তাবেঈদের ঈমানদীপ্ত জীবন- সব খণ্ড একত্রে
হাজ্জাজ ইবনে ইউসুফ যখন ইরাকের শাসক নিযুক্ত হলেন এবং সেখানে জুলুম, স্বেচ্ছাচারিতা ও সীমালঙ্ঘন করতে লাগলেন…
তখন এই প্রবল অত্যাচারী শাসকের বিরুদ্ধে সামান্য যে কজন মানুষ রুখে দাঁড়িয়েছিলেন হাসান বসরী ছিলেন তাদের অন্যতম।
তিনি মানুষের কাছে হাজ্জাজের অন্যায় অপকর্মগুলোর তীব্র সমালোচনা করতেন, জালিমের মুখের ওপর চিৎকার করে হকের উচ্চারণ করতে বিন্দুমাত্র পরোয়া করতেন না।
বসরা ও কুফা নগরীর মধ্যবর্তী শহর ওয়াসেত। হাজ্জাজ এই শহরে এক রাজকীয় বাসভবন গড়লেন। নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গেলে শহরে নির্দেশ জারি করা হলো-
‘মহামান্য শাসকের নতুন বাসভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সকলকে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’
হাসান বসরী চিন্তা করলেন- বহু মানুষের এই সমাবেশ তার জন্য এক সোনালী সুযোগ কিছুতেই এটা হাতছাড়া করা উচিত নয়।
অতএব তিনি সকলকে নসীহত করতে, আল্লাহ ও রাসূলের কথা স্মরণ করাতে, পার্থিব জীবনের ভোগ বিলাস থেকে সাবধান করে তাদেরকে আখিরাতের অনন্ত জীবন ও জান্নাতের অফুরন্ত নেয়ামতের প্রতি উৎসাহিত করার উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়লেন।
সেখানে পৌঁছার পর দেখলেন- বিশাল আঙ্গিনা ভরা মানুষ মুগ্ধ দৃষ্টিতে হাজ্জাজের রাজকীয় প্রাসাদটির চারিদিকে ঘুরে ঘুরে দেখছে। তারা প্রাসাদের চমৎকার নির্মাণশৈলী দেখে বিস্মিত, বিশাল আঙ্গিনার ব্যাপ্তি দেখে হতবাক, সার্বিক সৌন্দর্যের অভিনবত্বে অভিভুত হয়ে পড়েছে সকলে।
হাসান বসরী এক জায়গায় দাঁড়িয়ে বিক্ষিপ্ত জনতার দৃষ্টি আকর্ষণ করলেন এরপর অগ্নিঝরা বক্তৃতায় বললেন-
‘এই জালিম ও খবিশ হাজ্জাজ যে আলীশান রাজপ্রাসাদ তৈরি করেছে তা দেখে আমার মনে পড়ছে এক আল্লাহদ্রোহী ফেরআউনের কথা, যে ইতিপূর্বে এর চেয়েও বৃহৎ এবং জাকজমক পূর্ণ রাজপ্রাসাদ বানিয়ে ছিল। কিন্তু ফেরআউন আল্লাহর আযাব থেকে বাঁচতে পারেনি, তাকে আল্লাহ ধ্বংস করে দিয়েছেন আর ধুলায় মিশিয়ে দিয়েছেন তার সেই গর্বিত মহলকে।
হায়! হাজ্জাজ যদি বুঝতে পারত আসমানওয়ালারা তাকে কত ঘৃণা করে…
হায়! সে যদি জানতে পারত জমিনবাসীরা তাকে কতখানি প্রবঞ্চিত করেছে…
এই অগ্নিঝরা ক্ষোভের ভাষায় শঙ্কিত হয়ে পড়লেন এক শ্রোতা। হাজ্জাজের জুলুম না জানি এখানেই শুরু হয়ে যায়, এই ভয়ে তিনি হাসান বসরীকে নিবৃত্ত করতে বলে উঠলেন-
‘ব্যাস হে আবু সাইদ! ব্যাস…’
জবাবে হাসান বসরী বললেন-
‘আল্লাহ ইল্মওয়ালাদের থেকে অঙ্গিকার নিয়েছেন তারা যেন (কারও ভয়ে) সত্য গোপন না করে এবং স্পষ্ট ভাষায় হক প্রকাশ করে।’পরদিন হাজ্জাজ গভর্নর হাউজে প্রবেশ করে ক্রোধে উন্মত্ত হয়ে উপস্থিত কর্মকর্তাদের প্রতি হুঙ্কার ছেড়ে বললেন-
‘ভীরু-কাপুরুষের দল ভাগ এখান থেকে…
বসরার এক গোলামের বাচ্চা গোলামের এত বড় দুঃসাহস যে আমার সম্পর্কে মুখে যা আসে তোদের সামনে তাই বলে চলে গেল অথচ তোরা কেউ বাধা দিতে পারলি না!
