শেষ রাত্রির গল্পগুলো
-কিছু গল্পের সমাহার। লেখকের ভাষায় ‘প্রবন্ধগল্প’। প্রতিটি গল্প একেকটি গল্পের আসর, যেখানে লেখক ও পাঠক পরস্পর গল্প করবেন।
বইটিতে জীবনের অনেক কথা আছে, আছে কবিতা, আছে গান। আছে একরাশ স্বপ্ন, স্বপ্নপূরনের পথপরিক্রমা। জীবনের ছোট-বড় অভিজ্ঞতা, ভাবনা আর অনুভূতি মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে যেন।
প্রথম গল্পটি ‘শেষ রাত্রির গল্প’ পড়ে যে কোন পাঠকই চাইবেন মহান রবের সাথে নীরবে একটু মিলিত হতে শেষ রাত্রির প্রহরগুলোতে। রাসুলের(সা) হাদীস, সালাফদের কথা দিয়ে গল্পাকারে এমন একটি আবহ তৈরি করা হয়েছে যে, মন চাইবে চারপাশের সবাইকে নিয়েই সে পবিত্র সময়টার বরকত কুড়িয়ে নেই!
বইটিতে কয়েকটি রিমাইন্ডার মূলক গল্প আছে। ‘আক্ষেপের গল্প’, ‘পরীক্ষার গল্প’ তেমন দুটি গল্প। প্রথমটিতে আমাদের এমন কিছু আক্ষেপের সাথে পরিচয় ঘটে যেগুলোর কথা আল্লাহ কুরআনে বলে দিয়েছেন। যা পাপীরা কিয়ামতের দিন করবে। সেদিন এমন আক্ষেপকারী ব্যক্তি কতই না দুর্ভাগা হবে! সাথে সাথে প্রেরণা পাই এমন আক্ষেপ থেকে মুক্তির।
আছে কিছু দিনলিপি। যার পরতে পরতে রয়েছে অনেক শিক্ষণীয় জিনিস। ‘আত্মকথন’, ‘একটি দিনলিপি’ অথবা ‘কুকুর উপাখ্যান’, ‘রোজনামচার দ্বিতীয় পাঠ’, ‘সপ্তাহান্তের দিনলিপি’ কিছু বাস্তব শিক্ষার সন্ধান দিবে।
কিছু কিছু গল্প যেন ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আলোকবর্তিকা। ‘পারঘাটা পার হলে’, ‘তিনি এক মজার শিক্ষক’, ‘কল্পকথার গল্প নয়’, ‘ফিরদাউসের ফুল বাগানে আমি হবো পাখি’ এমন কিছু আলোকখন্ড।
‘আমি নিষ্পাপ হতে চাই’- গল্পের আসরে আমাকে বারবার হাজিরা দিতে হবে। এখানে স্বপ্নিল পথের পথিকদের সামনে যে তিনটি বাঁধা তৈরি হয়, তার খুব চমৎকার সমাধান দেওয়া হয়েছে। তওবা নামক রাবারের সাথে পরিচয়, তারপর আশার ভেলায় চড়ে আল্লাহর ভালোবাসায় সিক্ত হওয়া, তারপর অবিচল পথযাত্রা।
‘বিয়ের কবিতা: জীবনের কবিতা’, ‘খুনসুটির গল্প’ বেশ রসবোধযুক্ত। ‘বিষমাখা পুষ্প’ গল্পটির মাঝে পাওয়া যায় বিশুদ্ধ নিয়্যাতের শিক্ষা।
‘তিনটি ব্যামো : ত্রিফলা প্রতিষেধক’ গল্পে ত্বালিবুল ইলম তথা ‘student of knowledge’ দের তিনটি সমস্যার সমাধান দেওয়া হয়েছে তিনটি কবিতায়।
‘একটি স্বপ্নের বেড়ে উঠার গল্প’, ‘স্বপ্ন যখন পৌঁছে গেলো মঞ্জিলে’ আর ‘স্বপ্নের উড়াউড়ি,স্বপ্নের অবশেষ’ শিরোনামে রয়েছে লেখকের হিজাজ সফরের এক আবেগোপাখ্যান। কীভাবে একটি গান গাইতে গাইতে হৃদয়ের বাসনা সেই বায়তুল্লাহ আর সবুজ গম্বুজে পৌঁছে যায়! স্বপ্নটা কেমন করে পূরণ হয়ে যায়, ছুটে যায় মক্কা-মদীনায়; স্বপ্নের শহরগুলোতে, তার এক রোমাঞ্চকর কাহিনী।
