মিল্লাতে ইবরাহিমের জাগরণ
হে মুমিন, তুমি কি জানো, মিল্লাতে ইবরাহিমের জাগরণ তোমাকে কী শিক্ষা দেয়? দীপ্ত স্বরে কীসের ঘোষণা দিতে বলে? মিল্লাতে ইবরাহিম তোমাকে শিক্ষা দেয়— ইবাদত হবে একমাত্র আল্লাহর, যিনি এক-অদ্বিতীয়; যাঁর কোনো শরীক নেই । মিল্লাতে ইবরাহিমের জাগরণ তোমাকে শিক্ষা দেয়— একনিষ্ঠ মুসলিম হওয়ার। মিল্লাতে ইবরাহিমের জাগরণ তোমাকে বলে— উচ্চকণ্ঠে তাওহিদের ঘোষণা দাও। সকল মুশরিকের উদ্দেশে দীপ্ত স্বরে জানিয়ে দাও—
إِنَّا بُرَآءُ مِنكُمْ وَمِمَّا تَعْبُدُونَ مِن دُونِ اللَّهِ كَفَرْنَا بِكُمْ وَبَدَا بَيْنَنَا وَبَيْنَكُمُ الْعَدَاوَةُ وَالْبَغْضَاءُ أَبَدًا حَتَّىٰ تُؤْمِنُوا بِاللَّهِ وَحْدَهُ
‘নিশ্চয়ই তোমাদের সঙ্গে এবং তোমরা আল্লাহ ছাড়া যাদের উপাসনা করছ, তাদের সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই। আমরা তোমাদের (আকিদা-বিশ্বাস) অস্বীকার করি। আমাদের ও তোমাদের মধ্যে চিরকালের জন্য শত্রুতা ও বিদ্বেষ সৃষ্টি হয়ে গেছে, যতক্ষণ না তোমরা এক আল্লাহর প্রতি ইমান আনবে।’
বি:দ্র: মিল্লাতে ইবরাহিমের জাগরণ বইটি free pdf download করিতে চাহিয়া লেখকদের নিরুৎসাহিত করিবেন না
Raihan –
মিল্লাতে ইবরাহিমের জাগরণ
” তোমাদের সঙ্গে এবং তোমরা আল্লাহ ছাড়া আর যা-কিছুর উপাসনা করছো, এসব কিছুর সাথে আমাদের কোন সম্পর্ক নেই।”
তোমাদের দূগন্ধময় ধারা- কার্যক্রম, কুরআন-সুন্নাহ বিবর্জিত মতবাদ -মতাদর্শ, মানব রচিত আইন-সংবিধানের সাথে আমাদের কোন সম্পর্ক নেই।তোমাদের আইন-আদালত, বিচার-আচার,সংস্থা-প্রশাসন,ইতিহাস -ঐতিহ্যর সাথে আমাদের কোন সম্পর্ক নেই।
গ্রন্থ পর্যালোচনাঃ
(হে নবি,) তুমি কি তাঁদের দেখনি? যারা দাবি করে, তাঁরা তোমার উপর যে কালাম নাজিল হয়েছে তাতেও ইমান এনেছে এবং তোমার পূর্বে যা নাজিল হয়েছিল তাতেও ;কিন্তু তাঁদের অবস্থা এই যে, তাঁরা ফয়সালার জন্য তাগুদের কাছে নিজেদের মোকাদ্দমা নিয়ে যেতে চায় ; অথচ তাঁদের আদেশ করা হয়েছিল যেন সুস্পষ্ট ভাবে তাগুদকে অস্বীকার করে :বস্তুত শয়তান তাঁদেরকে ধোঁকাদিয়ে চরমভাবে গোমরাহ করতে চায়। তাতেও ;কিন্তু তাঁদের অবস্থা এই যে, তাঁরা ফয়সালার জন্য তাগুদের কাছে নিজেদের মোকাদ্দমা নিয়ে যেতে চায় ; অথচ তাঁদের আদেশ করা হয়েছিল যেন সুস্পষ্ট ভাবে তাগুদকে অস্বীকার করে :বস্তুত শয়তান তাঁদেরকে ধোঁকাদিয়ে চরমভাবে গোমরাহ করতে চায়।
সাধারণত আমরা জাগরণ বলতে শারিরীক জাগরণ বুঝি।কিন্তু এই জাগরণ কোন শারিরীক জাগরণ নয়।এটি আত্নার জাগরণ,একটি মিল্লাতের জাগরণ। এ জাগরণ ইহলৌকিক কিন্তু এর প্রতিফল পাওয়া যাবে পরলোকে।
মুমিনের সম্পর্ক স্থাপিত হবে তাওহিদের মাপকাঠিতে।তাওহিদের একনিষ্ঠ অনুসারী হলেই তবে তাঁর সাথে বন্ধন -ভালোবাসা গড়ে উঠবে।প্রক্ষান্তরে তাওহিদ বিরুদ্ধচারীদের সাথে চিরকালীন সম্পর্কচ্ছেদ এবং শত্রুতা সৃষ্টি হয়ে যাবে।পাছে সে যেই হোক না কেন। শাসক শ্রেনী কিংবা রক্তের আত্নীয়।
“আমরা তোমাদের অস্বীকার করলাম। আমাদের মধ্য ও তোমাদের মধ্য চিরকালের শত্রুতা ও বিদ্বেষ সৃষ্টি হয়ে গেছে। যতক্ষন না তোমরা এক আল্লাহর উপর ইমান আনয়ন না করবে। __ সুরা মুমতাহিনা:৪
এবং তিনি আমাদের আদেশ করেছেন ____
” সুতরাং তোমরা মিল্লাতে ইবরাহিমের অনুসরণ করো।যিনি ছিলেন সম্পূর্ন সঠিক পথের উপর আর তিনি মুশরিকদের অন্তভূক্ত ছিলেন না। “______ সুরা আলে ইমরান :৯৫
মিল্লাতে ইমরাহিমের সাথে আমাদের মিল্লাতের নাম মিলিয়ে মুসলিম রাখা হয়েছে।কারণ আমরাই সঠিক মিল্লাতে ইবরাহিমের অনুসারী। মিল্লাতে ইবরাহিমের সাথে আমাদের সম্পর্ক, কেন মিল্লাতে ইবরাহিমের অনুসরণ করতে আদেশ করা হয়েছে আরো সবিস্তরে জানতে,হক দলের বৈশিষ্ঠ্য ধোঁকা থেকে বাঁচার উপায় এমন গুরুত্বপূর্ণ নসিহাত সম্পর্কে একসাথে জানতে বক্ষমান বইটি খুবই সহায়ক হবে বলে আশাকরি।
পাঠ-পর্যালোচনাঃ
আলহামদুলিল্লাহ্ পঠিত বইটিতে মিল্লাতে ইবরাহিমের পরিচয়,দাবি ও তাঁর প্রতিষ্ঠার সঠিব পন্থা এবং যথোপযুক্ত শুদ্ধভাবে গুরুত্ববহ বিষয়গুলো খুব সুন্দর, সহজ ও সাবলিল ভাষায় উপস্থাপিত হয়েছে।ইমানের প্রকৃত দাবি, ফিতনার যুগে ইমানের হিফাজত,মুক্তিপ্রাপ্ত দলের বৈশিষ্ঠ্য,হক প্রতিষ্ঠার নির্দেশিকা ও প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণ এগুলো সহ সময়োপযোগী বিষয়বস্তু নিয়ে বিস্তর আলোচনা করা হয়েছে।যা একজন মুমিনকে অবশ্যই তাওহিদের সঠিক চেতনায় উজ্জিবিত করবে।