ইন সার্চ অফ অ্যা সিক্রেট হিস্ট্রি

ইন সার্চ অফ অ্যা সিক্রেট হিস্ট্রি মূলত লন্ডনে বসবাসরত ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত বিখ্যাত সাংবাদিক আবদুল বারি আতওয়ানের The Secret History of Al Qa’ida এর বাংলা অনুবাদ। আতওয়ান ১৯৯৬ সালে ওসামা বিন লাদেনের আহ্বানে তার সাক্ষাৎকার গ্রহনের জন্য আফগানিস্তানের তোরাবোরায় ভ্রমণ করেন এবং দুই দিন সেখানে অবস্থান করেন। এর পর থেকেই তার খ্যাতি বৃদ্ধি পায় এবং ধীরে ধীরে তিনি একজন পাবলিক ফিগার হয়ে ওঠেন।

তার সাংবাদিকতার সূচনা হয়েছে লিবিয়ার আল-বালাগ পত্রিকার মাধ্যমে, এরপর কাজ করেছেন সৌদি আরবের আল মদিনা পত্রিকায়। ১৯৭৮ সালে তিনি লন্ডন গমন করেন এবং আন্তর্জাতিক আরবি পত্রিকা আশ শারক আল আওসাতে কাজ শুরু করেন। এরপর আবার আল মদিনা পত্রিকায় যোগ দান করেন। ১৯৮৯ সালে কয়েকজন প্রবাসী ফিলিস্তিনিকে সঙ্গে তিনি আল কুদস আল আরাবিয়া পত্রিকাটি প্রতিষ্ঠা করেন এবং ২০১৩ পর্যন্ত এর প্রধান সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বপালন করেন। এছাড়াও তিনি বিবিসি ওয়ার্ল্ড, স্কাই নিউজ, আল-জাজিরা ও সিএনএন এর পাশাপাশি বেশ কিছু আরবি মিডিয়ার নিয়মিত অতিথি এবং দ্য গার্ডিয়ান, সান্ডে দ্য মেল, দ্য হেরাল্ড ও গাল্ফ নিউজে নিয়মিত কলাম লিখেন।

আবদুল বারি আতওয়ান বিন লাদেনের সাক্ষাৎকার গ্রহনের পর থেকেই আল-কায়দার ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে ওঠেন এবং এ বিষয়ে গবেষণা ও অনুসন্ধান শুরু করেন। প্রায় এক দশক গবেষণার পর তিনি এই গ্রন্থটি লিখেন। এখানে তিনি ওসামা বিন লাদেনের ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক জীবন, আল-কায়েদা প্রতিষ্ঠার পটভূমি; এর কাঠামো ও ভাবাদর্শ, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য, পরিকল্পনা ও কর্মপন্থা, নেতৃত্ব ও ব্যবস্থাপনা, সংকট ও সম্ভাবনা এবং আত্মঘাতী হামলার ভেতর-বাহির, সাইবার জিহাদ, সৌদি-ইরাক-উত্তর আফ্রিকা-ইউরোপে এর সবিস্তৃত নেটওয়ার্ক ইত্যাদি মোটকথা আল-কায়দাকে সামগ্রিকভিবে উপলব্ধি করতে যা-কিছু প্রয়োজন, প্রায় সবই উল্লেখ করেছেন।

ব্রিটেন ভিত্তিক সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন ‘দ্য স্পেকট্যাটর’ (THE SPECTATOR)-এর মতে, ‘আল-কায়েদার রোমাঞ্চকর ইতিহাস এর চাইতে ভালো আর কোথাও বর্ননা করা হয়নি।’ ব্রিটিশ পলিটিশিয়ান এবং সাবেক মেম্বার অফ পার্লামেন্ট টনি বেন (Tony Benn) বইটি সম্পর্কে মন্তব্য করেন, ‘এখন পর্যন্ত এই বিষয়ে সেরা বই’। ফিলিস্তিনি লেখক ও সাংবাদিক সাইদ আবু রিশ মতামত ব্যক্ত করেন— ‘বর্তমান মধ্যপ্রাচ্যের বিশৃঙ্খলা নিয়ে কাজ করা প্রতিটি সাংবাদিকের জন্য এই বইটি অধ্যয়ন করা অবশ্যকর্তব্য।’

আল-জাজিরার তথ্যমতে বিশ্বের পনেরোটি ভাষায় এই গ্রন্থটি অনূদিত হয়েছে।