‘একদিন আসবে আলো’ গল্পটি পড়ে আমিও খুব স্বপ্ন দেখি, আশার আলোয় বুক বাঁধি-ওমর আবারো আসবে এ পৃথিবীর বুকে। গেয়ে উঠি আনমনে-
‘প্রভু তুমি বলেছো রাসূল দেবে না,বলো নি দেবে না ওমর…’
‘পিপাসার গল্প’ পড়ে আমিও খুব পিপাসার্ত হয়েছি রাসূলের প্রেমের। ঈর্ষান্বিত হয়েছি সেসব মানুষের প্রতি, যারা রাসূলের সান্নিধ্য পেয়েছেন, যারা তাঁর কাছাকাছি ছিলেন।যাদেরকে আমার প্রিয় নবী(সা) ভালোবেসেছিলেন, দোয়া করেছিলেন। এ ঈর্ষা ক্ষণিকের নয়, এ ঈর্ষা বাসনাকে কয়েকগুণ তীব্র করে দেয় ফিরদাউসের বাগিচায় মিলিত হতে তাদের সাথে, যারা ছিলেন সফলতম ব্যক্তিত্ব।
বইটা খুব হালকা ভাষায় লেখা, কিন্তু আবেদন সুগভীর। হৃদয়ের বদ্ধ দুয়ারে কেউ যেন কড়া নাড়ে, অন্তরের গভীরে যেন কারো ঘুম ভাঙ্গে। শেষ করছি লেখকেরই একটি কবিতা দিয়ে, বইটি জুড়ে যে স্বপ্নের আবির ছড়ানো সে স্বপ্ন দিয়ে:
“বুকের খাতায় খুব যতনে
একটা স্বপন আঁকি
ফিরদাউসের ফুল বাগানে
আমি হবো পাখি।”
বইটি সম্পর্কে লিখেছেন- তানজিনা তাসনিম আপু।
বি:দ্র: শেষ রাত্রির গল্পগুলো বইটি free pdf download করিতে চাহিয়া লেখকদের নিরুৎসাহিত করিবেন না
Alamgir Hossain Manik –
আব্দুল্লাহ মাহমুদ নজীবের বই “শেষ রাত্রির গল্পগুলো”
বইটি যখন প্রথম পড়া শুরু করি, তখনও জানতামনা কতখানি চমক অপেক্ষা করছে। তারপর পাতার পর পাতা পড়ে গেছি আর মুগ্ধ হয়েছি। যখন শেষ গল্পটাও শেষ হয়ে গেলো-তখন মনে হলো সত্যি শেষ হয়ে গেলো!! একটু খারাপই লাগছিল। তারপর আবার পড়া শুরু। বইয়ের মাঝে হারিয়ে যাওয়া-আবার ফিরে পাওয়া! কিছু কিছু চিন্তা সত্যিই হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়ার মতো। জীবনের ছোট ছোট বিষয়গুলোও কত সুন্দর চোখে দেখা যায়! কত স্বপ্ন নিয়ে এ পৃথিবীতে বাঁচা যায়!
‘শেষ রাত্রির গল্পগুলো’-কিছু গল্পের সমাহার। লেখকের ভাষায় ‘প্রবন্ধগল্প’। প্রতিটি গল্প একেকটি গল্পের আসর, যেখানে লেখক ও পাঠক পরস্পর গল্প করবেন।
বইটিতে জীবনের অনেক কথা আছে, আছে কবিতা, আছে গান। আছে একরাশ স্বপ্ন, স্বপ্নপূরনের পথপরিক্রমা। জীবনের ছোট-বড় অভিজ্ঞতা, ভাবনা আর অনুভূতি মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে যেন।
প্রথম গল্পটি ‘শেষ রাত্রির গল্প’ পড়ে যে কোন পাঠকই চাইবেন মহান রবের সাথে নিরবে একটু মিলিত হতে শেষ রাত্রির প্রহরগুলোতে। রাসুলের(সা) হাদীস, সালাফদের কথা দিয়ে গল্পাকারে এমন একটি আবহ তৈরি করা হয়েছে যে, মন চাইবে চারপাশের সবাইকে নিয়েই সে পবিত্র সময়টার বরকত কুড়িয়ে নেই!
