড)
বি:দ্র: তাফসীরে বুরহানুল কুরআন (১-৪ খন্ড) বইটি free pdf download করিতে চাহিয়া লেখকদের নিরুৎসাহিত করিবেন না
Muhammad Mizanur Rahman –
অসাধারণ তাফসীর