আল্লাহর কসম আজ তোদেরকে আমি ‘ওর’ (হাসানের) রক্তে ভিজিয়ে দেব…’
এরপর তরবারি ও চামড়ার বিছানা (শিরচ্ছেদের সময় আসামীকে যার ওপর বসানো হয়) আনতে নির্দেশ দিলেন, মুহূর্তের মধ্যে নির্দেশ পালিত হলো।
জল্লাদকে ডাকা হলো, সে এসে তরবারি নিয়ে হাজ্জাজের সামনে দাঁড়িয়ে গেল।
কয়েকজন পুলিশকে নির্দেশ দেয়া হলো হাসান বসরীকে গ্রেফতার করে এক্ষুণি হাজির কর…
কিছুক্ষণের মধ্যেই হাসান বসরীকে হাজির করা হলো, সকলের দৃষ্টি বিস্ফারিত, বাকশক্তি রহিত, তাদের হৃদয়ে শুরু হয়েছে কম্পন, পলকহীনভাবে সকলে চেয়ে থাকল হাসান বসরীর দিকে।
তিনি দৃষ্টিকে সবদিকে ঘুরিয়ে নিয়ে এলেন,
দেখলেন…
খাপমুক্ত তরবারি হাতে জল্লাদকে…
দেখলেন চামড়ার বিছানা…
তাঁর ঠোট নড়ে উঠল…
এরপর তিনি একজন মুমিনের জালালি শান, একজন মুসলিমের আত্মমর্যাদা, একজন দাঈর গাম্ভির্য নিয়ে নিশঙ্কচিত্তে এগিয়ে গেলেন হাজ্জাজ ইবনে ইউসুফের দিকে।
হাসান বসরীর এই নির্ভিক এগিয়ে আসা দেখে হাজ্জাজ হঠাৎ কেঁপে উঠল এবং সবকিছু তালগোল পাকিয়ে ফেলল। হাসান বসরীকে বললেন-
‘এই যে আবু সাঈদ! কেমন আছেন? আসুন এদিকে, কাছে আসুন, আরও কাছে…, বলতে বলতে একেবারে নিজের আসনে এনে বসালেন।’
উপস্থিত সকলের চোখে মুখে বিস্ময়ের ঝড় উঠল, এসব কি দেখছে তারা! একি সত্যি!
আসন গ্রহণ করলেন হাসান বসরী। হাজ্জাজ অত্যন্ত বিনয়ের সঙ্গে কয়েকটি মাসআলা জিজ্ঞাসা করলেন-
হাসান বসরী স্থির ও সহানুভূতির সঙ্গে শুনে যাদুময়ী ভঙ্গিতে সকল জিজ্ঞাসার মীমাংসা করে দিলেন।
হাজ্জাজ বললেন-
‘হে সাঈদের বাবা! সত্যিই আপনি আলিমদের সর্দার।’
এরপর সম্মানস্বরূপ তার দাড়িতে সুগন্ধি মাখিয়ে দিলেন।
সেখান থেকে বের হয়ে এলেন হাসান বসরী। পিছে পিছে এল হাজ্জাজের প্রহরী।
প্রহরী বলল-
‘হে আবু সাঈদ! হাজ্জাজ আজ আপনার জন্য আয়োজন করেছিল এক রকম কিন্তু আপনাকে দেখার পর আচরণ করল ভিন্ন রকম। একেবারেই পাল্টে গেল তার আচরণ।
এর রহস্য কি তা বলতে পারব না। তবে আমি লক্ষ্য করেছি- আপনি এসে যখন তরবারি হাতে জল্লাদকে এবং চামড়ার বিছানা বিছানো দেখে নির্ভিকভাবে হাজ্জাজের দিকে এগিয়ে গেলেন, তখন আপনার ঠোটগুলো নড়ছিল, সে সময় আপনি কী পড়ছিলেন?’
আমি সে সময় আল্লাহর কাছে দুআ করছিলাম,
يَا وَلِيًّ نِعْمَتِيْ وَمَلَاذِيْ كُرْبَتِيْ اجْعَلْ نِقْمَتَه بَرْداً وَسَلَاماً عَلى كَمَا جَعَلْتَ النَّارَ بَرْداً وَسَلَاماً عَلى ِإبْرَاهِيْمَ.
অর্থ : ‘হে আমার সুখের মালিক! হে আমার বিপদের আশ্রয়! তুমি তার (হাজ্জাজের) ক্রোধের আগুনকে আমার জন্য শান্ত ও শীতল করে দাও, যেমন তুমি ইবরাহীম আলাইহিস সালামের জন্য আগুনকে শীতল ও শান্তিময় করে দিয়েছিলে।’
তখন এই প্রবল অত্যাচারী শাসকের বিরুদ্ধে সামান্য যে কজন মানুষ রুখে দাঁড়িয়েছিলেন হাসান বসরী ছিলেন তাদের অন্যতম।
তিনি মানুষের কাছে হাজ্জাজের অন্যায় অপকর্মগুলোর তীব্র সমালোচনা করতেন, জালিমের মুখের ওপর চিৎকার করে হকের উচ্চারণ করতে বিন্দুমাত্র পরোয়া করতেন না।
বসরা ও কুফা নগরীর মধ্যবর্তী শহর ওয়াসেত। হাজ্জাজ এই শহরে এক রাজকীয় বাসভবন গড়লেন। নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গেলে শহরে নির্দেশ জারি করা হলো-
‘মহামান্য শাসকের নতুন বাসভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সকলকে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’
হাসান বসরী চিন্তা করলেন- বহু মানুষের এই সমাবেশ তার জন্য এক সোনালী সুযোগ কিছুতেই এটা হাতছাড়া করা উচিত নয়।
অতএব তিনি সকলকে নসীহত করতে, আল্লাহ ও রাসূলের কথা স্মরণ করাতে, পার্থিব জীবনের ভোগ বিলাস থেকে সাবধান করে তাদেরকে আখিরাতের অনন্ত জীবন ও জান্নাতের অফুরন্ত নেয়ামতের প্রতি উৎসাহিত করার উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়লেন।
সেখানে পৌঁছার পর দেখলেন- বিশাল আঙ্গিনা ভরা মানুষ মুগ্ধ দৃষ্টিতে হাজ্জাজের রাজকীয় প্রাসাদটির চারিদিকে ঘুরে ঘুরে দেখছে। তারা প্রাসাদের চমৎকার নির্মাণশৈলী দেখে বিস্মিত, বিশাল আঙ্গিনার ব্যাপ্তি দেখে হতবাক, সার্বিক সৌন্দর্যের অভিনবত্বে অভিভুত হয়ে পড়েছে সকলে।
হাসান বসরী এক জায়গায় দাঁড়িয়ে বিক্ষিপ্ত জনতার দৃষ্টি আকর্ষণ করলেন এরপর অগ্নিঝরা বক্তৃতায় বললেন-
‘এই জালিম ও খবিশ হাজ্জাজ যে আলীশান রাজপ্রাসাদ তৈরি করেছে তা দেখে আমার মনে পড়ছে এক আল্লাহদ্রোহী ফেরআউনের কথা, যে ইতিপূর্বে এর চেয়েও বৃহৎ এবং জাকজমক পূর্ণ রাজপ্রাসাদ বানিয়ে ছিল। কিন্তু ফেরআউন আল্লাহর আযাব থেকে বাঁচতে পারেনি, তাকে আল্লাহ ধ্বংস করে দিয়েছেন আর ধুলায় মিশিয়ে দিয়েছেন তার সেই গর্বিত মহলকে।
হায়! হাজ্জাজ যদি বুঝতে পারত আসমানওয়ালারা তাকে কত ঘৃণা করে…
হায়! সে যদি জানতে পারত জমিনবাসীরা তাকে কতখানি প্রবঞ্চিত করেছে…
এই অগ্নিঝরা ক্ষোভের ভাষায় শঙ্কিত হয়ে পড়লেন এক শ্রোতা। হাজ্জাজের জুলুম না জানি এখানেই শুরু হয়ে যায়, এই ভয়ে তিনি হাসান বসরীকে নিবৃত্ত করতে বলে উঠলেন-
‘ব্যাস হে আবু সাইদ! ব্যাস…’
জবাবে হাসান বসরী বললেন-
‘আল্লাহ ইল্মওয়ালাদের থেকে অঙ্গিকার নিয়েছেন তারা যেন (কারও ভয়ে) সত্য গোপন না করে এবং স্পষ্ট ভাষায় হক প্রকাশ করে।’পরদিন হাজ্জাজ গভর্নর হাউজে প্রবেশ করে ক্রোধে উন্মত্ত হয়ে উপস্থিত কর্মকর্তাদের প্রতি হুঙ্কার ছেড়ে বললেন-
‘ভীরু-কাপুরুষের দল ভাগ এখান থেকে…
বসরার এক গোলামের বাচ্চা গোলামের এত বড় দুঃসাহস যে আমার সম্পর্কে মুখে যা আসে তোদের সামনে তাই বলে চলে গেল অথচ তোরা কেউ বাধা দিতে পারলি না!
আল্লাহর কসম আজ তোদেরকে আমি ‘ওর’ (হাসানের) রক্তে ভিজিয়ে দেব…’
এরপর তরবারি ও চামড়ার বিছানা (শিরচ্ছেদের সময় আসামীকে যার ওপর বসানো হয়) আনতে নির্দেশ দিলেন, মুহূর্তের মধ্যে নির্দেশ পালিত হলো।
জল্লাদকে ডাকা হলো, সে এসে তরবারি নিয়ে হাজ্জাজের সামনে দাঁড়িয়ে গেল।
কয়েকজন পুলিশকে নির্দেশ দেয়া হলো হাসান বসরীকে গ্রেফতার করে এক্ষুণি হাজির কর…
কিছুক্ষণের মধ্যেই হাসান বসরীকে হাজির করা হলো, সকলের দৃষ্টি বিস্ফারিত, বাকশক্তি রহিত, তাদের হৃদয়ে শুরু হয়েছে কম্পন, পলকহীনভাবে সকলে চেয়ে থাকল হাসান বসরীর দিকে।
তিনি দৃষ্টিকে সবদিকে ঘুরিয়ে নিয়ে এলেন,
দেখলেন…
খাপমুক্ত তরবারি হাতে জল্লাদকে…
দেখলেন চামড়ার বিছানা…
তাঁর ঠোট নড়ে উঠল…
এরপর তিনি একজন মুমিনের জালালি শান, একজন মুসলিমের আত্মমর্যাদা, একজন দাঈর গাম্ভির্য নিয়ে নিশঙ্কচিত্তে এগিয়ে গেলেন হাজ্জাজ ইবনে ইউসুফের দিকে।
হাসান বসরীর এই নির্ভিক এগিয়ে আসা দেখে হাজ্জাজ হঠাৎ কেঁপে উঠল এবং সবকিছু তালগোল পাকিয়ে ফেলল। হাসান বসরীকে বললেন-
‘এই যে আবু সাঈদ! কেমন আছেন? আসুন এদিকে, কাছে আসুন, আরও কাছে…, বলতে বলতে একেবারে নিজের আসনে এনে বসালেন।’
উপস্থিত সকলের চোখে মুখে বিস্ময়ের ঝড় উঠল, এসব কি দেখছে তারা! একি সত্যি!
আসন গ্রহণ করলেন হাসান বসরী। হাজ্জাজ অত্যন্ত বিনয়ের সঙ্গে কয়েকটি মাসআলা জিজ্ঞাসা করলেন-
হাসান বসরী স্থির ও সহানুভূতির সঙ্গে শুনে যাদুময়ী ভঙ্গিতে সকল জিজ্ঞাসার মীমাংসা করে দিলেন।
হাজ্জাজ বললেন-
‘হে সাঈদের বাবা! সত্যিই আপনি আলিমদের সর্দার।’
এরপর সম্মানস্বরূপ তার দাড়িতে সুগন্ধি মাখিয়ে দিলেন।
সেখান থেকে বের হয়ে এলেন হাসান বসরী। পিছে পিছে এল হাজ্জাজের প্রহরী।
প্রহরী বলল-
‘হে আবু সাঈদ! হাজ্জাজ আজ আপনার জন্য আয়োজন করেছিল এক রকম কিন্তু আপনাকে দেখার পর আচরণ করল ভিন্ন রকম। একেবারেই পাল্টে গেল তার আচরণ।
এর রহস্য কি তা বলতে পারব না। তবে আমি লক্ষ্য করেছি- আপনি এসে যখন তরবারি হাতে জল্লাদকে এবং চামড়ার বিছানা বিছানো দেখে নির্ভিকভাবে হাজ্জাজের দিকে এগিয়ে গেলেন, তখন আপনার ঠোটগুলো নড়ছিল, সে সময় আপনি কী পড়ছিলেন?’
আমি সে সময় আল্লাহর কাছে দুআ করছিলাম,
يَا وَلِيًّ نِعْمَتِيْ وَمَلَاذِيْ كُرْبَتِيْ اجْعَلْ نِقْمَتَه بَرْداً وَسَلَاماً عَلى كَمَا جَعَلْتَ النَّارَ بَرْداً وَسَلَاماً عَلى ِإبْرَاهِيْمَ.
অর্থ : ‘হে আমার সুখের মালিক! হে আমার বিপদের আশ্রয়! তুমি তার (হাজ্জাজের) ক্রোধের আগুনকে আমার জন্য শান্ত ও শীতল করে দাও, যেমন তুমি ইবরাহীম আলাইহিস সালামের জন্য আগুনকে শীতল ও শান্তিময় করে দিয়েছিলে।’
বি:দ্র: তাবেঈদের ঈমানদীপ্ত জীবন- সব খণ্ড একত্রে বইটি free pdf download করিতে চাহিয়া লেখকদের নিরুৎসাহিত করিবেন না
Reviews
There are no reviews yet.