বইটিতে কয়েকটি রিমাইন্ডার মূলক গল্প আছে। ‘আক্ষেপের গল্প’, ‘পরীক্ষার গল্প’ তেমন দুটি গল্প। প্রথমটিতে আমাদের এমন কিছু আক্ষেপের সাথে পরিচয় ঘটে যেগুলোর কথা আল্লাহ কুরআনে বলে দিয়েছেন। যা পাপীরা কিয়ামতের দিন করবে। সেদিন এমন আক্ষেপকারী ব্যক্তি কতই না দুর্ভাগা হবে! সাথে সাথে প্রেরণা পাই এমন আক্ষেপ থেকে মুক্তির।
আছে কিছু দিনলিপি। যার পরতে পরতে রয়েছে অনেক শিক্ষণীয় জিনিস। ‘আত্মকথন’, ‘একটি দিনলিপি’ অথবা ‘কুকুর উপাখ্যান’, ‘রোজনামচার দ্বিতীয় পাঠ’, ‘সপ্তাহান্তের দিনলিপি’ কিছু বাস্তব শিক্ষার সন্ধান দিবে।
কিছু কিছু গল্প যেন ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আলোকবর্তিকা। ‘পারঘাটা পার হলে’, ‘তিনি এক মজার শিক্ষক’, ‘কল্পকথার গল্প নয়’, ‘ফিরদাউসের ফুল বাগানে আমি হবো পাখি’ এমন কিছু আলোকখন্ড।
‘আমি নিষ্পাপ হতে চাই’- গল্পের আসরে আমাকে বারবার হাজিরা দিতে হবে। এখানে স্বপ্নিল পথের পথিকদের সামনে যে তিনটি বাঁধা তৈরি হয়, তার খুব চমৎকার সমাধান দেওয়া হয়েছে। তওবা নামক রাবারের সাথে পরিচয়, তারপর আশার ভেলায় চড়ে আল্লাহর ভালোবাসায় সিক্ত হওয়া, তারপর অবিচল পথযাত্রা।
‘বিয়ের কবিতা: জীবনের কবিতা’, ‘খুনসুটির গল্প’ বেশ রসবোধযুক্ত। ‘বিষমাখা পুষ্প’ গল্পটির মাঝে পাওয়া যায় বিশুদ্ধ নিয়্যাতের শিক্ষা।
‘তিনটি ব্যামো : ত্রিফলা প্রতিষেধক’ গল্পে ত্বালিবুল ইলম তথা ‘student of knowledge’ দের তিনটি সমস্যার সমাধান দেওয়া হয়েছে তিনটি কবিতায়।
‘একটি স্বপ্নের বেড়ে উঠার গল্প’, ‘স্বপ্ন যখন পৌঁছে গেলো মঞ্জিলে’ আর ‘স্বপ্নের উড়াউড়ি,স্বপ্নের অবশেষ’ শিরোনামে রয়েছে লেখকের হিজাজ সফরের এক আবেগোপাখ্যান। কীভাবে একটি গান গাইতে গাইতে হৃদয়ের বাসনা সেই বায়তুল্লাহ আর সবুজ গম্বুজে পৌঁছে যায়! স্বপ্নটা কেমন করে পূরণ হয়ে যায়, ছুটে যায় মক্কা-মদীনায়; স্বপ্নের শহরগুলোতে, তার এক রোমাঞ্চকর কাহিনী।
‘একদিন আসবে আলো’ গল্পটি পড়ে আমিও খুব স্বপ্ন দেখি, আশার আলোয় বুক বাঁধি-ওমর আবারো আসবে এ পৃথিবীর বুকে। গেয়ে উঠি আনমনে-
‘প্রভু তুমি বলেছো রাসূল দেবে না,বলো নি দেবে না ওমর…’
‘পিপাসার গল্প’ পড়ে আমিও খুব পিপাসার্ত হয়েছি রাসূলের প্রেমের। ঈর্ষান্বিত হয়েছি সেসব মানুষের প্রতি, যারা রাসূলের সান্নিধ্য পেয়েছেন, যারা তাঁর কাছাকাছি ছিলেন।যাদেরকে আমার প্রিয় নবী(সা) ভালোবেসেছিলেন, দোয়া করেছিলেন। এ ঈর্ষা ক্ষণিকের নয়, এ ঈর্ষা বাসনাকে কয়েকগুণ তীব্র করে দেয় ফিরদাউসের বাগিচায় মিলিত হতে তাদের সাথে, যারা ছিলেন সফলতম ব্যক্তিত্ব।
বইটা খুব হালকা ভাষায় লেখা, কিন্তু আবেদন সুগভীর। হৃদয়ের বদ্ধ দুয়ারে কেউ যেন কড়া নাড়ে, অন্তরের গভীরে যেন কারো ঘুম ভাঙ্গে। শেষ করছি লেখকেরই একটি কবিতা দিয়ে, বইটি জুড়ে যে স্বপ্নের আবির ছড়ানো সে স্বপ্ন দিয়ে: